যশোর সদর উপজেলার বাহাদুরপুর গ্রামের শাহাদৎ হোসেন হত্যা মামলায় হারুনার রশীদ নামে একজনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় জাকির হোসেন নামে একজনকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (২৭ জানুয়ারি) বিকেলে এক রায়ে যশোরের বিশেষ দায়রা জজ ও স্পেশাল জজ (জেলা ও দায়রা জজ) আদালতের বিচারক মোহাম্মদ সামছুল হক এ রায় দিয়েছেন।
সাজাপ্রাপ্ত হারুনার রশীদ বাহাদুরপুর গ্রামের আব্দুল ওহাব মোল্লার ছেলে।
[১] নারী নির্যাতন ও ধর্ষনের প্রতিবাদে সিরাজগঞ্জে আইনজীবী ফোরামের মানববন্ধন ≣ [১] মৌলভীবাজারের শেরপুরে এবার হচ্ছে না ঐতিহ্যবাহী মাছের মেলা ≣ [১] করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সৌদি আরবে সোমবার থেকে জারি হচ্ছে ২১ দিনের সান্ধ্যকালীন কারফিউ
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ২০০০ সালের ২৯ আগস্ট রাত নয়টার দিকে শাহাদৎ হোসেন বাহাদুরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে একটি চায়ের দোকান থেকে চা পান করে বাড়ির উদ্দেশে রওনা হন। পথিমধ্যে নাজির মতিউর রহমানের বাড়ির সামনে পৌঁছালে দুর্বত্তরা তাকে কুপিয়ে জখম করে। এরপর মতিউর রহমানের বাড়ির লোকজন শাহাদৎকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। এসময় চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় নিহত শাহাদতের ভগ্নিপতি যশোর উপশহরের ই-ব্লকের বাসিন্দা ফজলুর রহমান বাদী হয়ে কোতয়ালী থানায় হত্যা মামলা করেন। পরে হত্যার সাথে জড়িত সন্দেহে হারুনার রশীদকে পুলিশ আটক করে এবং তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পরবর্তীতে পুলিশ হারুনার রশীদ ও জাকির হোসেন নামে দুইজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে।
সরকার পক্ষের আইনজীবী বিশেষ পিপি সাজ্জাদ মোস্তফা রাজা জানান, ২০ বছর ধরে এ মামলাটির বিচার কাজ চলেছে। দীর্ঘ শুনানিতে আসামি হারুনার রশীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক তাকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ছয় মাসের সশ্রম কারদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন। এছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় জাকির হোসেনকে খালাস দিয়েছেন আদালত। রায় ঘোষণা শেষে বিচারক দণ্ডিত হারুনার রশীদকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।