সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার করে অবিলম্বে মুক্তির দাবি বাম গণতান্ত্রিক জোটের

বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাম গণতান্ত্রিক জোট আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশ বক্তারা বলেন, রোজিনা ইসলামকে মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার প্রমাণ করেছে সরকার দুর্নীতিবাজদের রক্ষাকর্তা। এতে ঘটনা স্বাধীন সাংবাদিকতা, মানবাধিকার ও নাগরিক মর্যাদাকে ভূলুণ্ঠিত করেছে এবং নাগরিকের সাংবিধানিক অধিকার খর্ব করেছে। এই ঘটনা আরও প্রমাণ করেছে সরকার সত্য গোপন করতে চায়। শুধু তাই নয়, সরকার জনগণের স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের চাইতে দুর্নীতি লুকাতে তৎপর বেশি।

[৩] তারা বলেন, তথ্য অধিকার আইনে তথ্য জানার অধিকার জনগণের আছে। জনগণকে তথ্য না জানানো চুরি, দুর্নীতি, জবাবদিহিতাকেই উৎসাহিত করে। দেশ ও জনগণের স্বার্থে দুর্নীতি, অনিয়মের তথ্য বের করে আনা কোনো মতেই চুরি না। আর এটা সাংবাদিকতার দায়িত্বের মধ্যেই পড়ে। রোজিনা ইসলাম স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের বেশ কয়েকটি দুর্নীতি ও অনিয়মের অনুসন্ধানী রিপোর্ট পত্রিকায় প্রকাশ করেন। এজন্যই তাকে সচিবালয়ে সাড়ে ৫ ঘণ্টা আটকে রেখে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করা হয়। যা সভ্য দেশে অকল্পনীয়।

[৪] তারা আরও বলেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন রোজিনাকে নির্যাতন করা হয়নি। বরং রোজিনাই অতিরিক্ত সচিবকে খামচি দিয়েছে, থাপ্পর মেরেছে। এটি আমলাদের পক্ষে মন্ত্রীর নির্লজ্জ সাফাই গাওয়া। এতে প্রমাণ হয় ‘চোরের সাক্ষী গাঁট কাটা।’ মন্ত্রী বলেছেন, সচিবালয় কি কোনো উন্মুক্ত স্থান? তাছাড়া সচিব, একান্ত সচিবের কক্ষে যে বিনা অনুমতিতে ঢোকা যায় না তার প্রমাণ ঘটনার দিন সচিবের সঙ্গে সাংবাদিকরা সাক্ষাৎ করতে চাইলে তিনি সাক্ষাৎ দেননি। ফলে তথ্য চুরির ঘটনা সর্বৈব মিথ্যা ও বানোয়াট। আর যদি ঘটনা সত্যিই হয় তাহলে এই ঘটনার জন্য প্রধান আসামি হওয়া উচিত স্বাস্থ্য সচিবের। কারণ, তিনি রাষ্ট্রীয় গোপন নথি কেন একান্ত সচিবের টেবিলে উন্মুক্ত জায়গায় রাখবেন।
কৃষকের কাছ থেকে ধান পাওয়াই কঠিন, সরকারের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ নিয়ে এবারও শঙ্কা ≣ [১] তদারকি কর্মকর্তাকে একদিনও দেখেননি ডিলার: খাদ্য বান্ধব কর্মসূচি ≣ হাটহাজারীতে উত্তর বনবিভাগের টাস্কফোর্স অভিযান বন্ধ হলো করাতকল

[৫] এতে উপস্থিত ছিলেন বাম জোটের সমন্বয়ক বজলুর রশীদ ফিরোজ, সিপিবির প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুল্লাহ আল কাফি রতন, বাসদ মার্কসবাদী নেতা মানস নন্দী, ইউসিএলবি নেতা নজরুল ইসলাম, সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের সভাপতি হামিদুল হক, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির নেতা শহীদুল ইসলাম সবুজ প্রমুখ।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *