রাউজানে ভারতের কৃষি গবেষকের পরামর্শে মাল্টা চাষে স্বাবলম্বী প্রেমতোষ

রাউজানের জয়নগর বড়ুয়া পাড়া এলাকায় দুই একর জমিতে মাল্টা বাগান গড়ে স্বাবলম্বী প্রেমতোষ বড়ুয়া।মাল্টা চাষে তিনি একজন সফল কৃষক।

[৩] প্রবাস থেকে দেশে ফিরে এসে তার বাড়ীর নিজ জমিসহ জমি খাজানা দিয়ে ২ একর জমিতে পৃথকভাবে মাল্টা গাছের চারা রোপন করে দুটি বাগান গড়ে তোলেন। এক একর আয়তনের ৩’শ ২০টি করে মাল্টা গাছের চারা রোপন করেন। প্রবাস ফেরৎ প্রেমতোষ বড়ুয়াকে এ বাগান গড়তে প্রথমে ঋণ নিতে হয়েছে। এখন প্রেমতোষের বাগান থেকে বছরে আয় হয় ৪ লাখ টাকা।

[৪] রাউজানের হাট-বাজারে তাঁর মাল্টার ব্যাপক চাহিদা বেড়েছে। বিশেষ কারণ হচ্ছে প্রেমতোষ বড়ুয়া মাল্টা বিষমুক্ত। কোন প্রকার রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার না করে নিজের তৈয়ারী জৈব সার ব্যবহার করে বিষমুক্ত মাল্টা বাগান গড়ে প্রেমতোষ বড়ুয়া। অন্যান্য মাল্টা বাগানে বছরে ফলন আসে একবার। তবে প্রেমতোষ বড়ুয়া বাগানে বছরে ফলন আসে দু’বার।

[৫] সরেজমিনে দেখা গেছে, প্রেমতোষ বড়ুয়া বাগানে এখন ঝুলছে শত শত মাল্টা।প্রতিদিন রাউজানের বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন এসে তাঁর বাগান থেকে মাল্টা ক্রয় করে নিয়ে যায়। প্রতি কেজি মাল্টা ১২০ টাকা করে বাজারে বিক্রয় করা হচ্ছে।
‘২-৪ টা নাটক বা বিজ্ঞাপনের কোনায় অংশগ্রহণ করলেই কেউ মডেল বা অভিনেত্রী হয়ে যায় না’ ≣ ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে প্লাবিত কক্সবাজার উপকূল ≣ [১] আন্তর্জাতিক ফাইন্যান্সিয়াল স্ক্যামার চক্রের ২ সদস্য গ্রেপ্তার

[৬] প্রেমতোষ বড়ুয়া জানায়, আমার এক একর আয়তনের মাল্টা বাগানে ৬০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। তিন বছর পরিচর্যা করে ৪ লাখ টাকার মাল্টা বিক্রয় করেছি। বর্তমানে দেশের কোনো জায়গায় মাল্টা নেই। ভারতের কৃষি গবেষকের পরামর্শে প্রাকৃতিক বিশেষ পদ্ধতিতে বছরের মধ্যে দু’বার ফলন ধরাতে সক্ষম হয়েছি। আমার বাগান প্রাকৃতিক রাসায়নিক সার ও কীটনাশক মু্ক্ত বাগান। বাগানে নিজের তৈয়ারী জৈব সার ব্যবহার করে বিষমুক্ত মাল্টা হাট-বাজারে বিক্রি করা হচ্ছে।

[৭] রাউজান উপজেলা কৃষি অফিসার ইমরান হোসাইন বলেন, প্রেমতোষ বড়ুয়া প্রাকৃতিক দুইএকর মাল্টা বাগান দেখে রাউজানে বিভিন্ন এলাকার অনেকেই মাল্টা চাষে ঝুঁকছেন।তাঁর বাগানের মাল্টা বিষমুক্ত। তাকে কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে পরামর্শ দিয়ে উৎসাহিত করেছি। তিনি এখন একজন সফল চাষি বলে জানান তিনি।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *