আবারো নারী দলের কোচের সন্ধানে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। ২০২০ সালে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আশানুরূপ ফল না হওয়ায় কোচ আঞ্জু জৈনের সাথে চুক্তি বাড়ায়নি বিসিবি। এরপর থেকেই বিদেশি কোচশূন্য নারী ক্রিকেটাররা। সব শেষ ইংল্যান্ডের মার্ক রবিনশনের সঙ্গে বিসিবি’র কথাবার্তা চূড়ান্ত হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পারিবারিক কারণ দেখিয়ে এই ইংলিশ কোচ দায়িত্ব নিতে রাজি হননি। করোনার বিরতি ধাক্কা কাটিয়ে মার্চে দক্ষিণ আফ্রিকা নারী ইমার্জিং দলের বিপক্ষে মাঠে নেমেছিল জাহানারা-সালমারা। সেই আসরে মেয়েদের কোচিংয়ের দায়িত্ব আস্থায়ীভাবে তুলে দেয়া হয় দেশীয় কোচ শাহনওয়াজ শহীদ শানুকে। এরপর দ্বিতীয় এপ্রিলে করোনার হানায় ফের স্থগিত হয়ে নারী প্রমিলা ক্রিকেট।
তবে আগামী জুনেই শ্রীলঙ্কায় ওয়ানডে বিশ্বকাপের বাছাই পর্ব। এছাড়াও দক্ষিণ আফ্রিকার জাতীয় নারী ক্রিকেট দলও বাংলাদেশ সফরে আসার কথা রয়েছে। সব মিলিয়ে নারী দলের ক্রিকেটকে গতিশীল করতে ফের কোচের খোঁজে মরিয়া বিসিবি। এরই মধ্যে কোচ চেয়ে বিজ্ঞাপনও দেয়া হয়েছে। এছাড়াও বেশ কয়েকটি ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে বলে দৈনিক মানবজমিনকে নিশ্চিত করেছে বিসিবি’র নারী বিভাগের চেয়ারম্যান শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল। তিনি বলেন, সামনে নারী দলের অনেক গুরুত্বপূর্ণ আসর রয়েছে। সেই কারণেই একজন বিদেশি কোচ প্রয়োজন। আমরা নারী দলের কোচ চেয়ে বিজ্ঞাপন দিয়েছি। বেশ কেয়কটি দেশ ও বোর্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তবে এখনো কোন কোচ পাইনি। তবে আশা করছি এবার একজনকে দায়িত্ব দিতে পারবো।’
সব শেষ গেল বছর ভারতীয় কোচ আঞ্জু জৈনকে বরখাস্ত করে বিসিবির নারী বিভাগ। দলের মধ্যে কোন্দল সৃষ্টি ও স্বৈরাচারী আচরণের অভিযোগে তাকে বিদায় দেয়া হয়। যদিও তার অধিনেই নারী দল ভারতকে হারিয়ে এশিয়া কাপে জয় পেয়েছিল। প্রথম বারের মতো নারীরাই আইসিসি’র কোনো আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টের শিরোপা দেশে নিয়ে আসে।