রোহিঙ্গা সংকটের সর্বশেষ বিচারিক পরিস্থিতি প্রসঙ্গে

আশার বাণী এই যে, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর মিয়ানমারের সশস্ত্র বাহিনীর অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের পরিস্থিতির কিছুটা পরিবর্তন ঘটেছে। গণতন্ত্র, সুশাসন এবং আইনের শাসনের পরিপন্থী এ অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড সীমাহীন দুর্ভোগ বয়ে এনেছে। এটি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের হাজার হাজার মানুষকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছে এবং সীমানা পেরিয়ে বাংলাদেশে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে পাড়ি জমাতে বাধ্য করেছে। মুসলিম সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ২০১৭ সাল থেকে শুরু হওয়া ক্র্যাকডাউনে ২৫ হাজারের বেশি লোক মারা গেছে এবং প্রায় ১০ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।

ইউক্রেন সংকট নিয়ে প্রথম থেকেই সোচ্চার থাকলেও এই প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্র এগিয়ে এসেছে এবং স্বীকার করেছে যে, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে গণহত্যা সংঘটিত হয়েছে।

২০২২ সালের ২১ মার্চ মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিংকেন আনুষ্ঠানিকভাবে ইংগিত দিয়েছেন যে, বিশ্বে অষ্টমবারের মতো গণহত্যা সংঘটিত হয়েছে। এর মাধ্যমে তিনি রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর চলা মিয়ানমার সেনাবাহিনীর আগ্রাসনের দিকে ইংগিত করেছেন। মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী রোহিঙ্গাদের গ্রাম ধ্বংস, হত্যা, ধর্ষণ, নির্যাতনের মতো ভয়াবহ অপরাধ সংঘটিত করেছে। তারা দেখাতে চেয়েছে যে, এ অপরাধগুলো কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে হামলা ছিল ব্যাপক এবং নিয়মতান্ত্রিক, যা মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের সংকল্পে পৌঁছানোর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ব্লিংকেন পর্যবেক্ষণ করেছেন যে, উপলব্ধ প্রমাণগুলোও এ ব্যাপক নৃশংসতার পেছনে একটি স্পষ্ট অভিপ্রায় নির্দেশ করে—রোহিঙ্গাদের সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে ধ্বংস করার অভিপ্রায়। পরিকল্পনাটি অপারেশনে অংশ নেয়া সৈন্যদের বরাত থেকেই নিশ্চিত করা গেছে। গণহত্যায় অংশ নেয়া ও পরবর্তী সময়ে দলত্যাগী একজন সৈন্য বলেছেন যে তাকে তার কমান্ডিং অফিসার বলেছিল, ‘যেখানে মানুষ দেখা যায় সেদিকেই গুলি করো।’ শেষ উদ্ধৃতি ‘গ্রাম জ্বালিয়ে দাও, নারীদের ধর্ষণ ও হত্যা করো’। রোহিঙ্গাদের ওপর হামলা, মসজিদে ব্যাপক হামলা, মুসলমানদের পবিত্র গ্রন্থ কুরআনের অবমাননা করার সময় বার্মিজ সামরিক বাহিনীর সদস্যরা যে জাতিগত স্লোগান দিয়েছে তাতেও এ অভিপ্রায় স্পষ্ট হয়েছে। কয়েক দশক ধরে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী অন্যান্য জাতিগত ও ধর্মীয় সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে হত্যা, ধর্ষণ এবং অন্যান্য নৃশংসতা করেছে—যেগুলো সুস্পষ্টভাবে নথিভুক্ত রয়েছে।

আমাদের বুঝতে হবে আন্তর্জাতিক আদালতে নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের জন্য গাম্বিয়া এবং ওআইসির এ প্রচেষ্টার বিশেষ তাত্পর্য রয়েছে। আন্তর্জাতিক আদালত জাতিসংঘের প্রধান বিচার বিভাগীয় অঙ্গ। ১৯৪৫ সালের জুনে জাতিসংঘের সনদ দিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ১৯৪৬ সালের এপ্রিলে এর কার্যক্রম শুরু করে। আদালতটি জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ এবং নিরাপত্তা পরিষদের মাধ্যমে নয় বছরের জন্য নির্বাচিত ১৫ জন বিচারকের সমন্ব্বয়ে গঠিত। আদালতটি নেদারল্যান্ডসের হেগ শহরের ‘পিস প্যালেসে’ অবস্থিত। দুটি দিক দিয়ে এ আদালতের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। প্রথমত, আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে বিরোধের নিষ্পত্তি করা যা সংশ্লিষ্ট পক্ষের ওপর বাধ্যতামূলক হবে। এখানে আপিল ছাড়াই রাষ্ট্র কর্তৃক আইনি বিরোধ নিষ্পত্তির সুযোগ আছে। দ্বিতীয়ত, জাতিসংঘের অঙ্গ এবং প্রাতিষ্ঠানিক সিস্টেমের মাধ্যমে উল্লিখিত আইনি প্রশ্নগুলোয় পরামর্শমূলক মতামত দেয়া।

একই সময়ে ইউরোপে সংঘটিত অন্যান্য অপরাধমূলক ঘটনা সম্পর্কে বিশ্লেষকরা ইচ্ছাকৃতভাবে এড়িয়ে গেছেন বলে মনে হচ্ছে, যা নেদারল্যান্ডসের আন্তর্জাতিক আদালতে গাম্বিয়ার আবেদনের সঙ্গে সম্পর্কিত। যেখানে মিয়ানমারের কর্তৃপক্ষকে গাম্বিয়ার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গণহত্যার অপরাধের প্রতিরোধ ও শাস্তি সংক্রান্ত প্রচলিত আইনের অধীনে শাস্তি দেয়া হয়েছে।

মলি কোয়েল অবশ্য মিডিয়ার দৃষ্টি আকর্ষণ করার সুযোগ নিয়েছিলেন। তিনি মিডিয়ার সামনে একটি প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন—২৮ ফেব্রুয়ারি শেষ হওয়া এক সপ্তাহের শুনানিতে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ১৯৪৮ সালের চুক্তি লঙ্ঘনের জন্য আন্তর্জাতিক আদালতের সিদ্ধান্ত নেয়ার এখতিয়ার আছে কিনা।

পশ্চিম আফ্রিকার দেশ গাম্বিয়া ২০১৯ সালে হেগের জাতিসংঘের আদালতে একটি অভিযোগ দায়ের করে। যেখানে মুসলিম সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর প্রতি মিয়ানমারের আচরণ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী গণহত্যা কনভেনশন লঙ্ঘন করেছে বলে অভিযোগ করে। মিয়ানমার যুক্তিতর্কে বলেছিল গাম্বিয়ার মামলা আনার কোনো অধিকার নেই। কারণ এর নাগরিকরা এ ঘটনায় আক্রান্ত বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি।

তবে এ বিরোধ-সংক্রান্ত বিচারিক প্রক্রিয়া আরো জটিল হয়ে উঠেছে। প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর অভ্যুত্থানে বেসামরিক নেতা অং সান সু চিকে গ্রেফতার করে। দুঃখজনক হলেও সত্যি শান্তিতে নোবেলজয়ী এ নেতা ২০১৯ সালে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে চলা প্রাথমিক শুনানির সময় তার দেশের সশস্ত্র বাহিনীর অন্যায়ের সমর্থনে হেগে এসেছিলেন। গণতান্ত্রিক নীতির বিপরীতে তিনি বর্তমানে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে কারাগারে আছেন। বর্তমানে দক্ষিণ এশিয়ার দেশটির প্রতিনিধিত্ব করছেন একজন সাবেক প্রোপাগান্ডা মন্ত্রী কো কো হ্লাইং।

মিয়ানমারের অ্যাক্টিভিস্ট গ্রুপগুলোও সামরিক জান্তাকে বিচ্ছিন্ন করার জন্য আন্তর্জাতিক আদালতকে এ মামলার শুনানি করতে অস্বীকার করার আহ্বান জানিয়েছে।

সর্বশেষ অধিবেশন চলাকালীন উদ্বোধনী বক্তব্যে আন্তর্জাতিক আদালতের সভাপতি জোয়ান ডনোগ বিষয়টি সম্পর্কে বলেন, ‘মামলার পক্ষগুলো রাষ্ট্র, বিশেষ কোনো সরকার নয়।’

লক্ষ করা যেতে পারে যে, মিয়ানমার তার যুক্তিতর্কে উল্লেখ করেছে, গাম্বিয়ার এ অভিযোগ দায়ের করার কোনো অধিকার নেই। কারণ তার জনগণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। মিয়ানমারের আইনজীবী স্টেফান তালমন শুনানির সর্বশেষ অধিবেশনে তার বিবৃতিতে বলেছেন, ‘মানবিক বিবেচনা কখনো স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে আইনগত আগ্রহ তৈরি করতে পারে না।’

যা-ই হোক, গাম্বিয়া খুব শক্তভাবে দ্বিমত পোষণ করে যুক্তি দিয়েছে, ‘যে কেউ জাতিসংঘ কনভেনশনের অধীনে কার্যক্রম শুরু করতে পারে’। গাম্বিয়ার বিচারমন্ত্রী দাউদা জালো তার উদ্বোধনী বিবৃতিতে বলেছেন, ‘আমরা যখন সভ্য জাতি হিসেবে, গণহত্যা কনভেনশনে নিজেদের প্রতিশ্রুতিবদ্ধ করেছিলাম তখনই আমরা এটিকে আমাদের দায়িত্ব বলে ধরে নিয়েছি।’

মিয়ানমারের সামরিক সরকারের নিয়োগ করা আইনজীবীদের মতে, গাম্বিয়া অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশনের একটি প্রক্সি হিসেবে কাজ করছে, যা বিশাল মুসলিম জনসংখ্যার দেশগুলোর প্রতিনিধিত্ব করে। অবশ্য ওআইসি গাম্বিয়াকে তার প্রচেষ্টায় সমর্থন করছে। এমনকি কানাডা ও নেদারল্যান্ডসসহ বিশ্বের অনেক দেশ তাদের উদ্যোগের প্রশংসা করেছে।

গাম্বিয়ার আইনজীবী পল রেইচলার এ অভিযোগগুলোকে ‘রাষ্ট্রীয় সার্বভৌমত্বের অবমাননা ও গাম্বিয়ার অপমান’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি এ আদালতের সর্বশেষ অধিবেশনে আরো বর্ণনা করেন, তিনি ৩৭ বছরের ক্যারিয়ারের সবচেয়ে হূদয় ছুঁয়ে যাওয়া মুহূর্তের সম্মুখীন হয়েছেন। যেখানে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে—শরণার্থী শিবির থেকে লাখো কণ্ঠে ভেসে আসছে ‘গাম্বিয়া গাম্বিয়া’।

২০২১ সালে আন্তর্জাতিক আদালত প্রাথমিকভাবে মিয়ানমারের বৌদ্ধ-সংখ্যাগরিষ্ঠ সরকারকে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সহিংসতা বন্ধ করতে এবং যেকোনো অপরাধের প্রমাণ রক্ষা করার পাশাপাশি আদালতে পরিস্থিতির অবস্থা নিয়মিত রিপোর্ট করার নির্দেশ দেয়। মিয়ানমারের অভ্যন্তরে এবং বিদেশ থেকে মানবাধিকার কর্মীদের প্রতিবেদন বলছে, মিয়ানমার তা পুরোপুরি মেনে চলছে না। শরণার্থীরা মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন এবং তারা সেখানে মর্যাদা ও নিরাপত্তার সঙ্গে বসবাস করতে পারবে—এ আশ্বাস দিয়েও রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশ থেকে নিজ দেশে ফেরত যেতে রাজি করানো যাচ্ছে না।

হিউম্যান রাইটস ওয়াচ রিপোর্ট করেছে যে যেখানে সামরিক জান্তার নিয়োগ করা আইনজীবীদের আদালতে মিয়ানমারের প্রতিনিধিত্ব করা নিয়ে সবাই উদ্বেগ প্রকাশ করছে। তবে রোহিঙ্গা অ্যাক্টিভিস্টরা তাদের স্বাগত জানিয়েছেন। কারণ উত্তর রাখাইন রাজ্যে নৃশংসতার জন্য দায়ী সশস্ত্র বাহিনীর কর্মকর্তাদের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য হলেও তারা আদালতে হাজির হয়েছে।

রোহিঙ্গা অ্যাক্টিভিস্ট ইয়াসমিন উল্লাহ মন্তব্য করেছেন, ‘গণ-সহিংসতার অপরাধীদের আদালতের মুখোমুখি দেখাটাই স্বার্থকতা। কারণ আমরা আইনি আদালতে সামরিক বাহিনীর উপস্থিতির কথা শুনিনি। তারা তো সবসময় প্রক্সি দিয়েই কাজ চালায়।’

মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের এমন উপস্থিতি অন্য মানবাধিকার কর্মীরাও লক্ষ করেছেন। তারা বিশ্বাস করেন মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীকে দায়বদ্ধ করার গতি ধীরে ধীরে গড়ে উঠছে। রোহিঙ্গাদের জোরপূর্বক প্রতিবেশী দেশে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে একটি তদন্তের প্রয়োজন রয়েছে বলে একটি সর্বজনীন এখতিয়ারের মামলা চলছে।

মিয়ানমার সেনাবাহিনীর হাতে যারা নির্যাতিত হয়েছেন তাদের জন্য এ ন্যায়বিচার অর্জনের সুদূরপ্রসারী পরিণতি রয়েছে। রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে নির্যাতন এখন সমগ্র মিয়ানমারজুড়ে প্রতিধ্বনিত হয়েছে। কারণ যে কমান্ডাররা রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে নৃশংসতা অভিযানগুলো তত্ত্বাবধান করেছিলেন এবং এক বছরের বেশি আগে একটি সামরিক অভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দিয়েছেন তারাই এখন দেশজুড়ে অন্যান্য জাতিগত গোষ্ঠীর ক্ষেত্রে মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ চালাচ্ছেন।

সমাপনী বিবৃতিতে গাম্বিয়া যুক্তি দিয়েছিল যে, গণহত্যার মামলায় মিয়ানমারের আপত্তি ছিল নিছক একটি বিলম্বের কৌশল এবং এ প্রক্রিয়া আরো বিলম্বিত হলে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে নৃশংসতার ঝুঁকি আরো বেড়ে যেতে পারে।

যদি মামলাটি এগিয়ে যায়, মিয়ানমারকে গাম্বিয়ার অভিযোগের জবাব দিতে হবে। কেন তার নিরাপত্তা বাহিনী রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে গণহত্যামূলক অভিযানে অংশ নিয়েছিল? এমন একটি সুযোগের জন্য ভুক্তভোগী পরিবারগুলো দীর্ঘদিন ধরে অপেক্ষা করছে।

২৮ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলমানদের বিরুদ্ধে কথিত গণহত্যার বিষয়ে গাম্বিয়ার মামলায় মিয়ানমারের প্রাথমিক আপত্তির শুনানি শেষ হয়। তবুও আইনি বিশ্লেষকরা মন্তব্য করেছেন যে মামলাটি এগোবে কিনা সে সিদ্ধান্ত নিতে আদালত এক বছর সময় নিতে পারেন। এরই মধ্যে মিয়ানমারে অবশিষ্ট ছয় লাখ রোহিঙ্গার সুরক্ষার জন্য আদালত ২০২০-এর আদেশ বহাল রেখেছেন। তবে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ মনে করে, মামলাটি চলতে থাকলে আদালতের রায়ে পৌঁছাতে কয়েক বছর সময় লাগতে পারে।

অবশ্য বাংলাদেশে পালিয়ে আসা হতভাগ্য রোহিঙ্গাদের জন্য এটি বেশ লম্বা একটি সময়। তারা মর্যাদা, নিরাপত্তা এবং সমান অধিকারসহ স্বদেশে প্রত্যাবর্তনের জন্য অধীর হয়ে দিন গুনছে।

এরই মধ্যে প্রত্যাশিতভাবেই মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ ব্লিংকেনের পর্যবেক্ষণকে অস্বীকার করেছে। সে দেশের কোনো জাতিগত সম্প্রদায়ের সদস্যদের ওপর কোনো গণহত্যা সংঘটনের সব আলামতকে তারা অস্বীকার করেছে।

রোহিঙ্গা শরণার্থীদের স্বদেশে দ্রুত প্রত্যাবাসনের সুবিধার্থে যুক্তরাষ্ট্রকে আরো সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে। এ প্রেক্ষাপটে আসিয়ানের ওপর প্রয়োজনীয় চাপ প্রয়োগ করা দরকার।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *