পিলখানা হত্যাকাণ্ড: কোর্ট অব ইনকোয়ারির প্রতিবেদন জনসমক্ষে প্রকাশের দাবি মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিনের

হত্যাকাণ্ডের বিচার অত্যন্ত স্লো এবং স্লোত গতিতে চলছে উল্লেখ করেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, দীর্ঘ ১২ বছর অতিক্রান্ত হয়েছে। এখন পর্যন্ত এই হত্যাকাণ্ডের চূড়ান্ত ফয়সালা করা সম্ভব হয়নি। বিচারের দীর্ঘ সূত্রিতা আমাদেরকে হতাশ করেছে, দেশবাসী মর্মাহত হয়েছে।

[৩] সাবেক এই সেনা কর্মকর্তা বলেন, চলতি বছরের মধ্যে লিভ টু আপীল এবং আপীলের কার্যক্রম শুরু হবে বলে এমন কোনো আশা, এমন কোনো লক্ষণ আমরা দেখতে পাচ্ছি না। হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচার নিশ্চিতের জন্যে বিচার বিভাগের প্রতি আবেদন জানান তিনি। সেই সাথে পিলখানা হত্যাকাণ্ডের বিচারের রায় চলতি বছরের মধ্যেই করার দাবি জানায় বিএনপি।

[৪] তিনি অভিযোগ করে বলেন, ইতিমধ্যে নিম্ন বিচারিক আদালতে দণ্ডপ্রাপ্ত যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগ নেতাকে খালাস দিয়ে দেয়া হয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডের সাথে যারা প্রত্যক্ষভাবে জড়িত তাদেরকে বিচারের আওতায় আনা হয়েছে, সবাইকে আনা হয় নাই, কয়েকজনকে আনা হয়েছে।
[১] লেবাননের সাবেক প্রধানমন্ত্রী রফিক আল-হারিরি হত্যায় হিজবুল্লাহ জড়ি নয়: আদালত ≣ [১] কোরবানির ঈদে বাড়ি ও পশু কিনতে হাটে যাওয়া হবে আত্মঘাতি, মতামত বিশেষজ্ঞদের ≣ [১] বোয়ালমারীর ঘোষপুর ইউপি চেয়ারম্যান ফারুক হোসেন গ্রেপ্তার

[৫] হাফিজ উদ্দিন বলেন, এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীকে দূর্বল করার জন্যে। এর বেনেফিশিয়ারি কারা সেটিও দেশবাসী পরিস্কার জানতে চায়। এই হত্যাকাণ্ডে যারা পরিকল্পনাকারী দেশ-বিদেশী ষড়যন্ত্রকারী তারা এখন পর্যন্ত পর্দার অন্তরালে। সরকারকে অনুরোধ জানাবো হত্যাকাণ্ডের যারা পরিকল্পনাকারী দেশি-বিদেশী শক্তিসমূহ, ষড়যন্ত্রকারী তাদের সবাইকে বিচারের আওতায় আনা হোক।

[৬] বৃহস্পতিবার সকালে বনানী সেনা কবরস্থানে নিহত সেনা কর্মকর্তাদের স্মৃতি সৌধে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর তিনি একথা বলেন। সকাল পৌনে ১১টায় হাফিজ উদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে দলের নেতৃবৃন্দ স্মৃতিসৌধে যান। তারা নিহত সেনা কর্মকর্তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করেন।

[৭] বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত মেজর শাহজাহান ওমর, অবসরপ্রাপ্ত এয়ার ভাইস মার্শাল আলতাফ হোসেন চৌধুরী, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত লে. জেনারেল সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল ফজলে এলাহী আকবর, অবসরপ্রাপ্ত কর্ণেল মো. ইসহাক, অবসরপ্রাপ্ত কর্ণেল মনিষ দেওয়ান, অবসরপ্রাপ্ত কর্ণেল কামরুজ্জামান, অবসরপ্রাপ্ত মেজর মো. হানিফ, অবসরপ্রাপ্ত মেজর সারোয়ার হোসেন, অবসরপ্রাপ্ত মেজর সাঈদুল ইসলাম, অবসরপ্রাপ্ত মেজর মো. হাসান, বিএনপি নেতা শামীমুর রহমান শামীমুর, শাহ খালেদ হাসান চৌধুরী, চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান উপস্থিত ছিলেন।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *