শিল্প মন্ত্রণালয়ের এডিপির অগ্রগতি ২৭.১৫ শতাংশ

২০২০-২১ অর্থবছরে শিল্প মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) অন্তর্ভুক্ত প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনার ভার্চুয়াল সভায় জানানো হয়, শিল্প মন্ত্রণালয়ের এডিপির অগ্রগতি ২৭ দশমিক ১৫ শতাংশ, যা জাতীয় পর্যায়ের অগ্রগতির চেয়ে (জাতীয় পর্যায়ের অগ্রগতি ২৩ দশমিক ৮৯ শতাংশ) বেশি।

গতকালের সভায় শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন এমপি বলেছেন, সময়াবদ্ধ গৃহীত পরিকল্পনামাফিক এডিপি বাস্তবায়ন অগ্রগতি নিশ্চিত করতে হবে। ২০২১-এর জুনের মধ্যে চলমান প্রকল্পগুলোর উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি থাকতে হবে। প্রকল্পের মাঠপর্যায়ে তদারকি কার্যক্রম বাড়াতে হবে। চলমান প্রকল্পগুলোর কার্যক্রম জোরদারের ওপর গুরুত্বারোপ করে মন্ত্রী বলেন, মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের নিয়মিত প্রকল্প এলাকা ও কার্যক্রম পরিদর্শন করতে হবে।

শিল্প মন্ত্রণালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন। শিল্প সচিব কেএম আলী আজমের সভাপতিত্বে সভায় মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন সংস্থা ও করপোরেশনের প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় বিভিন্ন প্রকল্পের পরিচালকরা ভার্চুয়ালি সংযুক্ত ছিলেন।

সভায় জানানো হয়, ২০২০-২১ অর্থবছরে শিল্প মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে মোট ৪৭টি উন্নয়ন প্রকল্প রয়েছে। এর মধ্যে ৪৩টি বিনিয়োগ প্রকল্প, তিনটি কারিগরি সহায়তা এবং একটি নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়িত প্রকল্প রয়েছে। সব মিলিয়ে এসব প্রকল্পে বরাদ্দের পরিমাণ ছিল ৩ হাজার ৪০৭ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। এর মধ্যে জিওবি খাতে ১ হাজার ২৭৭ কোটি ২৮ লাখ টাকা, প্রকল্প সাহায্য খাতে ২ হাজার ৯৬ কোটি ৮০ লাখ টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন খাতে ৩৩ কোটি ৫৮ লাখ টাকা বরাদ্দ রয়েছে। ২০২০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রকল্পগুলোর বিপরীতে ৯২৫ কোটি ৩০ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে বলে সভায় তথ্য প্রকাশ করা হয়।

সভায় আরো জানানো হয়, সারের সংরক্ষণ ও বিতরণ সুবিধার জন্য ১৩টি বাফার গোডাউন নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় ইতোমধ্যে দুটি বাফার গোডাউন হস্তান্তর করা হয়েছে এবং গাইবান্ধা, শেরপুর ও যশোরের বাফার গোডাউন নির্মাণের কাজ চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে সম্পন্ন হবে। এ সময় লোকবল বৃদ্ধি করে জুনের মধ্যে নির্মাণাধীন অবশিষ্ট বাফার গোডাউনগুলোর কাজ দ্রুত সম্পন্নের নির্দেশনা প্রদান করা হয়। এছাড়া মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা জন্য গঠিত সাতটি মনিটরিং টিমকে প্রতি মাসে নিয়মিত প্রকল্প পরিদর্শন ও নির্দেশনা প্রদান করা হয়।

শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার এমপি বলেন, কেউ কৃত্রিমভাবে সারের সংকট সৃষ্টি করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। দেশের কোথাও অসাধু ব্যবসায়ীরা যাতে সারের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি না করতে পারে, সে বিষয়ে বিসিআইসিকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন তিনি।

এ সময় তিনি নির্মাণাধীন ১৩টি বাফার গোডাউনের কাজ দ্রুত সম্পন্ন করার নির্দেশনা দেন। প্রতিমন্ত্রী চিনিকল স্থাপনে আগ্রহী বিদেশী উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগ প্রস্তাবগুলো দ্রুত এগিয়ে নেয়ার নির্দেশনা দেন। তিনি বলেন, নতুন নতুন যন্ত্রপাতি স্থাপন করে বিএসটিআইয়ের কার্যক্রম আগামী দিনে আরো শক্তিশালী করতে হবে। এসব যন্ত্রপাতি স্থাপনের জন্য ভবনসহ প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণের পরামর্শ দেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী। প্রকল্প বাস্তবায়নে কাজের মান ও আর্থিক বিষয়ে কোনো ধরনের অনিয়ম মেনে নেয়া হবে না বলে তিনি উল্লেখ করেন।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *