বাসা থেকে হাসপাতালের পথে
সালেহ্ বিপ্লব, আখিরুজ্জামান সোহান: রাত সোয়া তিনটায় বেগম জিয়াকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, রাত দুটোর দিকে ডা. জাহিদ আমাকে ফোন করে জানান, ম্যাডাম অসুস্থ। হাসপাতালে নিতে হবে। আমি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলি। ডা. জোবাইদা রহমানের সঙ্গেও কথা বলি। এর মধ্যেই হাসপাতালে নেওয়ার প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়।
সাবেক প্রধানমন্ত্রীর আকস্মিক অসুস্থতা বাড়ার কারণ জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, হার্টের সমস্যা বেড়েছিলো। বৃহস্পতিবার বিকেলেই তিনি টের পেয়েছিলেন, কিন্তু চাপা স্বভাবের মানুষ। কাউকে বলেননি। শুক্রবার সন্ধ্যায় ডা. জাহিদ দেখতে গেলে তখন তিনি সমস্যার কথা স্বীকার করেন। ডা. জাহিদ ব্যবস্থাপত্র দিয়ে আসেন। রাত একটার দিকে সমস্যা বাড়ছে বলে বোঝা যেতে থাকে। এখন তিনি স্টেবল। তবে পুরোপুরি জানা যাবে এনজিওগ্রাম করার পর।
ফজরের আজানের পর পর বাসায় ফিরে যান বিএনপি মহাসচিব।
এর আগে রাত ২টা ৫৫ মিনিটে বেগম জিয়াকে নিয়ে গুলশানের বাসভবন ফিরোজা থেকে হাসপাতালের উদ্দেশ্যে রওয়ানা করেন বিএনপি নেতারা। বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইং সদস্য সামছুদ্দিন দিদার জানান, খবর পেয়ে ফিরোজায় যান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, কামরুজ্জামান রতন, এ বি এম আব্দুস সাত্তার, শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস ও শায়রুল কবীর খান। তারা বেগম জিয়ার সঙ্গে হাসপাতালে যান।
বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, গুলশানের বাসায় ম্যাডাম হঠাৎ করেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। আমরা তাকে দ্রুত হাসপাতালের নিয়ে এসেছি। তাকে সিসিইউতে নেয়া হয়েছে।
সরকারের নির্বাহী আদেশে কারাগারের বাইরে আছেন খালেদা জিয়া, গুলশানের বাসা ফিরোজায়।
এর আগে গত ৬ এপ্রিল রাজধানীর বেসরকারি হাসপাতাল এভারকেয়ারে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে সেদিনই গুলশানের বাসায় ফিরেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
গত ১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ৮০ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর বাসায় ফেরেন তিনি। গত বছরের ১৩ নভেম্বর অসুস্থ হয়ে পড়লে খালেদা জিয়াকে হাসপাতালের সিসিইউতে ভর্তি করানো হয়।