বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক বহুমাত্রিক: কাদের

ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্ক বহুমাত্রিক উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক ও পারস্পরিক বোঝাপড়া ভালো হলে দুই দেশেরই অর্থনৈতিক উন্নয়ন সহজতর হয়।

তিনি বলেন, এ বাস্তবতায় ইতোমধ্যে সীমান্ত সমস্যা, ছিটমহল বিনিময়ের মতো দীর্ঘকালীন সমস্যারও সমাধান হয়েছে। তিস্তাসহ অভিন্ন নদীর পানিবণ্টনের বিষয়টিও আলোচনার মাধ্যমে এগিয়ে নেয়া হচ্ছে। আলোচনায় ইতোমধ্যে ইতিবাচক অগ্রগতি হয়েছে। দুই দেশের সরকার ও পিপল টু পিপল যোগাযোগ বাড়াতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অত্যন্ত উদার ও ভবিষ্যত্মুখী।

গতকাল সচিবালয়ের সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের বিদায়ী হাইকমিশনার রীভা দাশ গাঙ্গুলীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, ২১ বছর দুই দেশের মাঝে যে কৃত্রিম দেয়াল ছিল তা এখন আর নেই। দুই দেশের সম্পর্ক নতুন এক উচ্চতায় উন্নীত হয়েছে দুই প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিক উদ্যোগে।

সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, দেশের সড়ক যোগাযোগ অবকাঠামো উন্নয়নে ভারতীয় ঋণ কর্মসূচির আওতায় বেশকিছু প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। এসব প্রকল্পের অগ্রগতি আমাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। হাইকমিশনার তার কার্যকালে গৃহীত প্রকল্পগুলো এগিয়ে নিতে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়কে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। দেশের সড়ক অবকাঠামোগত উন্নয়ন, বিআরটিসির জন্য বাস ও ট্রাক সংগ্রহ, সড়ক উন্নয়নে যন্ত্রপাতি সংগ্রহে অর্থায়নের জন্য শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে ভারত সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছি।

রীভা দাশ গাঙ্গুলী বলেন, দুই দেশের সুসম্পর্ক বজায় থাকবে, অবশ্যই আরো ভালো হবে। গভীর ও দৃঢ় হবে। কয়েক বছরে অনেক কাজ হয়েছে। করোনার সময়ও আমরা অনেকগুলো নতুন নতুন উদ্যোগ নিয়েছি। স্বাভাবিক সময়ের মতো অনেক কাজ হয়েছে। সামাজিক দূরত্বের জন্য কাজে কোনো স্থবিরতা আসেনি। আগামীতে অবশ্যই আমাদের সম্পর্ক আরো ভালো হবে। আর দুজন নেতার (শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদি) মধ্যে যে ভিশনটা রয়েছে, এতে কোনো সন্দেহ নেই যে সম্পর্ক আরো কাছে আসবে। সড়ক, রেলপথ, নদীপথে যোগাযোগ আরো বাড়বে। মানুষ আর মানুষের মাঝে যোগাযোগটাও বাড়ছে।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *