নভেল করোনাভাইরাস সংকটকালে সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনী বাড়িয়ে সর্বস্তরের মানুষকে প্রাধান্য দিয়ে বাজেটটি করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
গতকাল আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সদস্য সংগ্রহ অভিযানের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, মহামারীর সংকটকালে সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণের নিশ্চয়তা দিয়ে ২০২১-২২ অর্থবছরে ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। এখানে জীবন ও জীবিকাকে প্রাধান্য দিয়ে, সর্বস্তরের মানুষকে প্রাধান্য দিয়ে সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনী বাড়িয়ে এ বাজেট করা হয়েছে। মহামারীর মধ্যে জীবন এবং জীবিকার বিষয়টি মাথায় রেখে বাস্তবভিত্তিক সময়োপযোগী ব্যবসাবান্ধব, বিনিয়োগবান্ধব এবং সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণের নিশ্চয়তা দিয়ে বাজেটটি করা হয়েছে। সংকটকালে এটা সময়োপযোগী বাস্তবমুখী বাজেট। এরই মধ্যে বিভিন্ন মহল এ বাজেটের প্রশংসা করেছে।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বাজেট প্রতিক্রিয়ার সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বাজেটের এই দিনে তারা পূর্ণিমার ঝলমলে আলোতে অমাবস্যার অন্ধকার দেখছে। তারা আজ আবোল-তাবোল বকছে। তারা ভালো কিছু চোখে দেখে না। দিনের আলোতে তারা অন্ধকার দেখে। এটা হচ্ছে বিএনপির দৃষ্টিভঙ্গি। তাদের দল কখনো ভালো কিছু দেখে না। চোখ থাকতেও তারা হাওয়া ভবনের কালো চশমা পরে থাকে। সেজন্য প্রকৃত চিত্র তাদের কালো চশমায় ধরা পড়ে না।
আসন্ন ঢাকা-১৪, সিলেট-৩ এবং কুমিল্লা-৫ আসনেরর উপনির্বাচনে প্রার্থীতা প্রসঙ্গেও কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, এবার মনোনয়ন পেতে ইচ্ছুক প্রার্থীর সংখ্যা অনেক। খুব একটা অসুবিধা নেই, এ কথা মনে করে অনেকই আবার প্রার্থী হচ্ছেন। পায় আর না পায় প্রার্থী হতে চায়। কারণ বিএনপি নেই শুনেছে। সেই জন্য প্রার্থিতার দৌড়ও বেড়ে গেছে। নেত্রীর সঙ্গে নির্দিষ্ট কোনো ব্যক্তির বিষয়ে আলোচনা হয়নি। সাধারণ একটি গাইডলাইন তিনি দিয়েছেন। সেটা হলো ত্যাগী ও পরীক্ষিত কাউকে মনোনয়ন দেয়া হবে। যারা জনগণের কাছে অধিকতর গ্রহণযোগ্য এবং দুঃসময়ে ছিলেন। এমন একটি ধারণা তিনি আমাকে দিয়েছেন।
সংগঠনের সম্মেলন নিয়ে কাদের বলেন, যেসব সাংগঠনিক শাখার সম্মেলন হয়েছে, নিয়মিত কমিটি রয়েছে সেগুলোতে সদস্য সংগ্রহ বই দেয়া শুরু করব। কারণ করোনা কবে শেষ হবে কেউ জানে না। আমাদের এর সঙ্গে বসবাস করতে হবে। এর মধ্যে বাঁচতে শিখতে হবে। আমাদের সংগঠনও চালিয়ে যেতে হবে। আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলব। নাক-মুখ ঢেকে মাস্ক পরব।