সারে ভর্তুকি তিন গুণ বেড়ে ২৮ হাজার কোটি টাকা হচ্ছে

গত ২০২০-২১ অর্থবছরে সারে ভর্তুকি দেয়া হয়েছিল ৭ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। কিন্তু চলতি অর্থবছরের এখন পর্যন্ত ৬ হাজার কোটি টাকার ভর্তুকি দেয়া হয়েছে। প্রক্রিয়াধীন রয়েছে ১৩ হাজার কোটি টাকা। আর আগামী জুন পর্যন্ত প্রয়োজন হবে আরো ৯ হাজার কোটি টাকা। ফলে প্রায় ২৮ হাজার কোটি টাকার প্রয়োজন হবে। কৃষি মন্ত্রণালয়ের পর্যালোচনায় এ তথ্য উঠে এসেছে।

কৃষি মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, নিবিড় ও সম্প্রসারিত চাষাবাদের প্রয়োজনে ২০২১-২২ অর্থবছরে রাসায়নিক সারের চাহিদা নির্ধারণ করা হয়েছে মোট ৬৬ লাখ টন। এর মধ্যে ইউরিয়া ২৬ লাখ টন, টিএসপি সাত লাখ, ডিএপি ১৬ লাখ ৫০ হাজার ও এমওপি সাড়ে সাত লাখ টন। প্রধান চারটি সারের চাহিদা চলতি অর্থবছরে প্রায় চার লাখ টন বাড়ানো হয়েছে। তবে ২০২১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত চাহিদার বিপরীতে সব রকম সারের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে। আগামী বোরো মৌসুমের জন্য ইউরিয়া সারের ৩ লাখ ১ হাজার ৯০২ টন চাহিদার বিপরীতে মজুদ ছিল ৮ লাখ ৩২ হাজার টন। ফলে শুধু ইউরিয়া সারের বাড়তি মজুদ রয়েছে ৫ লাখ ৩০ হাজার টন।

অন্যদিকে টিএসপির ১ লাখ ১৪ হাজার টন চাহিদার বিপরীতে মজুদ ১ লাখ ৯২ হাজার টন, ডিএপির ২ লাখ ৮৮ হাজার ৬১২ টন চাহিদার বিপরীতে মজুদ ৫ লাখ ৯৬ হাজার টন ও এমওপির ১ লাখ ২৯ হাজার ১৮৫ টন চাহিদার বিপরীতে মজুদ রয়েছে ৩ লাখ ১২ হাজার টন। ফলে চলতি বছরের ডিসেম্বরে চাহিদার চেয়ে বাড়তি মজুদ রয়েছে প্রায় ১০ লাখ ৯৮ হাজার ৩০০ টন, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় বেশি। এর মধ্যেও বাজারে সারের সংকট তৈরি হচ্ছে দামে ও মানে।

এদিকে গতকাল সকালে ঢাকায় এফডিসিতে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকরণে সরকারের যথাযথ পদক্ষেপ নিয়ে ছায়া সংসদে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক এমপি বলেছেন, বর্তমান সরকার কর্তৃক সারের চার দফা দাম কমানোর যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত ও ভর্তুকি দেয় হয়েছে। চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরে সারে ভর্তুকিতে ২৮ হাজার কোটি টাকা লাগবে। এখন পর্যন্ত ১৯ হাজার কোটি টাকার ভর্তৃকি দেয়া হয়েছে। আগামী জুন পর্যন্ত আরো ৯ হাজার কোটি টাকা প্রয়োজন হবে। সব মিলিয়ে ভর্তুকি বাবদ মোট ২৮ হাজার কোটি টাকা প্রয়োজন হবে।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, নিরাপদ ফসল উৎপাদনের প্রচেষ্টা চলছে। এরই মধ্যে উত্তম কৃষিচর্চা মেনে উৎপাদন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। পূর্বাচলে আন্তর্জাতিক মানের প্যাকিং হাউজ ও ল্যাব স্থাপনের কাজ চলছে। সরকারের এসব পদক্ষেপের ফলে তিন-চার বছরের মধ্যে সবার জন্য নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে আমরা সক্ষম হব।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *