মেরকেলের অফিস ফটকে গাড়ি হামলা

বার্লিনে জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেলের অফিসের গেটে বুধবার এক গাড়ি ‘হামলা’র ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার পরপর গাড়িচালককে তাত্ক্ষণিকভাবে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। খবর রয়টার্স।

প্রতক্ষ্যদর্শীদের বরাতে এবং ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া ছবিতে দেখা গেছে, ফটকে আঘাত হানা গাড়িটির একপাশে সাদা রঙে ইংরেজিতে লেখা ছিল, ‘স্টপ গ্লোবালাইজেশন পলিটিক্স’ (বিশ্বায়নের রাজনীতি বন্ধ করো) এবং অন্য পাশে লেখা ছিল ‘ইউ ডেমন কিলারস অব চিলড্রেন অ্যান্ড ওল্ড পিপল’ (তুমি শিশু এবং বৃদ্ধদের জঘন্য হত্যাকারী)।

সরকারের মুখপাত্রের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, দ্য চ্যান্সেলর, সরকারি সদস্য এবং চ্যান্সেলরি অফিসে কর্মরতরা কখনই কোনো বিপদের মুখে ছিলেন না। পাশাপাশি এ হামলায় খুব বেশি ক্ষতি হয়নি বলে মন্তব্য করেন সরকারি মুখপাত্র স্টেফেন সেইবার্ট। যদিও এটা স্পষ্ট না যে সে সময় মেরকেল বিল্ডিংয়ের অভ্যন্তরে ছিলেন কিনা। ঘটনার পর ৫১ বছর বয়সী সেই ড্রাইভারটিকে হুইলচেয়ারে করে সরিয়ে নিয়েছে পুলিশ।

বার্লিন পুলিশের পক্ষ থেকে এক টুইট বার্তায় বলা হয়, ফেডারেল পুলিশসহ আমাদের সহকর্মীরা বর্তমানে ঘটনাস্থলে অবস্থান করছে। একটি গাড়ি বিল্ডিংয়ের ফটকের সামনে রয়েছে। আমরা প্রমাণের চেষ্টা করছি চালক ইচ্ছাকৃতভাবে গেটে হামলা করেছে কিনা। তাকে (চালক) পুলিশি হেফাজতে নেয়া হয়েছে।

এদিকে বার্লিন পুলিশের মুখপাত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে আরো বলে, তারা কোনো ধরনের উগ্রপন্থী হামলা বলে সন্দেহ করছে না। তিনি বলেন, আমরা এ মুহূর্তে কোনো ধরনের অনুমানের ভিত্তিতে কাজ করছি না।

এরপর দমকলকর্মীরা এসে গাড়িটিকে সরিয়ে নিয়েছে, গাড়িটির লাইসেন্স প্লেট বলছে সেটি লিপ্পের উত্তর-পশ্চিমের কাউন্টির। একই ধরনের লাইসেন্স প্লেটবাহী গাড়ি ২০১৪ সালেও এমন ঘটনা ঘটিয়েছিল বলে জানা গেছে। তবে এ আঘাতে চারপাশের বেষ্টনীর এবং গাড়িটির খুব বেশি ক্ষতি হয়নি।

বার্লিন মূলত বামপন্থী এবং বিশ্বায়নবিরোধী কর্মীদের আঁতুড়ঘর বলেই পরিচিত, যারা এর মাঝে বৈশ্বিক বড় কোম্পানিগুলোর উন্নয়ন পকিল্পনাগুলো বন্ধ করতে চেয়েছিল এবং খালি বাসাগুলো দখল করতে চেয়েছিল। আর এ কারণেই এটি পরিকল্পিত হামলা হতে পারে বলে মনে করছে অনেকে। পাশাপাশি বার্লিন শহরটি করোনাভাইরাস সম্পর্কিত বিধিনিষেধের বিপক্ষে আন্দোলনের কেন্দ্রও বটে। যে আন্দোলনে নয়া-নাজি এবং ষড়যন্ত্রতাত্ত্বিকরাও উপস্থিত থাকেন।

এর মাঝে বুধবার জার্মান স্টেট প্রিমিয়ারদের নিয়ে একটি ভিডিও কনফারেন্সের আয়োজক ছিলেন মেরকেল। যেখানে করোনাভাইরাস সম্পর্কিত লকডাউন এবং মহামারী রোধ করতে পরবর্তী পদক্ষেপগুলো নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা ছিল।

এদিকে সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে প্যারিস, নিস এবং ভিয়েনায় উগ্রপন্থীদের হাতে আটজনকে নিহত হওয়ার পর এখন সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় আছে ইউরোপ।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *