মহামারিতে বন্ধ হয়েছে ১৪ হাজার প্রাইভেট প্রাথমিক স্কুল, তথ্য নেই ইংলিশ মিডিয়াম ও কওমি মাদরাসার প্রকাশের সময় :

বার্ষিক প্রাথমিক বিদ্যালয় আদমশুমারিতে বলা হয়েছে, প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন খরচ বহন করতে ব্যর্থ হয়ে এক বছরে ১৪ হাজার ১১১টি প্রতিষ্ঠান স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে গেছে। মহামারির সময়ে বন্ধ হওয়া স্কুলগুলোর মধ্যে বেশিরভগই কিন্ডারগার্টেন ও এনজিও দ্বারা পরিচালিত। ডেইলি স্টার

[৩] ক্যাম্পেইনিং ফর পপুলার এডুকেশনের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, যেসব স্কুল বন্ধ হয়েগেছে তাদের জন্য বিভিন্ন ধরণের প্রণোদনা থাকা প্রয়োজন।

[৪] এপিএসসির প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, ২০২০ সাল থেকে ২০২১ সালের মধ্যে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র কমেছে ১৪ লাখ ৬১ হাজার ৬৩৪ জন কমেছে। আর শিক্ষক কমেছে ৮৩ হাজার ২৬৮ জন। ২০২০ সালে সারাদেশে সরকারি, বেসরকারি, এনজিও দ্বারা পরিচালিত স্কুল ও কিন্ডারগার্টেনসহ প্রাথমিক স্কুল ছিলো ১ লাখ ৩৩ হাজার ২টি। এই সংখ্যা ২০২১ সালে এসে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ১৮ হাজার ৮শ ৯১ টি।

[৫] বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ঐক্য পরিষদের চেয়ারম্যান ইকবাল বাহার চৌধুরী বলেন, কিন্ডারগার্টেনের অবস্থা ভয়াবহ। আমাদের অনুমানে মহামারির সময়ে কমপক্ষে ২০ হাজার কিন্ডারগার্টেন বন্ধ হয়েছে। অনেক শিক্ষক চাকরি হারিয়েছেন। বর্তমানে ৪০ হাজার কিন্ডারগার্টেনের অবস্থা ভালো নয়।

[৬] ইকবাল বাহার চৌধুরী আরো বলেন, শিক্ষকদের জন্য আর্থিক সহায়তা, কিন্ডারগার্টেনের মালিকদের ঋণ ও ক্ষতিগ্রস্থ স্কুলগুলির ইউটিলিটি বিল মওকুফ করা হয় তাহলে আমরা হয়তো বেঁচে থাকবো।[১] যমুনা ও পদ্মায় কালবৈশাখীর কবলে লঞ্চ, ৯৯৯ এ ফোন কলে ৫ শতাধিক যাত্রী উদ্ধার[১] যশোরে উপজেলা চেয়ারম্যানের বাড়িতে বোমা হামলা[১] যুক্তরাজ্যের একটি স্কুলে হাফপ্যান্ট পরায় নিষেধাজ্ঞা, মেয়েদের স্কার্ট পরে একদল তরুণের প্রতিবাদ

[৭] প্রতিবেদনের তথ্যে আরো দেখা গেছে, ২০২০ সালে এনজিও দ্বারা চালিত শিক্ষাকেন্দ্র বা স্কুল ছিলো ১৪ হাজার ২১১ টি। ২০২১ সালে এই সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৯শ ৫৮টি। ২০২০ সালে কিন্ডারগার্টেন ছিলো ২৯ হাজার ৮শ ৯৭টি। এই সংখ্যা ২০২১ সালে এসে দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ১শ ৯৩টি।

[৮] প্রতিবেদনের তথ্যে দেখা গেছে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২০ সালে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিলো ৬০.৫২ শতাংশ। এই সংখ্যা ২০২১ সালে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭০.২৩ শতাংশ।

[৯] সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়লেও ২০২১ সালে সব ধরনের প্রাথমিক স্তরের প্রতিষ্ঠানে ভর্তির হার কমেছে। ২০২০ সালে সমস্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিলো ২ কোটি ১৫লাখ ৫১ হাজার ৬৯১ জন। ২০২১ সালে এই সংখ্যা কমে এসে দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ৯০ হাজার ৫৭ জন।

[১০] প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মনসুরুল আলম বলেন, একটি মহল থেকে একটি প্রচার হয়েছিলো প্রাথমিক বিদ্যালয় আর কখনই খোলা হবে না। তাই অনেক অভিভাবক তাদের সন্তানদের কওমি মাদ্রাসায় দিয়ে ছিলেন। স্কুল খোলার পর তারা তারা সন্তানদের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ফিরিয়ে নিয়ে আনছেন।

[১১] প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন বলেন, বন্ধ হয়ে যাওয়া প্রাইভেট স্কুল ও কিন্ডারগার্টেন পুনরায় চালু করার কোন পরিকল্পনা নেই। আমরা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উন্নয়নে কাজ করছি। বেসরকারি বিদ্যালয়ের বেশিরভাগ শিক্ষার্থীই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চলে আসছে। প্রয়োজনে যেসব এলাকায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নেই সেখানে নতুন প্রতিষ্ঠান করব।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *