ভাসানটেকের বেদখল হওয়া রাস্তার জমি উদ্ধার করা হবে

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, ভাসানটেকের মূল রাস্তাটি ১২০ ফুট চওড়া। আগে এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে ভীষণ যানজটে পড়তে হতো। আগের চিত্রের সঙ্গে বর্তমান চিত্রের আকাশ-পাতাল পার্থক্য। দুঃখের বিষয় হচ্ছে, এ ১২০ ফুট চওড়া রাস্তা পেরিয়ে ভেতরে ঢুকলে রাস্তা ২০ ফুট হয়ে যাচ্ছে। ভেতরের রাস্তা দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে। এসব স্থাপনা উচ্ছেদ করে রাস্তা প্রশস্ত করা হবে।

গতকাল বেলা ১১টায় ভাসানটেক পরিদর্শনকালে এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় তার সঙ্গে ১৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সালেক মোল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।

মেয়র বলেন, আমি মনে করি যতটুকু জায়গায় রাজউকের অনুমোদন আছে, ততটুকুতেই ভবন বানাতে হবে। দখলকৃত জায়গা ছেড়ে দিতে হবে। আমি রাজউকের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা বাড়ির সীমানা মার্কিং করবে। দখলকৃত জায়গা আমরা ভেঙে দেব।

দুপুর ১২টায় ১৬ নং ওয়ার্ডের ইব্রাহিমপুর এলাকা পরিদর্শন করেন মেয়র। ইব্রাহিমপুরে প্রায় চার কিলোমিটার রাস্তার উভয় পাশে প্রায় ৩৫০টি বাড়ি ও দোকানের সামনের দেয়াল ভেঙে প্রশস্ত করা হয়।

পরে বেলা আড়াইটার দিকে তেজগাঁও ট্রাকস্ট্যান্ড পরিদর্শনকালে আতিকুল ইসলাম বলেন, সড়কটি প্রায় ৪০ বছর পর মেয়র আনিসুল হক দখলমুক্ত করেন। কিন্তু মাঝে মাঝেই এখানে ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান পার্কিং করা হয়। আমরা পুলিশের সহায়তায় দখলমুক্ত করি, কিছুদিন পর আবার দখল হয়ে যায়। এর একটি স্থায়ী সমাধান আমাদের করতে হবে। এখানে প্রায় পাঁচ হাজার ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান আসা-যাওয়া করে। দুই হাজার ট্রাক রাতে এখানে থাকে। মাঝেমধ্যে ভেতরে থাকে, জায়গা না হলে বাইরে চলে আসে।

তিনি বলেন, গত কয়েক বছরে ট্রাক আরো বেড়েছে। আমরা এখন চিন্তা করছি এখানে রেলওয়ের জায়গা আছে। আমরা রেলওয়েকে চিঠি লিখব এখানকার ২১ বিঘা জমি ডিএনসিসিকে দেয়ার জন্য। এটি পেলে আন্ডারগ্রাউন্ডে এবং উপরে মাল্টি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করব।

পরিদর্শনকালে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমিরুল ইসলাম, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক উপস্থিত ছিলেন।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *