মুসকানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে সন্তানদের নিয়ে মা-বাবাদের ভিড়

ভারতে বিজেপিশাসিত কর্ণাটকে হিজাব ইস্যুতে ‘পোস্টার গার্ল’ হয়ে ওঠা মুসকান খানের বাড়ি বর্তমানে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ মুসকানের সঙ্গে দেখা করতে আসছেন। এর উদ্দেশ্য হল মুসকানকে তাদের সন্তানদের সাথে পরিচয় করিয়ে দেওয়া, যাতে তারাও মুসকানের মতো হওয়ার চেষ্টা করে। পারসটুডে

[৩] গণমাধ্যমের পক্ষ থেকে মুসকানের কথা বুঝতে এবং তাকে কাছ থেকে জানতে সম্প্রতি তার বাড়িতে যাওয়া হয়েছিল। কর্ণাটকের দুটি বড় শহর, ব্যাঙ্গালোর এবং মহীশূরের মধ্যে অবস্থিত মান্ডা একটি শান্ত শহর। হিজাব বিতর্কের কেন্দ্রস্থল উডুপি থেকে সাড়ে তিনশ’ কিলোমিটার দূরে এই শহর, কিন্তু এই বিতর্কের উত্তাপ এখানেও রয়ে গেছে। এখানকার সাদাত নগর এলাকাটি একটি সাধারণ মুসলিম এলাকা, যা আজকাল কৌতূহলের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। এখানে মুসকানের বাড়িতে অনেক হৈচৈ। দলে দলে নারী-পুরুষের একটানা আনাগোনা চলছে। তাদের সঙ্গে হিজাব পরা ছোট ছোট মেয়েদের হাত ধরে আসতে দেখা গেছে। মুসকানের সঙ্গে দেখা করে ফেরা মেয়েদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়েছে। এই মেয়েরা নিজেদেরকে এত সুন্দর করে ঢেকে রেখেছে যে চোখও ঠিকমত দেখা যাচ্ছিল না।

[৪] সাদাত নগরের তিনতলা বাড়িতে বাবার পুরনো টিভি মেরামতের দোকান। ছোট ভাইয়ের একটি জিম আছে, যা বর্তমানে বন্ধ রয়েছে। বাড়ির এক অংশে ভাড়াটিয়ারাও থাকেন। মুসকানের বাড়িতে যেখানেই জায়গা আছে সেখানে ফুলের তোড়া আছে। তার হিজাব পরা এবং প্রতিবাদী হাত উপরে তোলা কয়েক ডজন পোস্টার দেওয়ালে টাঙানো আছে। ঘরের কোথাও কোনো খালি জায়গা নেই। সেখানে অভিনন্দনকারীদের ব্যাপক ভিড়।

[৫] মানুষ তার সঙ্গে দেখা করার জন্য অপেক্ষা করছে। কেউ এসেছেন ব্যাঙ্গালোর থেকে, কেউ এসেছেন মহীশূর থেকে পুরো পরিবার নিয়ে। কেউ শহরেরই পাশের এলাকা থেকে এসেছেন, আবার কেউ দূরের গ্রাম থেকে তাদের মেয়েদের নিয়ে এসেছেন। কিন্তু তার পরিবারে গণমাধ্যমের প্রতি ক্ষোভ স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। তার বাবা বলেছেন, গণমাধ্যম তার মেয়ের ভুল ছবি তুলে ধরছে। তবে সব ব্যস্ততার মধ্যেও গণমাধ্যমের প্রশ্নের উত্তর দিতে রাজি হন মুসকান।

[৬] মুসকান বলেন, আমি সেদিন কোনো ধর্মীয় স্লোগান দিচ্ছিলাম না। আমি বিপদের মধ্যে ছিলাম এবং আল্লাহকে স্মরণ করে ‘আল্লাহু আকবর’ বলেছিলাম। আমার আল্লাহ আমাকে অনেক শক্তি দিচ্ছেন এবং আমি আমার আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞ।
[১] পাবনা চাটমোহরের প্রতিবন্ধী অরুণ দাশ একহাত দিয়ে বাঁশ শিল্পের কাজ করেই চালান ৯ জনের সংসার ≣ [১] ইংলিশ লিগে ব্রেন্টফোর্ডকে ৩-১ গোলে হারালো ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ≣ [১] দেবিদ্বারে কিশোরী ধর্ষণে অন্তসত্বার অভিযোগে থানায় মামলা, ধর্ষক গ্রেপ্তার

[৭] মুসকান বলেন, সেদিন আমি যখন কলেচে গিয়েছিলাম, ওই ছেলেরা ‘জয় শ্রী রাম’ বলে চিৎকার করছিল। আমাকে বলেছে বোরকাটা খুলে ফেলো। ভেতরে যেতে লাগলাম। আমি ভাবছিলাম যে আমার কিছু করা উচিত নয়, সোজা ক্লাসে চলে যাই, কিন্তু তারা আমার সামনেই আসছিল। গেরুয়া চাদর সামনে এনে বলছিল, ‘জয় শ্রীরাম-জয় শ্রীরাম’, তখন আমি আমার আল্লাহর কথা স্মরণ করে বলেছিলাম, ‘আল্লাহু আকবর’।

[৮] মুসকান বলেন, আমার আল্লাহ আমার হৃদয়ে আবেগ জাগিয়েছেন, আমি আমার আল্লাহকে স্মরণ করেছি এবং আমার আল্লাহ আমাকে শক্তি ও সাহস দিয়েছেন।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *