বাংলাদেশের ৫০ বছর: কৃষির রূপান্তর ও অর্জন পুষ্টিসমৃদ্ধ নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ

পাঁচ দশক আগে সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশে অনেক বড় সংকট হয়ে দেখা দিয়েছিল খাদ্যনিরাপত্তার অভাব। সে সময় খাদ্যশস্যের উৎপাদনশীলতা ছিল অনেক কম। তবে এখন পুরোপুরি ভিন্ন চিত্র দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশে। দেশের কৃষি খাত এখন অনেকটাই এগিয়েছে। শস্যের ফলনশীলতা বেড়েছে কয়েক গুণ। খাদ্য উৎপাদনও হয় বেশি। একই সঙ্গে এগিয়েছে শস্যের বহুমুখীকরণও। খাদ্যশস্যের বার্ষিক উৎপাদন এখন স্বাধীনতা-পরবর্তীকালের তুলনায় প্রায় চার গুণ বেশি। সাফল্য এসেছে ফল ও সবজি উৎপাদনেও। এক্ষেত্রে কৃষকের পাশাপাশি কৃতিত্বের দাবিদার কৃষিবিজ্ঞানী ও সম্প্রসারণকর্মীরা। এ সময়ে কৃষিতে সরকারি উদ্যোগের সঙ্গে এগিয়ে এসেছে বেসরকারি খাতও।

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে দেশের কৃষি খাতের সাফল্য ও অপূর্ণতার নানা দিক নিয়ে গতকাল ‘বাংলাদেশের ৫০ বছর: কৃষির রূপান্তর ও অর্জন’ শীর্ষক সম্মেলনের আয়োজন করে বণিক বার্তা ও বাংলাদেশ কৃষি সাংবাদিক ফোরাম (বিএজেএফ)। রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে অনুষ্ঠিত এ সম্মেলনের দুই অধিবেশনে জড়ো হন দেশের কৃষি গবেষণা, সম্প্রসারণ ও বিপণনসংশ্লিষ্টদের অনেকেই।

সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনে প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আবদুর রাজ্জাক। বণিক বার্তা সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ইউএসএআইডি বাংলাদেশের মিশন ডিরেক্টর ক্যাথরিন ডেভিস স্টিভেন্স ও জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) বাংলাদেশের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ রবার্ট ডি সিম্পসন।

দেশের কৃষি খাতের প্রতিটি ক্ষেত্রে উন্নতির কথা উল্লেখ করে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আবদুর রাজ্জাক বলেন, বাংলাদেশ এখন খাদ্যে অনেকটাই স্বয়ংসম্পূর্ণ। ফলে কভিড-১৯ মহামারীর সময়ও বাংলাদেশে খাদ্য ঘাটতি দেখা দেয়নি

কৃষিমন্ত্রী বলেন, আমরা এখন গর্ব করে বলতে পারি, বাংলাদেশ খাদ্যে অনেকটাই স্বয়ংসম্পূর্ণ। শুধু আমরা নই, পুরো পৃথিবীই এ কথা বলছে। করোনা মহামারীর সময়ও বাংলাদেশের মানুষের খাদ্যের কষ্ট হয়নি, কোনো মানুষ না খেয়ে নেই। এখন বাংলাদেশকে পুষ্টিসমৃদ্ধ নিরাপদ খাদ্য দেয়াটাই বড় চ্যালেঞ্জ। এজন্য আমরা আধুনিক কৃষি ব্যবস্থার প্রবর্তন করতে চাই। বাংলাদেশকে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণের দিকে নিয়ে যেতে চাই।

বাংলাদেশের মানুষ অনেক বেশি চাল বা ভাত ভোগ করে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা একেকজন মানুষ প্রতিদিন প্রায় ৪০০ গ্রাম চাল খাই। পৃথিবীর অনেক দেশে এ পরিমাণ ২০০ গ্রামও নয়। আমরা যদি ভাত খাওয়া কিছুটা কমাতে পারি, তাহলে নিজস্ব উৎপাদন দিয়েই প্রয়োজন মেটানো যাবে।

দেশে কৃষি খাতের অবদান তুলে ধরে আবদুর রাজ্জাক বলেন, কৃষি সব সময় বাংলাদেশের অর্থনীতিতে একটা বিরাট জায়গাজুড়ে ছিল। কৃষির গুরুত্ব কখনই কমবে না। দেশের খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হলে কৃষিকে গুরুত্ব দিতেই হবে।

কৃষি উদ্ভাবনে বাংলাদেশের বিজ্ঞানীদের সফলতার কথা উল্লেখ করেন কৃষিমন্ত্রী। তিনি বলেন, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীরা অমৃতা প্রজাতির আম উদ্ভাবন করেছেন, যার স্বাদ মোটামুটি ভালো। এর আগে উদ্ভাবন হয়েছে গোরমতি, সেটার স্বাদ হিমসাগর বা অন্যান্য দেশী আমের মতোই। এখন দেশে সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে আম পাওয়া যাচ্ছে। কেবল আম নয়, আমরা কৃষির অনেক ক্ষেত্রেই চাষের মৌসুম বাড়াচ্ছি, এটা আমাদের অর্জন।

মন্ত্রী বলেন, অর্থনীতির সব ক্ষেত্রেই বর্তমান সরকার অসামান্য সফলতা অর্জন করেছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের গ্লোবাল ইকোনমিক রিভিউতে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জাপান ও ভারতে মহামারীর কারণে প্রবৃদ্ধি নিম্নমুখী। সেখানে বাংলাদেশ ৩ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। এত প্রতিকূলতার মধ্যেও বাংলাদেশের অর্থনীতি স্থিতিশীল।

বিশ্ব ক্ষুধা সূচকে বাংলাদেশ গত নয় বছরে ২৫ ভাগ এগিয়েছে উল্লেখ করে কৃষিমন্ত্রী বলেন, প্রতিবেশী দুই দেশ পাকিস্তান ও ভারতের চেয়ে এ সূচকে বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে আছে। খাদ্যনিরাপত্তার এটিও একটি ভালো নির্দেশক। এর অর্থ হলো আমাদের দেশের মানুষ, শিশুরা ভালো খাবার পাচ্ছে। এ ধারা আমরা অব্যাহত রাখতে চাই। সেজন্য সব ধরনের পদক্ষেপও নিচ্ছে সরকার।

অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি ইউএসএআইডি বাংলাদেশের মিশন ডিরেক্টর ক্যাথরিন ডেভিস স্টিভেন্স বলেন, গত ৫০ বছরে বাংলাদেশের কৃষি ও খাদ্যনিরাপত্তায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। এ পথচলায় সহযাত্রী হতে পেরে ইউএসএআইডি ও যুক্তরাষ্ট্র সরকার আনন্দিত। বাংলাদেশের কৃষি গবেষণার উন্নয়নেও অংশীদার হতে পেরেছে যুক্তরাষ্ট্র। গত পাঁচ দশকে ইউএসএআইডি এ দেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে খাদ্যসহায়তা, মানসম্পন্ন্ন বীজ উদ্ভাবন ও সম্প্রসারণে সাহায্য করেছে। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটকে সূচনালগ্ন থেকে গবেষণায় সহায়তা করা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সহযোগিতায় বাংলাদেশে গম গবেষণা বিকশিত হয়েছে। গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউট এখন স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা হিসেবে এ দুটি পণ্য উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র সহযোগিতা আরো বাড়াতে চায় উল্লেখ করে ক্যাথরিন ডেভিস বলেন, কৃষিতে প্রযুক্তিনির্ভরতা জোরদার করতে হবে। যুক্তরাষ্ট্রের সরকার প্রতি বছর বাংলাদেশের কৃষি খাতে ৫ কোটি ডলার বিনিয়োগ করে। সরকার, কৃষি গবেষণা কেন্দ্র, বেসরকারি খাত ও কৃষকদের একসঙ্গে নিয়ে কাজের মাধ্যমে বাংলাদেশ বিভিন্ন ফসল উৎপাদন করতে সক্ষম হবে বলে আমাদের প্রত্যাশা। এতে সারা দেশের মানুষের খাদ্য ও পুষ্টিনিরাপত্তা নিশ্চিত হবে। গত বছর আমরা সাড়ে ছয় লাখ কৃষককে ২০ কোটি ডলার সহায়তা দিয়েছি। বাংলাদেশের কৃষির উন্নয়নে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতার এ ধারা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।

অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি এফএও বাংলাদেশের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ রবার্ট ডি সিম্পসন তার বক্তব্যে বলেন, সুবর্ণজয়ন্তীতে এসে বাংলাদেশ কৃষিতে আমূল উন্নতি করেছে। বাংলাদেশের জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান কৃষির উন্নয়নকে গুরুত্ব দিয়েছিলেন। এ পাঁচ দশকে বাংলাদেশ কৃষিতে উন্নয়নের দীর্ঘ পথ অতিক্রম করেছে। এ সময়ের মধ্যে এফএও বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে খাদ্য ও পুষ্টি নিয়ে বিভিন্ন কর্মসূচি ও প্রকল্পে কাজ করেছে। কৃষিকাজে বাংলাদেশে প্রযুক্তির উন্নত ব্যবহার করা হচ্ছে। প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই বাংলাদেশ প্রয়োজনীয় উৎপাদনে সক্ষম হয়েছে।

অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন এসিআই এগ্রিবিজনেসেসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. এফএইচ আনসারী। তিনি বলেন, বাংলাদেশের জিডিপিতে কৃষির অবদান গত ১০ বছরে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। দেশের কৃষিক্ষেত্রে বর্তমানে বেসরকারি খাত উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে। কৃষিক্ষেত্রে বেসরকারি খাতের এ অবদান অব্যাহত রাখতে এ খাতের অংশগ্রহণ আরো বাড়াতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বাড়ছে। ফলে কৃষিতে ক্ষতির পরিমাণও বাড়বে। এ ক্ষতি কমাতে এখনই পদক্ষেপ নিতে হবে।

মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ধান গবেষণা প্রতিষ্ঠানের মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবীর। মূল প্রবন্ধে স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশের ভঙ্গুর কৃষি ব্যবস্থাপনা থেকে স্বয়ংসম্পূর্ণ কৃষিতে উত্তরণের ক্রমধারা তুলে ধরে বলা হয়, খাদ্যনিরাপত্তা ও পুষ্টির নিশ্চয়তা নিয়ে সরকারের পরিকল্পনা রয়েছে। পাহাড়ি এলাকায় কৃষিক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধির জন্য কর্মসূচি চলমান রয়েছে।

উদ্বোধনী অধিবেশনে আরো বক্তব্য রাখেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক মো. হামিদুর রহমান। সমাপনী অধিবেশনের মাধ্যমে শেষ হয় দিনব্যাপী এ সম্মেলন।

কৃষি সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন যারা

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মজিদ, ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজির (আইইউবিএটি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুর রব, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের (বিএআরসি) সাবেক নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. মো. আবদুর রাজ্জাক, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব আনোয়ার ফারুক, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সমন্বিত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. বেনজীর আলম, কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ ইউসুফ, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বারি) মহাপরিচালক ড. দেবাশীষ সরকার, বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিনা) মহাপরিচালক ড. মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কীটতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. রুহুল আমিন, মৃত্তিকাসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক কৃষিবিদ বিধান কুমার ভাণ্ডার, জাতীয় কৃষি প্রশিক্ষণ একাডেমির মহাপরিচালক ড. একেএম নাজমুল হক, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম, এফএওর ন্যাশনাল কনসালট্যান্ট অনিল কুমার দাস, বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশ কার্যালয়ের লাইভস্টক অ্যান্ড ডেইরি ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পের ফুড সেফটি অ্যান্ড কোয়ালিটি কন্ট্রোল এক্সপার্ট আইইবির সচিব প্রকৌশলী মো. মিজবাহুজ্জামান চন্দন, এসিআই মোটরসের নির্বাহী পরিচালক সুব্রত রঞ্জন দাস, এসিআই অ্যানিমেল হেলথের উপনির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ শাহীন শাহ, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের (ডিএলএস) সাবেক পরিচালক (উৎপাদন) ডা. অরবিন্দ কুমার সাহা, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপক ড. তোফাজ্জল ইসলাম, দ্য মেটাল প্রাইভেট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. সাদিদ জামিল, সুপ্রিম সিড কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো. মাসুম, এডভান্টা সিডসের কান্ট্রি ম্যানেজার জিয়াউর রহমান, বাংলাদেশ ক্রপ প্রটেকশন অ্যাসোসিয়েশনের (বিসিপিএ) সাবেক চেয়ারম্যান ও সেতু করপোরেশনের নির্বাহী পরিচালক রুমান হাফিজ, রশিদ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবদুর রশিদ, বাংলাদেশ সিড অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফখরুল ইসলাম, বাংলাদেশ পোলট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিলের (বিপিআইসিসি) সভাপতি ও প্যারাগন গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মসিউর রহমান, বাংলাদেশ অটো রাইস মিল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি একেএম খোরশেদ আলম খান, বাংলাদেশ কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি কৃষিবিদ মো. সাখাওয়াত হোসেন সুইটি, পাটপণ্যের প্রতিষ্ঠান টুলিকার প্রধান নির্বাহী ইশরাত জাহান চৌধুরী, ফিশটেক বিডি লিমিটেডের পরিচালক মোহাম্মদ তারেক সরকার, পাবনা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের পরিচালক ফারুক-উজ-জামান চৌধুরী, অ্যানিমেল হেলথ কোম্পানিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (আহকাব) সদস্য এমএইচকে এগ্রোর প্রধান নির্বাহী ড. মো. মোজাম্মেল হক খান, গ্রিন বাংলা ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও গ্রিন চাষী মো. কামরুজ্জামান মৃধা, এসিআই সিডসের মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, এসিআই ফার্টিলাইজারের বিজনেস ডিরেক্টর বশির আহমেদ, কৃষি তথ্য সার্ভিসের পরিচালক কার্তিক চন্দ্র চক্রবর্তী, এস আলম ট্রেডিং ইন্টারন্যাশনালের মাইমুনা করপোরেশনের স্বত্বাধিকারী মো. শাহ আলম বাবু, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) অর্থনীতির শিক্ষক মোহাম্মদ মনির, বাংলাদেশ সেফ এগ্রো ফুড ইফোর্টস ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক রেজাউল করিম সিদ্দিকী, এএইচসিএবির নির্বাহী সদস্য ড. মো. মোজাম্মেল হক খান প্রমুখ।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *