‘ভায়োলিনের শহর’ শিরোনামে এ প্রজন্মের শিল্পী সমরজিৎ রায়ের নতুন গানে সুর দিয়েছেন কণ্ঠশিল্পী কুমার বিশ্বজিৎ। গানটির কথা লিখেছেন মিজানুর রহমান সামি, আর সংগীতায়োজন করেছেন কলকাতার জনপ্রিয় সংগীত পরিচালক রকেট মন্ডল ও শিল্পী সমরজিৎ রায়। মিক্সিং ও মাস্টারিং করেছেন গৌতম বসু। গতকাল সমরজিৎ রায়ের ইউটিউব চ্যানেলে গানটি প্রকাশ পেয়েছে।
সমরজিৎ রায় দিল্লির গান্ধর্ভ মহাবিদ্যালয়ে সংগীতে পড়াশোনা শেষ করে সেখানেই দীর্ঘদিন শিক্ষকতা করেছেন। সেখানে অবস্থানকালে ভারতের অনেক নামী শিল্পীর সঙ্গে কাজ করেছেন। তার সম্পর্কে গানের সুরকার কুমার বিশ্বজিৎ বলেন, ‘সমরজিৎকে আমি আমার পরিবারের একজনই মনে করি, কিন্তু তার শিল্পীসত্তা সম্পর্কে একটু বিশ্লেষণের প্রয়োজন আছে।’
প্রযুক্তির এ যুগে শুদ্ধ সংগীতের চর্চা থেকে নতুন প্রজন্ম অনেকটাই দূরে উল্লেখ করে ‘চিরসবুজ গায়ক’ কুমার বিশ্বজিৎ বলেন, ‘অতি সহজলভ্যতা আমাদের ওপর ভর করেছে। ফলে চাকচিক্য দিয়ে অতি সহজে যত দ্রুত জনপ্রিয়তা পাওয়া যায় সেটা নিয়েই যেন তারা (নতুন প্রজন্ম) ব্যস্ত। কিন্তু কোনো জিনিস না জেনে তা নিয়ে বেশি দূর যাওয়া দুরূহ। এ প্রজন্মের যারা শাস্ত্রীয় সংগীতের ওপর দখল রেখে এবং সংগীত সম্পর্কে জেনেশুনে এ দেশের সংগীতাঙ্গনে কাজ করছে তাদের মধ্যে সমরজিৎ অন্যতম। ওর জন্য এমন একটি গান ভাবছিলাম যেটার মধ্যে মিষ্টতাও থাকবে, আবার শাস্ত্রীয় ব্যাপারটাও বজায় থাকবে। আমি মনে করি, আমার সুরের যথার্থ প্রয়োগ এবং সুবিচার সমরজিৎ গানটিতে করেছে।’
কুমার বিশ্বজিতের সুরে এটি সমরজিৎ রায়ের দ্বিতীয় গান। গানটি নিয়ে উচ্ছ্বসিত শিল্পী বলেন, ‘শাস্ত্রীয় সংগীতের ওপর যতটুকু সামান্য শিক্ষা পাওয়ার সৌভাগ্য আমার হয়েছে তাতে এতটুকু বুঝি যে একজন কুমার বিশ্বজিৎ একদিনে সৃষ্টি হয় না। শাস্ত্রীয় সংগীতের সমস্তত্ম রসদ দাদার গানে খুঁজে পাই বলেই তার গানের এতটা ভক্ত আমি। আর সুরকার হিসেবে তিনি কতটা অনন্য তা আমাদের অজানা নয় এবং এ গানে সেটা শ্রোতারা আরো বেশি করে অনুভব করবে।’