লুট করা প্রাচীন প্রত্নতত্ত্ব কিনেছেন কিম কারদাশিয়ান!

যুক্তরাষ্ট্রের একটি কোর্টে দাখিল করা মামলায় উঠে এসেছে রিয়েলিটি তারকা, বহুল আলোচিত কিম কারদাশিয়ানের নাম। অভিযোগ করা হয়েছে, ইতালি থেকে প্রাচীন আমলের রোমান একটি মূর্তি চুরি করে বা লুট করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। লুট করা ওই মূর্তিটি কিনেছেন কারদাশিয়ান। এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন কারদাশিয়ান। এ খবর দিয়েছে অনলাইন সিএনএন। এতে আরো বলা হয়, শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার আদালতে মামলা হয়েছে। তাতে লুট করে পাচার করা এবং অবৈধভাবে আমদানি করা ওই প্রত্নতাত্ত্বিক সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার দাবি তোলা হয়েছে, যা বর্তমানে কারদাশিয়ানের কাছে সরবরাহ দেয়া হয়েছে বলে মনে করা হয়। তবে কারদাশিয়ানের আইনজীবী বলেছেন, কিম কারদাশিয়ান কখনোই এই প্রত্নতত্ত্ব কেনেননি।
এই প্রত্নসম্পদের অস্তিত্ব সম্পর্কে তার মক্কেল কারদাশিয়ান সবেমাত্র জানতে পেরেছেন।

তার মুখপাত্র সিএনএনের কাছে পাঠানো এক ইমেইল বার্তায় জানিয়েছেন, আমরা বিশ্বাস করি এই প্রত্নসম্পদ কারদাশিয়ানের নাম ব্যবহার করে কেনা হয়েছে। কারণ, এমন কোনো প্রত্নসম্পদ কারদাশিয়ান কখনো তার হাতে পানও নি, এমনকি এ বিষয়ে লেনদেন সম্পর্কে তিনি অবহিতও নন। তাই আমরা তদন্তকে উৎসাহিত করছি এবং আশা করছি এই প্রত্নসম্পদ যথার্থ মালিকের হাতে ফেরত যাবে।
আলোচ্য মূর্তিটি চুনাপাথরে তৈরি ‘ফ্রাগমেন্ট অব মাইরনস সামিয়ান অ্যাথেনা’ নামের মূর্তি। এটি বানানো হয়েছিল প্রথম অথবা দ্বিতীয় খ্রিস্টাব্দে। ‘অ্যান্টিকস অ্যান্ড মডার্ন ফার্নিচার অ্যান্ড ডেকোরেশনস অবজেক্টসর’ শিপমেন্টের অধীনে ২০১৬ সালের জুনে লস অ্যানজেলেস/লং বিচ সি পোর্টে এই প্রত্নসম্পদটি জব্দ করেছিল যুক্তরাষ্ট্রের কাস্টমস অ্যান্ড বর্ডার প্রটেকশন। ওই শিপমেন্টে যুক্তরাষ্ট্রে নেয়া হয় ৪০টি আইটেম। এর মোট ওজন কমপক্ষে ৫ টন এবং সব মিলে এর মূল্য ৭ লাখ ৪৫ হাজার ডলারের বেশি। এ বিষয়ে কাস্টমস ব্রোকার যে ফর্ম জমা দিয়েছে তাতে ক্যালিফোর্নিয়ার উডল্যান্ড হিলসের আমদানিকারক হিসেবে কিম কারদাশিয়ান ডিবিএ (ডুয়িং বিজনেস অ্যাজ) নোয়েল রবার্ট ট্রাস্টকে উল্লেখ করা হয়। বার্তা সংস্থা এএফপি’র মতে নোয়েল রবার্টস ট্রাস্ট পুরোপুরিভাবে কিম কারদাশিয়ান এবং তার স্বামী কেনি ওয়েস্টের রিয়েল এস্টেট কেনাকাটার সঙ্গে যুক্ত।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *