মুখ খোলা উচিত ছিলো ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের। কারণ, সুশান্ত সিংহ রাজপূত, স্বজনপোষণ নিয়ে বলতে গিয়ে অতি সম্প্রতি ভিডিও বার্তায় খুল্লামখুল্লা এই টলি ডিভাকে সরাসরি বিঁধেছেন শ্রীলেখা মিত্র। শ্রীলেখার স্পষ্ট অভিযোগ, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের প্রেম থাকার জন্যই নাকি তিনি বুম্বা দা’র বিপরীতে অনেক ভাল ছবির নায়িকা হতে পারেননি।
শ্রীলেখার দাবি, যারা প্রযোজক-পরিচালকদের সঙ্গে অবলীলায় শুতে-বসতে পারেন তারা মুঠো মুঠো কাজ পান। তিনি সেটাও পারেননি, মাথার ওপরে গডফাদারও নেই। ফলে, তিনি সুশান্ত সিংহ রাজপূতের যন্ত্রণা মজ্জায় মজ্জায় অনুভব করতে পারছেন।
অবশ্য ঋতুপর্ণা নীরব থাকলেও চুপ করে নেই স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়। কড়া জবাব দিয়েছেন তিনি। নাম না করে এবার তার ছোট্ট প্রশ্ন, যে সব অভিনেতা এক পরিচালকের একাধিক ছবিতে অভিনয় করেন তারাও কি ‘শুয়ে বসে’ই কাজ জোগাড় করেন?
সোশ্যালে স্বস্তিকার যুক্তি, যখন কোনো অভিনেত্রী কোনও পরিচালককের সঙ্গে এক বা একের বেশি ছবি করে তখন বলা হয়, সে শুয়ে বা প্রেম করে কাজটা পেয়েছে। বেশ।
তা, আমি এক পরিচালকের সঙ্গে তার জীবনের ১৭টা ছবির মধ্যে আড়াইখানা ছবি করেছি (২টি মুখ্য চরিত্র, একটি অতিথি শিল্পী)। কিন্তু যেহেতু এই পরিচালকের সঙ্গে সৌমিক হালদার ১১টা, অনুপম রায় ৯টা, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় ৭টা, যিশু সেনগুপ্ত ৭টা, অনির্বাণ ভট্টাচার্য ৬টা এবং পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় ৬টা কাজ করেছেন, তারা নিশ্চয়ই আরো বেশি করে শুয়ে আর প্রেম করে কাজগুলো পেয়েছেন? এনারা তা হলে সবাই উভকামী ও সুযোগসন্ধানী? যুক্তি তো সবার ক্ষেত্রেই এক হওয়া উচিত, তাই না? নাকি নিজের খামতি ঢাকতে স্লাট শেমিং শুধু আমাদের মতো ‘কুযোগ্য’ অভিনেত্রীদের করা হবে যারা একেবারেই অভিনয়টা পারে না?