দীর্ঘদিন পর মাঠে ফিরেছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। তবে সবাই নন, মাত্র ১০ ক্রিকেটার ঝুঁকি নিয়েছেন অনুশীলন করার। তাদের এই শুরুকে ক্রিকেট মাঠে ফেরার ইঙ্গিত মনে করছেন অনেকে। তবে দীর্ঘ চারমাস পর মাঠে ফেরায় ক্রিকেটারদের ছন্দ খুঁজে পেতে সময় লাগবে অনেক। আর ক্রিকেটবোদ্ধাদের মতে সবচেয়ে বেশি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বেন পেসাররা। জাতীয় দলের অভিজ্ঞ সিমার শফিউল ইসলাম ব্যাপারটা চ্যালেঞ্জ মানলেও আত্মবিশ্বাসী দ্রুতই ফিরে পাবেন নিজেদের। এ বিষয়ে দৈনিক মানবজমিনকে দেয়া শফিউলের সাক্ষাতকারের মূল অংশ তুলে ধরা হলো।
পেসারদের জন্য ফেরাটা কতটা চ্যালেঞ্জিং?
শফিউল: মাঠে মাত্র এসেছি।
স্কিল ট্রেনিং শুরু করিনি। আমরা রানিং করছি। আমরা ফিট নই। আর পেসারদের জন্য ফিট থাকাটা খুব জরুরী। আমরা যদি ভালো বোলিং করতে চাই, অবশ্যই ফিটনেস ফিরে পেতে হবে আমাদের। বাসায় হয়ত টুকটাক অনুশীলন করেছি। যতটা সম্ভব আরকি। কিন্তু বাসা আর মাঠের ট্রেনিং কখনো এক নয়। যেহেতু শুরু করেছি দীর্ঘদিন পর, মানিয়ে নিতে একটু সময় লাগবে। সেই হিসেবে মনে করি, চ্যালেঞ্জ থাকছে পেসারদের জন্য।
বোলিংয়ে সেরাটা দেয়া কতটা কঠিন হবে?
শফিউল: সবসময়ই দীর্ঘবিরতি বোলারদের জন্য ক্ষতির কারণ। যে কারণে শুরুতে সমস্যা হবে সবার। তবে যখন স্কিল নিয়ে কাজ শুরু করবো, সমস্যাগুলো দ্রুতই কেটে যাবে বলে বিশ্বাস করি। তাই স্কিল ট্রেনিংয়ের আগে ফিটনেসটা ফিরে পাওয়াই আমাদের মূল চ্যালেঞ্জ।
মাঠে দ্রুত ক্রিকেট ফিরুক চান কি না?
শফিউল: বিশ্বে ও দেশে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি। যদিও একটি-দুটি দেশ খেলা শুরু করেছে। কিন্তু আমাদের মতো বিশ্বের অনেক দেশই আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে পারছে না এই মুহূর্তে। বর্তমানে ক্রিকেট যে স্থগিত হয়ে আছে, তা আমাদের কল্যাণের জন্যই। এ পরিস্থিতিতে ঝুঁকি নিয়ে যদি খেলা শুরু করি, তা যে কারোর বিপদ ডেকে আনতে পারে। বিসিবি আমাদের অভিভাবক, তারা যখন পরিস্থিতি ভালো ও আমাদের জন্য নিরাপদ মনে করবে তখনই খেলা শুরু করবে। তাদের সিদ্ধান্তের দিকেই তাকিয়ে আছি আমরা। আর মানসিক ও শারীরিকভাবে প্রস্তুত হচ্ছি যেন দ্রুত মাঠে ফিরতে পারি।
দেশে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি, এ নিয়ে মনে ভয় আছে?
শফিউল: আমি জানি, পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি। মহামারি কাটেনি দেশে। যখন থেকে অনুশীলনে আসি, তখনই ভয় কেটে যায়। এখানে সবকিছু এমনভাবে সব কিছুর ব্যবস্থা করা হয়েছে যেন কেউ করোনায় আক্রান্ত না হয়। পানি-খাবারের আলাদা ব্যবস্থা। অনুশীলনে শারীরিক সংস্পর্শ হচ্ছে না। প্রতিটি ব্যবস্থাই হয়েছে স্বাস্থ্যবিধি মেনে। তাই আমাদের মনে যে ভয় ছিল তা কেটে গেছে। তবে একেবারে নির্ভার হলে চলবে না আমাদের। সতর্ক থাকতে হবে। মেনে চলতে হবে সব স্বাস্থ্যবিধি।