বিশ্বের সবচেয়ে দামি প্রযুক্তি ব্র্যান্ড…

সম্প্রতি ‘বেস্ট গ্লোবাল ব্র্যান্ড’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। ইন্টারব্র্যান্ড প্রকাশিত এ তালিকায় আধিপত্য বিস্তার করে আছে বিভিন্ন প্রযুক্তি কোম্পানি। প্রতিবেদন অনুযায়ী, কভিড-১৯ মহামারীর ভয়াবহতার মধ্যে প্রযুক্তিনির্ভরতা অনেকাংশে বেড়েছে, যা বিভিন্ন প্রযুক্তি কোম্পানির ব্যবসায় উল্লম্ফন ঘটিয়েছে। ব্যবসা প্রবৃদ্ধির ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে প্রযুক্তি ব্র্যান্ডগুলোর বাজারমূল্যে। চলতি বছর বেস্ট গ্লোবাল ব্র্যান্ড শীর্ষক প্রতিবেদনের তালিকায় স্থান পাওয়া বিশ্বের সবচেয়ে দামি ৩০ প্রযুক্তি কোম্পানি নিয়ে আয়োজনের আজ শেষ পর্ব—

প্যানাসনিক

ইন্টারব্র্যান্ডের প্যারামিটার্স অনুযায়ী, চলতি বছর প্যানাসনিকের ব্র্যান্ডমূল্য ৫৮৪ কোটি ৪০ লাখ ডলারে পৌঁছেছে। এর সুবাদে প্রতিষ্ঠানটি চলতি বছর বিশ্বের সবচেয়ে দামি ব্র্যান্ডের তালিকায় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান হিসেবে ২৬তম অবস্থানে জায়গা পেয়েছে। জাপানভিত্তিক প্যানাসনিক বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ ইলেকট্রনিকস প্রযুক্তি এবং সলিউশন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান। কভিড-১৯ মহামারীর সময় ব্র্যান্ডটির পণ্যের চাহিদা বেড়েছে। এক সময় মোবাইল ডিভাইস বাজারেও প্রতিষ্ঠানটির সরব উপস্থিতি ছিল।

লিংকডইন

চলতি বছর পেশাজীবীদের দক্ষতা বৃদ্ধির ওয়েবসাইট লিংকডইনের ব্র্যান্ডমূল্য ৫২১ ডলারে পৌঁছেছে। এর সুবাদে প্রতিষ্ঠানটি চলতি বছর ইন্টারব্র্যান্ড প্রকাশিত বিশ্বের সবচেয়ে দামি ব্র্যান্ডের তালিকায় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান হিসেবে ২৭তম অবস্থানে জায়গা পেয়েছে। লিংকডইন মাইক্রোসফটের নিয়ন্ত্রণে যাওয়ার পর থেকে সেবায় বৈচিত্র্য আনতে জোর দেয়া হচ্ছে। ফলে প্লাটফর্মটির ব্যবহারকারী বাড়ছে দ্রুত, যা ব্র্যান্ডমূল্য বাড়াতে ইতিবাচক ভূমিকা রেখেছে। লিংকডইন পেশাজীবীদের অভিজ্ঞতা শেয়ারের মাধ্যমে পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির সুযোগ দেয়।

উবার

বিশ্বজুড়ে অসংখ্য শহরে অ্যাপভিত্তিক রাইডশেয়ারিং সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান উবার। ইন্টারব্র্যান্ডের প্যারামিটার্স অনুযায়ী, চলতি বছর উবারের ব্র্যান্ডমূল্য ৪৯৪ কোটি ২০ লাখ ডলারে পৌঁছেছে। এর সুবাদে প্রতিষ্ঠানটি চলতি বছর বিশ্বের সবচেয়ে দামি ব্র্যান্ডের তালিকায় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান হিসেবে আঠাশতম অবস্থানে জায়গা পেয়েছে। কভিড-১৯ মহামারী ঠেকানোর অংশ হিসেবে ঘোষিত লকডাউনের মধ্যে অন্যান্য যানবাহন সেবার মতো উবারের কার্যক্রম বন্ধ ছিল। এখন পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক হওয়ায় অনেক বাজারে পুনরায় কার্যক্রম শুরু করেছে উবার।

জুম

কভিড-১৯ মহামারীর নতুন বাস্তবতায় ঘরবন্দি মানুষের অফিসের মিটিংয়ে অংশ নিতে জুমের ব্যবহার উল্লেখযোগ্য বেড়েছে। পাশাপাশি অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এখন জুম ব্যবহার করছে। চলতি বছর জুমের ব্র্যান্ডমূল্য ৪৪৮ কোটি ১০ লাখ ডলার ছাড়িয়েছে। এর সুবাদে ইন্টারব্র্যান্ড প্রকাশিত বিশ্বের সবচেয়ে দামি ব্র্যান্ড তালিকায় প্রযুক্তি সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান হিসেবে ২৯তম অবস্থানে জায়গা পেয়েছে জুম। কভিড-১৯ মহামারীর মধ্যে প্রবৃদ্ধিতে উল্লম্ফন দেখা গেছে এমন প্রতিষ্ঠানের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে জুম।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *