ব্যাংক চালু থাকলে পুঁজিবাজারও চালু থাকবে

নভেল করোনাভাইরাসের ক্রমবর্ধমান সংক্রমণ রুখতে সরকার দেশের যেসব স্থানে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি, সেটিকে রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত করে সাধারণ ছুটি ঘোষণার উদ্যোগ নিয়েছে। এ প্রেক্ষাপটে রাজধানীর মতিঝিলসহ বেশকিছু এলাকা রেড জোনের আওতায় পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এসব এলাকায় যদি ব্যাংক চালু থাকে, তাহলে পুঁজিবাজারও চালু থাকবে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

ডিএসইর চেয়ারম্যান মো. ইউনুসূর রহমান বণিক বার্তাকে বলেন, পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সঙ্গে জোনভিত্তিক সাধারণ ছুটির মধ্যে পুঁজিবাজার চালু রাখার বিষয়টি নিয়ে কথা হয়েছে। আমাদের সিদ্ধান্ত হচ্ছে যদি ব্যাংক চালু থাকে, তাহলে পুঁজিবাজারও চালু থাকবে। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের কর্মীদের মাধ্যমে কার্যক্রম সচল রাখার প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। পাশাপাশি বিধি অনুসারে লেনদেন চালু রাখতে ন্যূনতম যতজন ব্রোকারের অংশগ্রহণ বাধ্যতামূলক সেটি নিশ্চিত করার জন্য আমরা চেষ্টা করব।

গতকালের বাজার পরিস্থিতি

বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গতকাল লেনদেনের শুরুতেই নিম্নমুখী ছিল সূচক। তবে লেনদেনের দ্বিতীয় ঘণ্টা থেকে শেষ পর্যন্ত প্রায় একই অবস্থানে স্থির ছিল সূচক। গতকাল সূচকের সবচেয়ে বেশি ভূমিকা ছিল বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের। এদিন বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের শেয়ারদর কমেছে ৩ দশমিক ৮ শতাংশ।

গতকাল ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স প্রায় ৬ পয়েন্ট কমে ৩ হাজার ৯৫৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে, যা আগের দিন ছিল ৩ হাজার ৯৬৪ পয়েন্টে। ডিএসইর শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস গতকাল প্রায় ২ পয়েন্ট কমে দিন শেষে ৯১৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে, যা আগের দিন ছিল ৯২০ পয়েন্টে। ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ দিনের ব্যবধানে ৪ পয়েন্ট কমে গতকাল ১ হাজার ৩২৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে, আগের দিন শেষে যা ছিল ১ হাজার ৩২৯ পয়েন্টে।

গতকাল এক্সচেঞ্জটিতে মোট ৬১ কোটি টাকার সিকিউরিটিজ হাতবদল হয়েছে, আগের কার্যদিবসে যা ছিল ৫৪ কোটি টাকা। এদিন ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ২৬২টি কোম্পানি, মিউচুয়াল ফান্ড ও করপোরেট বন্ডের মধ্যে দিন শেষে দর বেড়েছে সাতটির, কমেছে ৩৪টির আর অপরিবর্তিত ছিল ২২১টি সিকিউরিটিজের বাজারদর।

খাতভিত্তিক লেনদেনচিত্রে দেখা যায়, গতকাল ডিএসইর মোট লেনদেনের ৩৮ শতাংশ দখলে নিয়ে শীর্ষে অবস্থান করছে ওষুধ খাত। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৪ শতাংশ দখলে নিয়েছে ব্যাংক খাত। ১৭ শতাংশ লেনদেনের ভিত্তিতে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাত। আর ৮ শতাংশ লেনদেনের ভিত্তিতে চতুর্থ অবস্থানে ছিল টেলিযোগাযোগ খাত।

গতকাল ডিএসইতে লেনদেনের ভিত্তিতে শীর্ষ সিকিউরিটিজ ছিল বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস, লিন্ডে বাংলাদেশ, ন্যাশনাল ব্যাংক, সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যালস, বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল কোম্পানি লিমিটেড, যমুনা ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক, ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিউটিক্যালস, রেকিট বেনকিজার ও শাইনপুকুর সিরামিকস।

দরবৃদ্ধির শীর্ষ কোম্পানির তালিকায় ছিল ভ্যানগার্ড এএমএল রূপালী ব্যাংক ব্যালান্সড ফান্ড, লিন্ডে বাংলাদেশ, প্রাইম ব্যাংক, এনসিসি ব্যাংক, পাওয়ার গ্রিড ও গ্ল্যাক্সোস্মিথক্লাইন বাংলাদেশ লিমিটেড।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *