শার্ট ছেড়ে মাস্ক তৈরি করছে টিএএল

নভেল করোনাভাইরাস অনেক মার্কিন রিটেইল চেইনকেই ঋণখেলাপির দিকে ঠেলে দিয়েছে। এ পরিস্থিতি এশিয়ার তৈরি পোশাক সরবরাহকারীদের নিজেদের ব্যবসায়িক কাঠামোয় পরিবর্তন আনতে বাধ্য করছে। টিএএল গ্রুপের অ্যাপারেল ডিভিশনও এ পথেই হাঁটছে। চাহিদার সংকোচনের কারণে তাদের পোশাক উৎপাদনের পরিমাণ সক্ষমতার ৩০ শতাংশে নেমে এসেছে। এ অবস্থায় তারা শার্ট তৈরি ছেড়ে মাস্কের মতো ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম তৈরি শুরু করেছে। ব্লুমবার্গ।

যুক্তরাষ্ট্রে বিক্রীত প্রতি ছয়টি পুরুষের শার্টের একটির সরবরাহকারী টিএল গ্রুপ। ব্রুকস ব্রাদার্স, জেসি পেনি ও চার্লস টিরহুইটের রিটেইলারের কাছে পোশাক সরবরাহ করে তারা। এপ্রিল থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে নিজেদের ব্যবসায় ৫০ শতাংশ সংকোচনের আশঙ্কা করছে তারা।

ব্লুমবার্গ টিভিকে দেয়া এক সাক্ষাত্কারে টিএএল গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রজার লি বলেন, ‘এটি আসলেই অনেক বড় একটি পতন। তবে আমরা পরিস্থিতি সামাল দেয়ার চেষ্টা করছি। আমরা পোশাকের পরিবর্তে ফেস মাস্ক তৈরি করছি।’

কোম্পানিটি জানিয়েছে, এরই মধ্যে তারা পাঁচ কোটি মাস্কের কার্যাদেশ পেয়েছে। লি আশা করছেন, করোনা মহামারী শেষ হওয়ার পরও ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম উৎপাদন চালিয়ে যাবেন তারা।

নভেল করোনাভাইরাস প্রতিরোধে আরোপিত লকডাউনের কারণে ক্রেতারা এখন বেশির ভাগ সময়ই ঘরে থাকছেন। কেনাকাটা করতে বাইরে খুব কম বেরুচ্ছেন তারা। চাহিদার এ সংকোচনের কারণে বিক্রেতারাও তাদের দোকান বন্ধ রাখতে বাধ্য হচ্ছেন। এ অবস্থায় জরুরি নয়, এমন পণ্যের পেছনে ভোক্তাদের ব্যয় কমে যাচ্ছে। ফলে বিভিন্ন ফ্যাশন ব্র্যান্ড ও রিটেইলার তাদের কার্যাদেশ কমিয়ে দিচ্ছে। আর এতে বিপাকে পড়ছেন এশিয়ার পোশাক সরবরাহকারীরা।

একটি গবেষণা বলছে, চলতি বছর অফলাইন চ্যানেলে মুদি পণ্যের বাইরে রিটেইল খাতে বিক্রি ২০ শতাংশ কমতে পারে।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *