সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে কার্যক্রম শুরুর চিন্তা বিসিবি’র

খালি পড়ে আছে স্টেডিয়ামগুলো। গ্যালারিগুলো খাঁ খাঁ করছে। অনেক দিন হয়ে গেল মাঠে কোনো ক্রিকেট ম্যাচ নেই। বাইশ গজে ছোটাছুটির বদলে এখন ঘরে বসে অলস সময় কাটছে তামিম-মুশফিকদের। করোনা মহামারি কেটে যাওয়ার অপেক্ষায় আছেন তারা। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডও (বিসিবি) পরিস্থিতি নজরে রাখছে। প্রতিকূলতা কাটিয়ে সেপেম্বর-অক্টোবরের দিকে ক্রিকেট কার্যক্রম শুরু করার লক্ষ্য তাদের।
করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় উপরের দিকে থাকা সত্ত্বেও ইংল্যান্ডে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফিরছে আগামী মাসে।

দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৩ লাখেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছে করোনা ভাইরাসে। এদের মধ্যে মারা গেছে সাড়ে ৪২ হাজার। তবে সেখানে আগামী ৮ই জুলাই দর্শকশূন্য মাঠে শুরু হবে ইংল্যান্ড-ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের প্রথম টেস্ট। এরপর নিজ মাটিতে পাকিস্তানের সঙ্গেও সিরিজ রয়েছে ইংলিশদের। বাংলাদেশের পরিস্থিতি এখন অবনতির দিকে। সামনে কী হয় কেউ বলতে পারছে না। খেলোয়াড়রাও এখন আর নিরাপদে নেই। ইতিমধ্যে জাতীয় দলের ক্রিকেটার মাশরাফি বিন মুর্তজা-নাজমুল ইসলাম অপু আক্রান্ত হয়েছেন করোনায়। ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবালের পরিবারেও করোনা হানা দিয়েছে। সবকিছুই বিবেচনায় রাখছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। ক্রিকেটারদের স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে ফেলতে চায় না তারা। তবে তিন মাস পর ক্রিকেট শুরু করা যাবে বলে আশাবাদী বিসিবি কর্তারা। বোর্ড পরিচালক মাহবুবুল আনাম ক্রিকেট পোর্টাল ক্রিকফ্রেনজিকে বলেন, ‘বিসিবি কাউকে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রেখে ম্যাচ শুরু করতে পারে না। আমরা মনে করি, বাংলাদেশের পরিস্থিতি আরো অবনতি হবে। আমাদের মতে, এই মৌসুম এখনো বাকি আছে। আমরা যদি সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ধরি তাহলে এখনো জুলাই, আগস্ট এবং সেপ্টেম্বর এই তিন মাস রয়েছে। আমরা আশাবাদী যে আগামী মৌসুমে ক্রিকেট শুরু করতে পারবো।’
জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু মনে করেন, মাঠে ক্রিকেট ফেরার সঙ্গে বেশকিছু বিষয় জড়িত। প্রথমেই শারীরিক সুস্থতা। এরপর ডাক্তারদের পরামর্শ কী থাকবে। মানসিক চাপের বিষয়টিকেও গুরুত্ব সহকারে দেখছেন তিনি। কেননা ক্রিকেট বহুলাংশে মেন্টাল গেম। দীর্ঘদিন চার দেয়ালের ভেতর কাটানো ক্রিকেটাররা হুট করে মাঠে নামলে তাদের মানসিক প্রস্তুতি থাকবে কিনা তাও দেখতে হবে। নান্নু বলেন, ‘একটা চাপ তো অবশ্যই আছে। তবে আমাদের ক্রিকেটারদের স্বাস্থ্যের বিষয়টিও মাথায় রাখতে হবে। এখানে অন্য কোনো নেতিবাচক বিষয় আসবে না। স্বাস্থ্য ইস্যু, রেড জোনে অনুশীলনের বিষয়গুলোও সম্পর্কিত। আপনি কোনো কিছুই বাদ দিতে পারবেন না। আমাদেরকে প্রথমে দেখতে হবে যে সবাই মানসিকভাবে ভালো বোধ করছে এবং মাঠে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত আছে কিনা। আমাদের মেডিকেল টিম ঠিক করবে আমরা কীভাবে মাঠে ফিরতে পারি, কীভাবে অনুশীলন করতে হবে। এখানে একটির সঙ্গে আরেকটি জড়িত। তাই আমরা সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে কার্যক্রম শুরু করার চিন্তাভাবনা করছি।’  

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *