মান্নান হীরা স্মরণ উৎসবের আজ শেষ দিন

প্রয়াত নাট্যকার মান্নান হীরার সৃষ্টি ও কর্মকে স্মরণ করে আরণ্যক নাট্যদল আয়োজন করেছে দুই দিনব্যাপী স্মরণ উৎসব। রাজধানীর জাতীয় নাট্যশালায় উৎসবটি শুরু হয় গতকাল। আজ স্মরণ উৎসবের শেষ দিন। এদিন বিকাল ৪টা থেকে শিল্পকলা একাডেমির নন্দন মঞ্চের পাশে খোলা চত্বরে মান্নান হীরা রচিত পাঁচটি পথনাটকের প্রদর্শনী হবে। পথনাটকগুলো হলো আরণ্যক নাট্যদলের ‘মূর্খ লোকের মূর্খ কথা’ ও ‘ঘুমের মানুষ’, সুবচন নাট্য সংসদের ‘বৌ’, উৎস নাট্যদলের ‘ইঁদারা’ ও থিয়েটার অঙ্গনের ‘ফুলেশ্বরীর কাব্যগাঁথা’।

গতকাল দুই দিনব্যাপী এ উৎসবের উদ্বোধন করেন নাট্যজন আতাউর রহমান ও নাসিরউদ্দিন ইউসুফ। উদ্বোধনী শেষে বেলা ১১টায় জাতীয় নাট্যশালার সেমিনার কক্ষে মান্নান হীরার নাটক নিয়ে সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। এতে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন ড. রতন সিদ্দিকী। এরপর সন্ধ্যা ৭টায় জাতীয় নাট্যশালায় দর্শনীর বিনিময়ে প্রদর্শিত হয় মান্নান হীরা রচিত নাটক ‘ময়ূর সিংহাসন’। নাটকটির নির্দেশক শাহ আলম দুলাল।

গত ২৩ ডিসেম্বর প্রয়াত হন নাট্যকার মান্নান হীরা। সিরাজগঞ্জে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে সমাহিত করা হয়। মান্নান হীরা ছিলেন দেশের অন্যতম নাট্যকার। পাশাপাশি ছিলেন অভিনেতা ও চলচ্চিত্র নির্মাতা। ২০০৬ সালে তিনি নাটক শ্রেণীতে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার লাভ করেন। মান্নান হীরা পথনাটক আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন দীর্ঘদিন। তিনি ছিলেন পথনাটক পরিষদের সভাপতি ও আরণ্যক নাট্যদলের সদস্য। প্রায় ১৫টি মঞ্চনাটক লিখেছেন তিনি। তার উল্লেখযোগ্য নাটকের মধ্যে রয়েছে ‘লাল জমিন’, ‘ভাগের মানুষ’, ‘ময়ূর সিংহাসন’, ‘সাদা-কালো’ ইত্যাদি। এছাড়া তিনি অসংখ্য পথনাটক লিখেছেন। ২০১৪ সালে সরকারি অনুদানে শিশুতোষ চলচ্চিত্র ‘একাত্তরের ক্ষুদিরাম’ তৈরি করেন। এটি তার পরিচালিত প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *