বাংলাদেশের ফুটবলে সাদউদ্দিনের উত্থানের শুরু ২০১৫ সালের অনূর্ধ্ব-১৬ সাফে। সিলেটে হওয়া সেই আসরে বাংলাদেশকে চ্যাম্পিয়ন করানোর পথে বড় অবদান সাদের। এরপর নাম লেখান ঢাকা আবাহনীতে। বড় মঞ্চেও আলো ছড়িয়ে জায়গা করে নেন জাতীয় দলে। জাতীয় দলের জার্সিতে ক্যারিয়ারের স্মরণীয় মুহূর্তটি ধরা দেয় ভারতের বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচে। ২০১৯ সালের অক্টোবরে কলকাতার সল্ট লেক স্টেডিয়ামে ৬৭ হাজার ভারতীয় দর্শককে স্তব্ধ করে দিয়েছিলেন সাদ। তার দারুণ এক গোলে জয়ের দ্বারপ্রান্তে গিয়েও শেষ মুহূর্তের গোলে ড্রয়ের আক্ষেপে পোড়ে বাংলাদেশ। হাঁটুর ইনজুরির কারণে জাতীয় দল থেকে ছিটকে গেছেন ২২ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড।
আজ বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে ভারতের বিপক্ষে ফিরতি লড়াই লাল-সবুজদের। ভারতকে প্রথম ম্যাচে কাঁপিয়ে দেয়া সাদের আক্ষেপ ভারতের বিপক্ষে ফিরতি লড়াইয়ে মাঠে নামতে না পারায়। ইনজুরি থেকে ফেরার লড়াইয়ে আবাহনীর ক্লাব টেন্টে সময় কাটছে সাদের। তবে সাদের মন পড়ে আছে কাতারে। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে বাংলাদেশ শেষ তিন ম্যাচ খেলছে কাতারের রাজধানী দোহায়। বাছাইপর্বের সপ্তম ম্যাচে বাংলাদেশের সামনে ভারত। যাদের সঙ্গে জয় নেই ১৮ বছর। ২০০৩ সাফের ফাইনালে জয়ের পর ভারতের বিপক্ষে খেলা সাত ম্যাচে চার ড্র ও দুই হার বাংলাদেশের। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে বাংলাদেশকে প্রথম পয়েন্ট এনে দেয়া সাদের বিশেষ পরিকল্পনা ছিল ভারতের বিপক্ষে ফিরতি লড়াই নিয়ে। তিনি বলেন, ‘শেষ তিন ম্যাচ বিশেষ করে ভারতের বিপক্ষে খেলার জন্য মুখিয়ে ছিলাম। অনেক পরিকল্পনা সাজিয়ে ছিলাম। দুর্ভাগ্য দলের সঙ্গে কাতারে যেতে পারলাম না। ভারতের বিপক্ষে খেলতে না পারাটা কষ্ট দিচ্ছে। আমরা আগের (আফগানিস্তান) ম্যাচে ভালো করেছি। দল পয়েন্ট আদায় করতে পারায় আমি খুশি।’ ক্লাব কিংবা জাতীয় দল। সাদের প্রিয় প্রতিপক্ষ ভারত। ২০১৭ এএফসি কাপে বেঙ্গালুরু এফসির বিপক্ষে প্রথম আন্তর্জাতিক ফুটবলে গোল করেছিলেন সাদ। এরপর জাতীয় দলের হয়ে প্রথম ও একমাত্র গোলটাও ভারতের বিপক্ষে। ভারতের বিপক্ষে আরেকটি ম্যাচের আগে সতীর্থদের শুভকামনা জানিয়েছেন তিনি। সাদ বলেন, ‘ক্লাব পর্যায়ে ভারতীয় দলের বিপক্ষে গোল আছে। তাদের জাতীয় দলের বিপক্ষেও গোল করেছি। বড় ম্যাচে নিজেকে প্রমাণ করার একটা তাগিদ অনুভব করি সবসময়। ভারতের বিপক্ষে এই ম্যাচ খেলতে না পারায় আক্ষেপ হচ্ছে। আমার বিশ্বাস সতীর্থরা ভারত ম্যাচে ভালো ফলাফল এনে দেবে।’ ২০২২ বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে ‘ই’ গ্রুপে পাঁচ দলের মধ্যে এখনো জয়হীন বাংলাদেশ ও ভারত। সতীর্থদের তাই সতর্কবার্তাও দিয়েছেন সাদ। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের জন্য কঠিন একটা ম্যাচ অপেক্ষা করছে। আমাদের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে ওরা ড্র করেছে। এই ম্যাচে ওরা জিততে চাইবে। আক্রমণাত্মক খেলবে ভারত। আমাদের তাই সতর্ক থাকতে হবে। বিশেষ করে ডিফেন্ডারদের দায়িত্ব নিয়ে খেলতে হবে।’