লকডাউনের পর চীনে সব হোটেল খুলেছে ম্যারিয়ট

 চীনে সব হোটেল খুলেছে ম্যারিয়ট। একই সঙ্গে ধীরে ধীরে পর্যটন ব্যবসায় গতি ফিরে আসছে বলে জানিয়েছে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম এ হোটেল চেইন। চীনে ম্যারিয়টের হোটেল রয়েছে মোট ৩৫০টি। বর্তমানে এগুলোয় অতিথি রয়েছেন সক্ষমতার ৪০ শতাংশ। গত সোমবার চীনে নিজেদের ব্যবসা পরিস্থিতি নিয়ে একটি হালনাগাদ বিবৃতিতে এ তথ্য জানায় ম্যারিয়ট। খবর বিবিসি।

গত সপ্তাহে ম্যারিয়ট জানিয়েছিল, বৈশ্বিক মহামারী নভেল করোনাভাইরাসের বিস্তারের কারণে তাদের হোটেল ব্যবসায় মারাত্মক প্রভাব পড়ে। তবে সোমবার এ হোটেল চেইনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আর্নে সেরেনসন বলেন, জানুয়ারির শেষ দিকে যখন চীনে নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণ তীব্র আকার ধারণ করে, তখন দেশটিতে তাদের হোটেলে অকুপেন্সি ৭ শতাংশে নেমে যায়। তবে এখন হোটেলে অতিথির সংখ্যা বাড়ছে। চীনে যে এখন শুধু অবকাশ যাপনজনিত ভ্রমণই বেড়েছে তা নয়, একই সঙ্গে বাড়ছে ব্যবসায়িক ভ্রমণও। তিনি আরো জানান, অতিথির সংখ্যা বৃদ্ধির এ হার আপাতত বেশ স্বস্তিদায়ক হলেও পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক হতে বেশ সময় লাগবে। অকুপেন্সি ভাইরাস-পূর্ববর্তী অবস্থায় ফিরতে লেগে যাবে কয়েক বছর।

ম্যারিয়ট জানায়, যুক্তরাষ্ট্রেও হোটেলকক্ষের চাহিদা বাড়ছে। তবে তা চীনের চাহিদার অর্ধেকের মতো। রিটজ-কার্লটন ও শেরাটনের মতো ৩০টি ব্র্যান্ডের এ হোটেল চেইন এরই মধ্যে তাদের কর্মীদের ছুটিতে পাঠানোর মেয়াদ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়িয়েছে। একই সঙ্গে কমানো হয়েছে কর্মঘণ্টা।

এদিকে দুই সপ্তাহ আগে চীনে ফের নিজেদের ২৫৫টি হোটেল খুলেছে ম্যারিয়টের প্রতিদ্বন্দ্বী হিলটন। তবে এক্ষেত্রে কর্মী ও অতিথিদের ভাইরাস থেকে সুরক্ষার জন্য নেয়া হয়েছে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা। মূলত নভেল করোনাভাইরাসের কারণে চীনে প্রথমেই যেসব শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তার মধ্যে অন্যতম হোটেল ও পর্যটন। এ দুই খাত আবার চাঙ্গা হতে সময়ও লাগবে তুলনামূলক বেশি।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *