মিয়ানমারের গণতান্ত্রিক সরকারকে উৎখাত এবং রাজনৈতিক শীর্ষ নেতাদের নির্বিচারে আটক নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। অবিলম্বে আটক মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সেলর অং সান সুচি, প্রেসিডেন্ট উইন মিন্টসহ দেশটির সরকার ও রাজনৈতিক দলের নেতাদের মুক্তি দাবি করা হয়েছে। বৃহসপতিবার এ নিয়ে জাতিসংঘের ওয়েবসাইটে একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়। জাতিসংঘে বৃটেনের স্থায়ী প্রতিনিধি বারবারা উডওয়ার্ড মিয়ানমার পরিস্থিতি নিয়ে ওই বিবৃতি দেন। এতে মিয়ানমারের জনগণের স্বার্থ ও ইচ্ছা অনুযায়ী আলোচনার মাধ্যমে ক্ষমতার হস্তান্তরের প্রতি জোর দেয়া হয়।
এর আগে, গত মঙ্গলবার নিরাপত্তা পরিষদ মিয়ানমার পরিস্থিতি নিয়ে জরুরি বৈঠক করে। কিন্তু তখন নিরাপত্তা পরিষদ নিন্দা প্রকাশের বিষয়ে একমত হতে পারেনি। ওই বৈঠক শেষে বৃটেন জানায়, তারা মিয়ানমার পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যাবে।
সর্বশেষ বিবৃতিতে নিরাপত্তা পরিষদ মিয়ানমারের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছে। বলা হয়েছে, মিয়ানমারে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ও প্রতিষ্ঠানগুলোকে সমুন্নত রাখা, সহিংসতা থেকে বিরত থাকা, মানবাধিকার, আইনের শাসন ও মৌলিক স্বাধীনতাকে সম্মান জানাতে হবে। মিয়ানমারে নাগরিক সমাজ, গণমাধ্যমকর্মী ও সাংবাদিকদের ওপর বিধিনিষেধ আরোপের বিষয়ে নিরাপত্তা পরিষদ উদ্বেগ জানিয়েছে। এছাড়া, জাতিসংঘের ত্রাণবাহী ফ্লাইট চালু করাসহ মানবিক সহায়তা পাওয়ার সুযোগ সৃষ্টির কথাও বলা হয়।
বিবৃতিতে ফেসবুক নিষিদ্ধসহ ইন্টারনেটে যে ফিল্টারিং চলছে তা নিয়ে উদ্বেগ জানান বারবারা। রাখাইনে যে সংকট চলছে তার প্রধান কারণ চিহ্নিত করে এর সমাধানের আহবান জানিয়েছে সিকিউরিটি কাউন্সিল। বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের পুনরায় রাখাইনে নিরাপদে, স্বেচ্ছায়, টেকসইভাবে এবং সম্মানের সঙ্গে প্রত্যাবাসন নিশ্চিতের আহ্বান জানানো হয়েছে।