২০০৭ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রে ৫ লবিস্ট নিয়োগ করেছে বিএনপি, নেত্র নিউজের অনুসন্ধান

সালেহ্ বিপ্লব: [২] জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে ২০১৮ সালের আগস্ট মাসে যুক্তরাজ্যভিত্তিক বিএনপির নেতা আবদুল সাত্তার ব্লু স্টার স্ট্র্যাটেজিস নামের মার্কিন লবিস্ট ফার্মকে নিয়োগ করেন।

[৩] কাজটা ছিলো সরকারি কর্মকর্তা, নীতিনির্ধারণে প্রভাব বিস্তারকারী মহল এবং গণমাধ্যমকে এটা বোঝানো যে, বিএনপি একটি সুষ্ঠু নির্বাচন চায়। ক্ষমতায় গেলে কী কী করবে, সেই বিষয়গুলো প্রচার করে জনমতকে প্রভাবিত করার কাজও বর্তায় লবিস্টের ওপর।

[৪] আবদুল সাত্তার ফরেন প্রিন্সিপাল হিসেবে নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় অফিসের ঠিকানা ব্যবহার করে বিএনপির পক্ষে লবিস্টের সঙ্গে চুক্তি করেন।

[৫] দুই বছরে ব্লু স্টারকে ২ লাখ ৭৮ হাজার ডলার পরিশোধ করা হয়েছে। তিন কিস্তিতে শোধ করা বিলের শেষ কিস্তিটি দেওয়া হয়েছে সিঙ্গাপুরভিত্তিক ওভারসিজ চাইনিজ ব্যাংকিং কর্পোরেশন লিমিটেড থেকে। এই চুক্তির অধীনে ব্লু স্টার আরেকটি লবিস্ট ফার্ম র‌্যাস্কি পার্টনারসকে সাব-কন্ট্রাক্ট দেয়।

[৬] রাস্কি পার্টনারস ২০১৮ সালে একজন সাংবাদিককে মেইল করে জানায়, তারা বিএনপির জন্যে কাজ করছেন। বর্তমানে নেত্র নিউজে কর্মরত সেই সাংবাদিককে রাস্কির একজন প্রতিনিধি এও বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবীর ওয়াশিংটন ডিসিতে আসবেন। তুমি চাইলে তার সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দিতে পারি।[১] কুমিল্লায় নারীকে জবাই করে হত্যা: ঘাতক আটক[১] আবুধাবিতে হামলা পর এক মাসের জন্য ড্রোন নিষিদ্ধ করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাতসারা আলী খানের মতোই উদ্দাম নাচলেন ৬৩ বছরের বৃদ্ধা(ভিডিও)

[৭] ২০১৫ সালের জানুয়ারি মাসে আকিন গাম্প নামের একটি লবিস্ট ফার্ম আইনজীবী টবি ক্যাডমেনের কাছে প্রস্তাব পাঠায় বিএনপির পক্ষে কাজ করার জন্য। মার্কিন নেতাদের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক, যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল সংক্রান্ত কিছু কাজ, বাণিজ্য নীতি ও বাণিজ্য আলোচনা এবং সর্বোপরি মার্কিন সরকারের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়ন- এমন সব কাজ ছিলো প্রস্তাবে অন্তর্ভূক্ত। কাজটির জন্য প্রতি মাসে ৪০ হাজার ডলার ফিস দিতে সম্মত হয় আকিন গাম্প। কিন্তু চুক্তিটি বাস্তবায়ন হয়নি, জানিয়েছেন আইনজীবী ক্যাডমেন নিজেই।

[৮] ২০০৭ সালে মার্কিন লবিস্ট ফার্ম পিলসবারি উইনথ্রপ শ’ পিটম্যান-এর সঙ্গে বিএনপির চুক্তি হয়, আর চুক্তিকারী পক্ষ হিসেবে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নাম উল্লেখ করা হয়েছিলো। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য ফার্মটিকে নিয়োগ করা হয়। ফার্মটিকে বিল দেওয়া হয়েছিলো ১ লাখ ৬০ হাজার ডলার।

[৯] সে বছরই করভিশ কমিউনিকেশন নামের একটি লবিস্ট ফার্ম বিএনপির পক্ষে কাজ করেছে, তবে তারা কোনো টাকা নেয়নি।

[১০] নেত্র নিউজের হিসেবে, লবিস্টদের জন্য বিএনপি খরচ করেছে ৪ লাখ ৪৮ হাজার ৫৮২ ডলার, সরকার যেটাকে বলছে সাড়ে ৩৭ লাখ।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *