২০২৬ সালের মধ্যে বাংলাদেশ-ভারতের সিইপিএ স্বাক্ষর: ইআইইউ

আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে ভারতের সঙ্গে সমন্বিত অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি (সিইপিএ) স্বাক্ষর করবে বাংলাদেশ। এমনটা প্রত্যাশা করছে ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (ইআইইউ)। ২০২৬ সালে জাতিসংঘের অনুন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে বাংলাদেশ বেরিয়ে যাওয়ার পর এই চুক্তি ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে কর সুবিধা নিশ্চিত করবে। এ খবর দিয়েছে ভারতীয় বার্তা সংস্থা আইএএনএস।
ইআইইউ জানিয়েছে, আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে দেশ দু’টি সিইপিএ চুক্তি স্বাক্ষর করবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে, যা এলডিসি তালিকা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরও বাংলাদেশের বাণিজ্যিক সুবিধা নিশ্চিত করবে।
আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার সম্পর্কের মূল পয়েন্টগুলো তুলে ধরেছে ইআইইউ।
আগামী সপ্তাহে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফর নিয়ে সংস্থাটি বলেছে, এই সফরের সময় দুই দেশের মধ্যে বড় কোনো চুক্তি স্বাক্ষর হওয়ার প্রত্যাশা নেই। তবে আমরা মোদির সফরকে দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যকার উষ্ণ সম্পর্ক জারি থাকার বড় প্রদর্শনী হিসেবে দেখছি।
যদিও সাম্প্রতিক সময়ে তাদের মধ্যে কিছু বিষয়ে উত্তেজনাপূর্ণ অবনমন দেখা গেছে।
ইআইউ জানায়, সিইপিএ কোনো প্রচলিত দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তির চেয়ে বিস্তৃত হবে। এই চুক্তি অ-বাণিজ্যিক প্রতিবন্ধকতা, ই-কমার্স, সেবা বিনিয়োগ, সীমান্তে বাণিজ্যের ব্যবস্থাও এতে অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
এদিকে, সংস্থাটির প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, দুই দেশের মধ্যে তিস্তা নদীর পানি বণ্টন বিষয়টি পশ্চিমবঙ্গে ২৭ ও ২৮শে মার্চ অনুষ্ঠেয় বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলের উপর নির্ভর করবে। উল্লেখ্য, পশ্চিমুঙ্গের বর্তমান ক্ষমতাসীন রাজ্য সরকার পানি বণ্টনের বিরোধী।
ইআইইউ’র ধারণা, আগামী নির্বাচনে পশ্চিমঙ্গে ক্ষমতাসীন দল অল ইন্ডিয়া তৃণমূল কংগ্রেস (টিএমসি) ও মোদি নেতৃত্বাধীন ভারতীয় জনতা পার্টির মধ্যে তীব্র লড়াই হবে। এতে জয়ী হবে তৃণমূলই। তবে পূর্বের তুলনায় দলটি প্রভাব হারাবে।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *