জুটি হয়ে চিত্রনাট্য লেখা বা জুটি হয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণের বিষয়টি চলচ্চিত্রের নিয়ম-নীতির মধ্যেই পড়ে। আবার সময়ের প্রয়োজনে সেটা ভেঙ্গেও যায়। চলচ্চিত্র নির্মাণে আরিফ-ইস্পাহানি জুটি এখনো অক্ষণ্ন থাকলেও ভেঙ্গে গেছে শাহীন সুমন ও অপূর্ব রানা জুটি। পরিচালক ওয়াজেদ আলী সুমন এবং শাহীন খান মিলে হয়েছেন শাহীন সুমন। কয়েকটি বাণিজ্যিক ছবির সুবাদে এই নামটি একটি স্বাতন্ত্র্য পায়। কিন্তু ওয়াজেদ আলী সুমন জানালেন, তিনি এখন আলাদাভাবে ছবি নির্মাণ করছেন।
শাহীন সুমন নামটির সঙ্গে তার আর কোনো সম্পর্ক নেই। শাহীন খানই এখন নামটি ব্যবহার করছেন এবং সেই নামেই তিনি চলচ্চিত্র নির্মাণ করছেন। অপূর্ব রানার ক্ষেত্রেও একই কথা। অপূর্ব রায় এবং কবিরুল ইসলাম রানা জুটি বেঁধে হয়ে উঠেন অপূর্ব রানা। এ নামটিও বাণিজ্যিক চলচ্চিত্রের সুবাদে প্রতিষ্ঠাও পেয়েছে। কিন্তু সম্প্রতি অপূর্ব রায় জানিয়েছেন, তিনি এখন ছবি বানাচ্ছেন না। শাপলা মিডিয়ার শুধুই একজন কর্মচারি। শাপলা মিডিয়া থেকে নির্মিত ছবিগুলোর তত্ত্বাবধান করেন তিনি। রানা এই নামটি ব্যবহার করেন। অপূর্ব বলেছেন, রানার নামটি ব্যবহার করায় অপূর্বের কোনো আপত্তি নেই। ওয়াজেদ আলী সুমনও একইভাবে বলেছেন, শাহীন খান ব্যবহার করছেন শাহীন সুমন। সেটাতে তার কোনো আপত্তি নেই।
কিন্তু ওয়াজেদ আলী সুমন বলেছেন, নাম নিয়ে কি লাভ যদি সেটা ব্যবহার করা না যায়। শাহীন সুমন ‘মাফিয়া’ নামে ছয়টি পর্বের বিস্তারে একটি ছবি নির্মাণ করেছেন। তাতে ছয় পর্বে ব্যবহার করেছেন ছয়জন পরিচালকের নাম। কেন শাহীন সুমন নামটি তিনি ব্যবহার করছেন না বা করতে পারছেন না, সেটা ভিন্ন প্রসঙ্গ। তবে ‘মাফিয়া’ ছবিটির একটি পর্ব গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কোনো প্রচার-প্রচারণা ছাড়াই সারা দেশে ২৫টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায়। কিন্তু তাতে ফল ভালো হয়নি। এমনকি সাফটা চুক্তির আওতায় শাপলা মিডিয়া ‘মাফিয়া’ সিরিজের ছয়টি ছবি এবার ভারতে রপ্তানি করতে গিয়ে আটকে গেল। নিম্নমানের ছবি হওয়াতে রপ্তানির অযোগ্য বলে রায় দিয়েছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের আমদানি-রপ্তানি কমিটি। উল্লেখ্য, এই কমিটির একজন সদস্য মন্তব্য করেছেন, ছবিগুলো রপ্তানি তো দূরের কথা, দেশেই প্রদর্শনের অযোগ্য।