১৯টি শিল্পপ্রতিষ্ঠান রাষ্ট্রপতির শিল্প উন্নয়ন পুরস্কার ২০১৮ পেয়েছে। এদের মধ্যে বৃহৎ শিল্প ক্যাটাগরিতে চারটি, মাঝারি শিল্প ক্যাটাগরিতে চারটি, ক্ষুদ্র শিল্প ক্যাটাগরিতে তিনটি, মাইক্রো শিল্প ক্যাটাগরিতে তিনটি, কুটির শিল্প ক্যাটাগরিতে তিনটি এবং হাই-টেক শিল্প ক্যাটাগরিতে দুটি।
বৃহৎ শিল্প ক্যাটাগরিতে ব্রিটিশ-আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ কোম্পানি লিমিটেড, ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, এনার্জিপ্যাক ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড ও অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড পুরস্কার লাভ করে। মাঝারি শিল্প ক্যাটাগরিতে তাফরিদ কটন মিলস লিমিটেড, শেলটেক টেকনোলজি লিমিটেড, অকো-টেক্স লিমিটেড ও মেসার্স এনভয় ফ্যাশন লিমিটেড পুরস্কার লাভ করে। ক্ষুদ্র শিল্প ক্যাটাগরিতে কনসেপ্ট নিটিং লিমিটেড, এপিএস ডিজাইন ওয়ার্কস লিমিটেড ও সামিট অয়েল অ্যান্ড শিপিং কোম্পানি লিমিটেড পুরস্কার লাভ করে। মাইক্রো শিল্প ক্যাটাগরিতে ট্রিম টেক্স বাংলাদেশ, মাসকো ওভারসিজ লিমিটেড ও ক্রিমসন রোসেলা সি ফুড লিমিটেড; কুটির শিল্প ক্যাটাগরিতে ক্লাসিক্যাল হ্যান্ডমেড প্রডাক্টস বিডি, ইন্টেলিজেন্ট কার্ড লিমিটেড ও রূপকথা যুব ও মহিলা উন্নয়ন সংস্থা; হাই-টেক শিল্প ক্যাটাগরিতে সার্ভিস ইঞ্জিন লিমিটেড ও মেটাটিউড এশিয়া লিমিটেড পুরস্কার লাভ করে।
গতকাল রাজধানীর এক হোটেলে আনুষ্ঠানিকভাবে এসব সেরা শিল্পপ্রতিষ্ঠানকে রাষ্ট্রপতির শিল্প উন্নয়ন পুরস্কার ২০১৮ দেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন এমপি। বিশেষ অতিথি ছিলেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার এমপি ও এফবিসিসিআই সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম। শিল্প সচিব কেএম আলী আজম অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন এমপি বলেন, বিশ্ব অর্থনীতির পরিবর্তিত পরিস্থিতি, এসডিজি-২০৩০ ও রূপকল্প-২০৪১ বিবেচনা করে জাতীয় শিল্পনীতি-২০২১ প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এ লক্ষ্যে ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে নিয়ে নতুন শিল্পনীতি প্রণয়নের কাজ শুরু করেছে শিল্প মন্ত্রণালয়। হালকা প্রকৌশল শিল্প খাতের উন্নয়নে ইতোমধ্যে একটি পরিকল্পিত ও সময়াবদ্ধ রোডম্যাপ প্রণয়ন করা হচ্ছে। পাশাপাশি একটি বিশ্বমানের ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডাটাবেজ এবং শিল্প বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনেরও উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। শিল্প খাতে উন্নয়নের চলমান অভিযাত্রা অব্যাহত রেখে বাংলাদেশ নির্ধারিত সময়ের আগেই শিল্পসমৃদ্ধ রাষ্ট্রে পরিণত।
শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার সিন্ডিকেট ও কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির মাধ্যমে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রবণতা বন্ধের জন্য ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, সব ধরনের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে, তাই দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কোনো কারণ নেই। তিনি পণ্যের গুণগত মান নিশ্চিত করে দেশীয় পণ্যের রফতানি বাজার সম্প্রসারিত করার জন্য পুরস্কারজয়ীদের প্রতি পরামর্শ দেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজের অর্থকে কাজে লাগিয়ে প্রতিষ্ঠানের কর্মপরিবেশ উন্নয়ন ও উৎপাদন ও ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমে নতুন প্রযুক্তির সন্নিবেশ করার জন্য উদ্যোক্তাদের প্রতি আহ্বান জানান। এফবিসিসিআই সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম বলেন, ব্যাংকগুলোর গতানুগতিক মাইন্ডসেটের পরিবর্তন করে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের উদ্যোক্তাদের জন্য পর্যাপ্ত ঋণ সুবিধা নিশ্চিত করা প্রয়োজন।
শিল্প সচিব কেএম আলী আজম বলেন, বঙ্গবন্ধুই সর্বপ্রথম ১৯৭৩ সালে শিল্প বিনিয়োগনীতি প্রণয়নের মাধ্যমে শিল্প খাতকে নীতিসহায়তা প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। রূপকল্প-২০৪১ অনুসারে শিল্পসমৃদ্ধ উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণে শিল্প মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব সর্বাধিক। এ দায়িত্ব পালনে শিল্প মন্ত্রণালয় আন্তরিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।