মুসা (আ.)- যে পাঁচটি দোয়া নিজের জন্য করেছেন

ইরশাদ হয়েছে, ‘তিনি (আল্লাহ) বলেন, হে মুসা, তুমি যা চেয়েছ তা তোমাকে দেয়া হলো।’(সুরা : ত্বহা, আয়াত : ৩৬)তাফসির : আগের কয়েকটি আয়াতে বর্ণনা করা হয়েছিল, মুসা (আ.) মহান আল্লাহর কাছে পাঁচটি দোয়া করেছেন। আল্লাহ তাঁর সব দোয়া কবুল করেছেন। আলোচ্য আয়াতে তাঁর দোয়া কবুলের ঘোষণা দেয়া হয়েছে।

মুসা (আ.) যে পাঁচটি বিষয়ে মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করেছিলেন, সেগুলো হলো—এক. আমার অন্তর প্রশস্ত করে দিন। দুই. আমার কাজ সহজ করে দিন। তিন. আমার জিহ্বার জড়তা দূর করে দিন। চার. আমার স্বজনদের মধ্য থেকে আমার জন্য একজন সাহায্যকারী বানিয়ে দিন। পাঁচ. আমার ভাই হারুন (আ.)-কে নবী হিসেবে নির্বাচিত করুন।

মহান আল্লাহ তাঁর সব দোয়া কবুল করেছেন। এ আয়াতে কয়েকটি বিষয় লক্ষণীয়, প্রথমত, যেকোনো সমস্যার সমাধানে আল্লাহর কাছে দোয়া করা উচিত। বিশেষত, মুখের জড়তা দূর ও কোনো কাজ সহজ হওয়ার জন্য মুসা (আ.)-এর উচ্চারিত শব্দগুলোর আলোকে দোয়া করা যায়।
[১] ঢাকা দক্ষিণে গোসসা নিবারণী পার্কের ডিজাইনে পরিবর্তন, বেইজমেন্টে পার্কিং শতাধিক ≣ [১] বিশ্বসেরা বিশ্ববিদ্যালয় তালিকায় ঢাবি ১,৬৮৪তম থেকে অধপতিত হয়ে ১,৭৯৪তম [২] শীর্ষ ১০টির আটটিই যুক্তরাষ্ট্রে ≣ মাটি খুঁড়লেই ‘হীরা’, এলাকাজুড়ে তোলপাড়!

দ্বিতীয়ত, এই আয়াত থেকে জানা যায়, মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করলে তিনি তা কবুল করেন। আর কখনো কখনো দোয়া তত্ক্ষণাৎ কবুল হয়ে যায়। যেমন মুসা (আ.)-এর এই পাঁচটি দোয়া মহান আল্লাহ তত্ক্ষণাৎ কবুল করেছেন। তবে এর অর্থ এই নয় যে সবার দোয়া সব সময় দ্রুত কবুল হয়। বরং দোয়া কবুলের কয়েকটি স্তর আছে।

হাদিসে এসেছে, ‘কোনো মুসলিম দোয়া করার সময় কোনো গুনাহের বিষয়ে অথবা আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নের দোয়া না করলে অবশ্যই আল্লাহ তাকে এ তিনটির কোনো একটি দান করেন। (১) হয়তো তাকে তার কাঙ্ক্ষিত বস্তু দুনিয়ায় দান করেন, (২) অথবা তা তার পরকালের জন্য জমা রাখেন এবং (৩) অথবা তার কোনো অকল্যাণ বা বিপদাপদ তার থেকে দূরে করে দেন। সাহাবিরা বলেন, তাহলে তো আমরা অনেক বেশি লাভ করব। তিনি বলেন, আল্লাহ এর চেয়েও বেশি দেন। (আত-তারগিব, হাদিস : ১৬৩৩)

তৃতীয়ত, এই আয়াতে দেখা যায়, মুসা (আ.)-এর দোয়া মহান আল্লাহ দ্রুত কবুল করেছেন। এর অর্থ এই নয় যে নবীদের সব দোয়া দ্রুত কবুল হয়; বরং কোনো কোনো নবীর দোয়াও বিলম্বে কবুল হয়েছে। যেমন- আইউব (আ.)-এর দোয়া বিলম্বে কবুল হয়েছে। আদম (আ.)-এর তাওবা বেশ সময়ের পর কবুল হয়েছে। এমনকি নবীদের কোনো কোনো দোয়া আল্লাহর বিশেষ হিকমতে দুনিয়ায় কবুল করা হয়নি।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *