মিয়ানমারে এক দিনে ১৮ জনের মৃত্যুতে জাতিসংঘ, ইইউ, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড়

মিয়ানমারে রোববার সেনা অভ্যুত্থান বিরোধী বিক্ষোভে অন্তত ১৮ জন নিহতের ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলো। অভ্যুত্থানের পর এটিই এক দিনে সর্বোচ্চ প্রাণহানির ঘটনা। ভিডিওতে পুলিশকে গাড়িতে থাকা অবস্থায় বিক্ষোভকারীদের ওপর এলোপাথাড়ি গুলি ছুঁড়তে দেখা গিয়েছে। আল জাজিরা/গার্ডিয়ান/বিবিসি/ইউরো নিউজ

[৩]জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের নির্বিচারে গ্রেপ্তার এবং তাদের ওপর প্রাণঘাতী অস্ত্রের ব্যবহার অগ্রহণযোগ্য।’ এই সময় তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সম্মিলিতভাবে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান।

[৪] ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র নীতি বিষয়ক প্রধান জোসেপ বোরেল এক বিবৃতিতে বলেন, ‘ ইইউ কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে যাচ্ছে। সামরিক কর্তৃপক্ষকে অবিলম্বে নাগরিকদের বিরুদ্ধে শক্তি প্রয়োগ বন্ধ করতে হবে। জনগণকে অবশ্যই মত প্রকাশ ও সমাবেশের স্বাধীনতা দিতে হবে।’
[১]দেশজুড়ে করোনা ঝুঁকি ক্রমেই বাড়ছে : বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. আলমগীর ≣ যেকারণে ১০ বছর ধরে মায়ের লাশ লুকিয়ে রেখেছেন মেয়ে ≣ [১] বাংলাদেশে অবস্থানরত ব্রিটিশ নাগরিকদের সিলেট থেকে ঢাকা হয়ে লন্ডন নিয়ে ছুটেছে বিশেষ ফ্লাইট

[৫] বার্মার নিরাপত্তা বাহিনীজনগণের বিরুদ্ধে ‘ঘৃণ্য সহিংসতা’ চালিয়েছে উল্লেখ করে এর নিন্দা জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন।

[৬] ব্রিটেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে আরো কঠোর নিষেধাজ্ঞার হুঁশিয়ারি দিয়েছে এবং জান্তা সরকারকে সহিংসদা বন্ধ করে গণতান্ত্রিক সরকারের কাছে শীঘ্রই ক্ষমতা হস্তান্তরের আহ্বান জানিয়েছে।

[৬] শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের ওপর সহিংসতা বন্ধে বার্মিজ সেনাবাহিনীকে আহ্বান জানিয়েছে তুরস্ক।

[৭] তবে রোববারের ঘটনার পরও সোমবার আরো বড় বিক্ষোভের পরিকল্পনা করেছেন বিক্ষোভকারীরা। মিয়ানমারের প্রথম ক্যাথলিক কার্ডিনাল চার্লস মাউং বো টুইটারে লিখেছেন, ‘মিয়ানমার যুদ্ধক্ষেত্রের মতো হয়ে গেছে।’ বিক্ষোভে পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারানো মিয়ানমারের ইন্টারনেট নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ার নেই নেই অং হটেট নাইং মৃত্যুর একদিন আগে ফেসবুক পোস্টে সেনাবাহিনীকে উদ্দেশ্য করে লিখেছিলেন, ‘কত লাশ দরকার?’

[৮]মিয়ানমার সেনাবাহিনী এই ঘটনা নিয়ে কোনো বিবৃতি দেয় নি। মিয়ানমারের রাষ্ট্রায়াত্ত গণমাধ্যম নিউ লাইটের প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘ সেনারা প্রথমে ধৈর্য্য দেখিয়েছে। কিন্তু বিশৃঙ্খলা প্রতিরোধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া জরুরি ছিলো।’

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *