ভারত থেকে রেলপথে ১ হাজার ৬০০ টন পেঁয়াজ আমদানি করেছে যশোরের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স আহাদ আয়রন স্টোর। মহারাষ্ট্রের নাসিক থেকে আমদানি করা পেঁয়াজের চালানটি এরই মধ্যে দেশে এসে পৌঁছেছে। দীর্ঘদিন পর আমদানি হওয়ায় যশোরের বাজারে সরবরাহ বেড়ে পেঁয়াজের দাম আগের তুলনায় কমে আসতে পারে বলে আশা করছেন ব্যবসায়ীরা।
আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানটির স্বত্বাধিকারী এজাজ উদ্দিন টিপু বণিক বার্তাকে বলেন, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির জন্য গত ১৯ মে এলসি খোলা হয়েছিল। করোনা মহামারীর কারণে স্থলপথে আমদানি-রফতানি দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় রেলপথে পণ্যটি আনার উদ্যোগ নেয়া হয়। ৪১ ওয়াগনের ভারতীয় মালবাহী ট্রেনটি গত রোববার মহারাষ্ট্র থেকে পশ্চিমবঙ্গের গেদে স্টেশনে এসে পৌঁছে। আর সোমবার সেটি বাংলাদেশের দর্শনা স্টেশনে আসে। এরপর ট্রেনটি থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ আনলোড করা হয়।
যশোরের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী স্বপন সাহা বণিক বার্তাকে বলেন, স্থানীয় খুচরা বাজারে দেশে উৎপাদিত পেঁয়াজ কেজিপ্রতি ৪০-৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ২২-৩০ টাকায়। বাজারে বিক্রি হওয়া ভারতীয় পেঁয়াজের প্রায় পুরোটাই আগে আমদানি করা। রেলপথে নতুন করে আমদানি করা পেঁয়াজ এখনো বাজারে আসেনি। এসব পেঁয়াজ বাজারে ঢুকলে পণ্যটির দাম আরো কমে আসার সম্ভাবনা রয়েছে।