শিপ্রা দেবনাথের মামলা নেয়নি থানা পুলিশ

দুই পুলিশ কর্মকর্তাসহ প্রায় দেড়শ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে কক্সবাজার সদর থানায় মামলা করতে গিয়ে ফিরে এসেছেন বেসরকারি স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী শিপ্রা দেবনাথ। তিনি পুলিশের গুলিতে নিহত অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খানের অন্যতম সহযোগী। তবে কক্সবাজার সদর থানা থেকে এ বিষয়ে রামু থানা কিংবা বিশেষ ট্রাইব্যুনালে মামলা করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

গত ৩ জুলাই শিপ্রা দেবনাথ, সাহেদুল ইসলাম সিফাত ও তাসকিনকে নিয়ে সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান কক্সবাজার আসেন ভ্রমণবিষয়ক ভিডিও চিত্র ধারণ করতে। ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের মারিষবুনিয়া পাহাড়ে ভিডিও চিত্র ধারণ করে মেরিন ড্রাইভ দিয়ে কক্সবাজারের হিমছড়ি এলাকার নীলিমা রিসোর্টে ফেরার পথে শামলাপুর তল্লাশি চৌকিতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সিনহা। এ সময় পুলিশ সিনহার সঙ্গে থাকা সিফাতকে আটক করে কারাগারে পাঠায়। পরে রিসোর্ট থেকে শিপ্রাকে আটক করা হয়। দুজনই বর্তমানে জামিনে মুক্ত রয়েছেন।

মুক্ত হওয়ার পর শিপ্রা দেবনাথের ‘হারিয়ে যাওয়া ল্যাপটপ থেকে’ কিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। শিপ্রার অভিযোগ, তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে নানা প্রশ্ন তোলা হচ্ছে। সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান এবং পিবিআইয়ের বিশেষ পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান শেলীর নামও অভিযুক্ত ব্যক্তিদের তালিকায় রয়েছে।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে শিপ্রা মামলা করতে থানায় গিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী মাহাবুবুল আলম টিপু।

থানা থেকে বেরিয়ে আসার পর মাহাবুবুল আলম টিপু বলেন, ‘যেহেতু উনি (শিপ্রা) মানসিকভাবে বিপর্যস্ত, তাই এখন কথা বলবেন না। আমরা আপনাদের সঙ্গে আবার বসব। আমরা আগে মামলাটা ফাইল করি।’

তিনি আরো বলেন, ‘শিপ্রাকে পুলিশ আটক করার পর তার কম্পিউটার, ল্যাপটপ, ডিভাইস (মোবাইল ফোন) ও পেনড্রাইভ নিয়ে গেছে। এগুলো থেকে তার ব্যক্তিগত ছবি, ‘জাস্ট গো’ তথ্যচিত্রের জন্য ধারণ করা ছবি আপত্তিকরভাবে এডিট করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেসহ ইউটিউব চ্যানেলে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।’

কক্সবাজার সদর থানা তাদের মামলা নেয়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সদর থানার ওসি তাদের বলেছেন, যেহেতু শিপ্রাসহ পুরো টিমের ডিভাইস রামু থানা জব্দ করেছে, তাই এই অভিযোগ ওই থানায় দেওয়াই সংগত।’ তারা আলোচনা করে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করবেন বলেও জানান এই আইনজীবী।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *