বাংলাদেশসহ ৪ দেশের বিরুদ্ধে মালয়েশিয়া ও ফিলিপাইনের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা

বাংলাদেশসহ এশিয়ার মোট চারটি দেশের নাগরিকদের বিরুদ্ধে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ফিলিপাইন। অন্যদিকে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দেয়ার কথা মালয়েশিয়ায়। তারা এখনও সুনির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা করেনি। বাংলাদেশ বাদে অন্য দেশগুলো হলো- পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও নেপাল। ৭ই মে থেকে ১৪ই মে পর্যন্ত ফিলিপাইনে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর থাকবে। তবে মালয়েশিয়ায় এই নিষেধাজ্ঞা কবে থেকে কার্যকর তা নিশ্চিত করে বলা হয়নি। এ খবর দিয়েছে অনলাইন স্ট্রেইটস টাইমস, সিএনএন। খবরে বলা এই চারটি দেশের নাগরিকদের বিরুদ্ধে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দেবে মালয়েশিয়া।
এর উদ্দেশ্য সংশ্লিষ্ট দেশ থেকে করোনা ভাইরাস বা এর ভ্যারিয়েন্ট যাতে মালয়েশিয়ায় প্রবেশ করতে না পারে। এর আগে ভারতীয় করোনা ভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট সংক্রমণ যাতে মালয়েশিয়ায় প্রবেশ করতে না পারে, সেজন্য ভারত থেকে বা ভারতগামী সব রকম ফ্লাইটের ওপর ২৮ শে এপ্রিল থেকে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে দেশটি। এই নিষেধাজ্ঞার অধীনে ভারতীয় জাহাজ, নাগরিক- যাদের মালয়েশিয়ায় ওয়ার্কপারমিট আছে, তারাও দেশটিতে প্রবেশ করতে পারবেন না। বুধবার মালয়েশিয়ার সিনিয়র মন্ত্রী ইসমাইল সাবরি ইয়াকুব বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান এবং নেপালের নাগরিকদের বিরুদ্ধে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দেয়া হবে বলে ঘোষণা দেন। সাংবাদিকদের কাছে তিনি বলেছেন, এসব দেশের সব রকম নাগরিকদের বিরুদ্ধে ভ্রমণের ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ থাকবে। এর মধ্যে রয়েছেন দীর্ঘমেয়াদী সামাজিক ভিজিট ভিসাধারী, ব্যবসায়ী ভ্রমণকারী এবং সামাজিক সফরকারীরাও। তবে ভিয়েনা কনভেনশনের ডিপ্লোম্যাটিক রিলেশন্স ১৯৬১তে বর্ণিত নিয়ম অনুযায়ী, এই নিষেধাজ্ঞার বাইরে থাকবেন কূটনৈতিক পাসপোর্টধারী ও কর্মকর্তারা। তবে তাদেরকে বিদ্যমান অপারেটিং প্রক্রিয়া ব্যবহার করে মালয়েশিয়া প্রবেশ করতে হবে। মালয়েশিয়ায় করোনা মহামারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সমন্বিতভাবে কাজ করা এজেন্সি ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিল স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবে সম্মত হয়েছে যে, এই নিষেধাজ্ঞার বাইরে রাখা যাবে মালয়েশিয়ার নাগরিকদের। তারা দেশে প্রবেশ করলেই ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে।
ওদিকে মালয়েশিয়া কবে থেকে নিষেধাজ্ঞা দেবে তা নিশ্চিত করে না জানালেও ফিলিপাইনের নির্বাহী সচিব সালভাদর মেডিয়ালডিয়া বুধবার জানিয়েছেন, তাদের দেশে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে ৭ই মে থেকে ১৪ই মে পর্যন্ত। বলা হয়েছে, এই চারটি দেশ থেকে যেসব যাত্রী নিষেধাজ্ঞার আগে ফিলিপাইনে গিয়েছেন অথবা সেখানে অবস্থান করছেন- তাদেরকে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে, যতক্ষণ তাদের আরটি-পিসিআর টেস্ট নেগেটিভ না আসবে। কিন্তু ট্রানজিট ব্যবহার করে কোন যাত্রী যদি ফিলিপাইনে প্রবেশ করেন তাহলে তাদের ক্ষেত্রে এই নিয়ম কার্যকর হবে না। কারণ, তারা দীর্ঘ সময় বিমান বন্দরে অপেক্ষা করেছেন এবং অভিবাসন বিভাগ থেকে তাদেরকে ওইসব দেশে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি। ফলে তারা ফিলিপাইনে একবার পৌঁছতে পারলে তাদেরকে ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকার প্রয়োজন নেই।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *