ক্বারী মোঃ আবু জায়েদ খাঁন, সুন্দরগঞ্জ, গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ
সুন্দরগঞ্জে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি গবাদিপশু নিয়ে বিপদে মানুষ
কয়েক দিন ধরে টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে নদ-নদীর পানি বৃৃৃৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। বর্তমানে তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার ১৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় পানি বন্দী হয়ে পড়েছে হাজার হাজার মানুষ। আর পানিবন্দি হওয়ার পাশাপাশি এসব মানুষ গবাদিপশু, পাখি নিয়েও পড়েছেন চরম বেকায়দায়। এ উপজেলায় অব্যাহতভাবে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তীরবর্তী তারাপুর, বেলকা, কাপাসিয়া, শ্রীপুর, হরিপুর, চন্ডিপুর ও কঞ্চিবাড়ি ইউনিয়নের দুর্গম চরাঞ্চলসহ অনেক লোকালয় প্লাবিত হয়ে পড়েছে। সোমবার উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস স‚ত্রে জানা গেছে, উপজেলায় পানি বন্দী পড়েছে ৮ হাজার ৯৩০টি পরিবারের ৩৫ হাজার ৭২০ জন মানুষ। তাদের বসতবাড়ি ও ঘরে পানি উঠায় রান্না করাসহ গবাদিপশু, পাখির খাদ্য নিয়ে বিপদে পড়েছে। সরেজমিনে তারাপুর ইউনিয়নের তারাপুর গ্রামের তিস্তা তীরবর্তী এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বসতবাড়িসহ ঘরে পানি ঢুকে পড়েছে। এতে কর্মহীন হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষ। গবাদিপশুর খাদ্যের যোগান দিতে বড় বড় পাতিল নিয়ে কোমর পানি ভেঙ্গে মহিলারা ছুটছেন চরের পাট ক্ষেতের দিকে। আর রান্না করতে না পারায় অনেকটা অভুক্ত অবস্থায় কাটছে এসব মানুষের দিন। নলকুপগুলো পানিতে নিমজ্জিত থাকায় দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানির অভাব। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস স‚ত্রে জানা যায়, বন্যা দুর্গত মানুষের মাঝে এ পর্যন্ত ৫০ মে.টন চাল, ২ লাখ ৭৫ হাজার টাকার শুকনো খাবার ও শিশুদের জন্য ৫০ হাজার টাকার শিশু খাদ্য বিতরণ করা হয়েছে। গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ড কন্ট্রোল রুম জানায় তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার ১৫ সেন্টি মিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী লুতফুল হাসান জানান, উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের বন্যার্তদের মাঝে ইতোমধ্যে ৫০ মে.টন চাল ও ২ লাখ ৭৫ হাজার টাকার শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। আজ নতুন করে ২৫ মে.টন চাল ও ৫০ টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। যা তাদের মাঝে বিতরণ করা হবে।