সরকার আজ বিএনপিকে অবহেলা করে কথা বলে: ফারুক

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক বলেছেন, ‘সরকার আজ বিএনপিকে অবহেলা করে কথা বলে। অথচ আপনাদের পায়ের তলার মাটি সরে যাচ্ছে। আমরা সৎ আছি, ন্যায়ের পথে আছি। বিদেশের মাটিতে আমার নেত্রীর এক ছটাক জায়গা জমিও নেই।’

শনিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে স্বাধীনতা অধিকার আন্দোলন আয়োজিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ফারুক বলেন, স্বৈরাচাররা ক্ষমতায় থাকতে রাষ্ট্রীয় যন্ত্র ব্যবহার করে। মির্জা ফখরুল আপনাদের কাছে আমরা ক্ষমা চাই। জনগণ আমাদের সঙ্গে থাকলেও কেবল এই রাষ্ট্রযন্ত্রের জন্য কিছু করতে পারছি না।’

তিনি বলেন, ‘এই সরকার যদি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করত, তাহলে ২০১৪ সালে ১৫৪ জন প্রতিনিধিকে বিনা ভোটে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত করত না, দিনের ভোট রাতে করত না। যে নির্বাচন কমিশন ২ হাজার কোটি টাকা দিয়ে ডামি নির্বাচন উপহার দিয়েছে, সে নির্বাচনের সময় নির্বাচন কমিশনার ঘুমিয়ে ছিলেন। একেক সময় একেক কথা বলেছেন।’

ফারুক বলেন, ‘একদিকে বলে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের কথা, অন্যদিক তৈরি করে সিন্ডিকেট। সে সিন্ডিকেটের টাকা দিয়ে কানাডায় বাড়ি বানানো হয়। অথচ বাংলাদেশের মানুষ একটা ডিম কিনে খেতে পারে না, মাংস কিনে খেতে পারে না।অথচ এসবের বিরুদ্ধে যখন আমরা কথা বলি, তখন আগুন সন্ত্রাসের উপাধি দেওয়া হয়।’

তিনি বলেন, ‘এত বছরেও সাগর-রুনি হত্যার চার্জশিট তৈরি করতে পারেনি এই সরকার। অথচ তারা আইনের শাসন, স্মার্ট বাংলাদেশের কথা বলেন। অথচ মানুষ এখন নির্ভয়ে ঘরে ঘুমাতে পারে না।যারা আজ মেগা প্রজেক্টের নামে কোটি কোটি টাকা লুটপাট করে, তাদের পদত্যাগ করা উচিত। এই সরকার জনগণের ভোটের সরকার নয়।’

বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ‘সরকার গণমাধ্যমের স্বাধীনতা বিশ্বাস করে না। যখন গণমাধ্যম সোচ্চার হয় তখন গণমাধ্যম বন্ধ করে দেয় সরকার। যারা গণতান্ত্রিক নির্বাচন, সুষ্ঠু নির্বাচন বিশ্বাস করে না তাদেরকে বিশ্বাস করা যায় না। যে সরকার রাজনৈতিক প্রতিহিংসা পরায়ণ সরকার, এ সরকারকে বিশ্বাস করা যায় না। সরকার জানে ব্যাংক লুট করতে, দুর্নীতি করতে। এ সরকার জনগণের ভোটের সরকার নয়, সরকার দিন দিন অবহেলিত হচ্ছে, তাদের পায়ের মাটি সরে যাচ্ছে।’

এ সময় মানববন্ধনে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মো. রহমতুল্লাহসহ আয়োজক সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *