বন্যার্তদের দুর্ভোগ বাড়ছে, মেলেনি ত্রাণ

নদীর পানি কমতে শুরু করলেও বিভিন্ন স্থানে বন্যা পরিস্থিতি দুর্ভোগ বাড়িয়ে দিয়েছে। দিন যত যাচ্ছে দুর্ভোগ তত বাড়ছে। মিলছে না ভানবাসীদের সাহায্য। চলছে।
জানা গেছে, কুড়িগ্রামের চিলমারীতে ব্রহ্মপুত্রের পানি কমতে শুরু করলেও বাঁধে অরক্ষিত কালভার্ট ও বুড়িতিস্তা দিয়ে পানি ঢুকে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা নতুন করে প্লাবিত হয়। নতুন করে পানিবন্দি হয়ে পড়ে শত শত পরিবার। নতুন করে বন্যায় অাক্রান্ত ও শুরু থেকেই পানিবন্দি মানুষের দূর্ভোগ চরমে উঠেছে। করছে মানবেতর জীবন যাপন। কষ্টে দিনাতিপাত করলেও মেলেনি তাদের ভাগ্যের ত্রানের চাল।
ত্রাণ না পেলেও তারা চায় বন্যা থেকে মুক্তি, হাতে চায় কাজ, চায় না ত্রাণের অপেক্ষায় থাকতে। রমনা ব্যাপারী পাড়া এলাকার রঞ্জু, হাসেম আলীসহ অনেকে জানান ১ সপ্তাহ থেকে পানিবন্দি থাকলেও তাদের খোঁজ নেয়নি কেউ। দুর্ভোগের কথা স্বীকার করে মোছাঃ কাজল বেগম বলেন খুব কষ্টে আছি, রান্না করা আর খাবার খাওয়া আর থাকাও খুব সমস্যা হচ্ছে। ভয় হয় ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের নিয়ে। তিনি আরো জানান, ত্রান না দেখ, বন্যা থেকে বাঁচিতে থাকার ব্যবস্থা করে দেখ। এদিকে বুড়িতিস্তার ঢলে রানীগঞ্জ, ঠগেরহাট, বুরুজের পাড়সহ প্রায় ১০টি গ্রাম ও রমনা এলাকায় বাঁধের নিচে অরক্ষিত কালভাট দিয়ে পানি ঢুকে খড়খড়িয়া, ভরটপাড়া, তেলিপাড়া, শরিফেরহাটসহ কয়েকটি গ্রাম নতুন করে প্লাবিত হওয়ায় বানভাসী মানুষের দূর্ভোগ চরমে উঠেছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ ডব্লিউ এম রায়হান শাহ্ বলেন, সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে বানভাসীদের ত্রাণ দেয়া হবে।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *