তিন রাজনৈতিক বিশ্লেষক বললেন, বিরোধী দল সরকারের ভুল-ভ্রান্তি যোগ্যতার সঙ্গে ধরিয়ে দিয়েছে, এমন উদাহরণ খুব কম। নিস্ক্রিয় হওয়ার জন্য বিরোধী পক্ষ নিজেই দায়ী, আবার ক্ষমতাসীন দলেরও দায়ভার রয়েছে। আগামী দিনে আরও খারাপ হবে পরিস্থিতি।
[৩] গবেষক ও লেখক সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, সামগ্রিক অবস্থার উন্নতি ছাড়া বিরোধী দলের নিষ্ক্রিয়তা থেকে উন্নতির সম্ভাবনা নেই।
[৪] তিনি বলেন, রাষ্ট্র চালাচ্ছে সরকার কিন্তু এখানে সরকারি দলের কোনো ভূমিকা নেই। আমাদের বুঝতে হবে বিরোধী দল নিস্ক্রিয়, কারণ সরকারী দলও নিস্ক্রিয়। সরকার চালাচ্ছে প্রশাসন। সুতরাং বিরোধী দলেরও ভূমিকা নাই। অতলেই রয়ে যাবে।
[১] বিএসএমএমইউ’র অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম করোনায় আক্রান্ত ≣ [১] যশোরে বিষাক্ত মদ পানে ৮ জন মাদকসেবীর অস্বাভাবিক মৃত্যু ≣ [১] লালমনিরহাটে করোনায় নতুন ৬ জনসহ মোট আক্রান্ত ২২
[৫] ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল বলেন, দেশে একটা বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের নামে লাখ লাখ মামলা থাকে, শত শত নেতা গুম হয়, রাস্তায় নামলে পিটানো হয়, জনসভা করার অনুমতি দেওয়া হয় না, নির্বাচনে একজন পোলিং এজেন্টকে থাকতে দেওয়া হয় না। সরকারি দলের কাছেই প্রশ্ন করতে হবে, আপনারা এমন কী করছেন যে বিরোধী দলগুলো এমন নিষ্ক্রিয় হয়ে গেলো।
[৬] ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সাব্বির আহমেদ বলেন, বিরোধিতা কী, কীসের বিরোধিতা করবো এবং কীভাবে বিরোধিতা করবো- গত ২০ বছর ধরেই এ জায়গায় গুলিয়ে ফেলে আমাদের রাজনৈতিক দলগুলো। আগে বিরোধিতা হতো রাস্তায় এখন মিডিয়া ও সোশাল মিডিয়াতে।
[৭] তিনি বলেন, আমাদের দেখতে হবে, সরকারী দল বিরোধী দলগুলোকে কতটা শক্তি প্রদর্শনের সুযোগ করে দিচ্ছে। আবার বিরোধী দল কতটুকু তৈরি করতে পারছে। মূলত দু’দিকের ব্যর্থতা আছে। এর কারণ আমাদের দুর্বল রাজনৈতিক ব্যবস্থা। আমি মনে করি ভবিষ্যতে বিরোধী দলের অবস্থা আরো খারাপ হবে।