প্রকল্প বাস্তবায়নে ধীরগতি, বিশ্বব্যাংক ফিরিয়ে নিল ৪২৫ কোটি টাকা

ডেস্ক রিপোর্ট: ‘ইনকাম সাপোর্ট প্রোগ্রাম ফর দ্য পুওরেস্ট (আইএসপিসি) যত’ প্রকল্প থেকে ৫ কোটি ডলার বা ৪২৫ কোটি টাকা প্রত্যাহার করে নিয়েছে বিশ্বব্যাংক। তবে প্রকল্পের মেয়াদ আরও দুই বছর বাড়ানোর পক্ষে মত দিয়েছে তারা। এ ছাড়া বিভিন্ন কারণে সংশোধন করা হচ্ছে ‘যত’ প্রকল্পটি। ব্যয় কমিয়ে প্রকল্পের তৃতীয় সংশোধনী প্রস্তাব আজ উঠতে যাচ্ছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে। সম্প্রতি পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। এদিকে ধীরগতির প্রকল্পের অর্থ সহায়তা কেটে সেটি ব্যয় করা হচ্ছে রোহিঙ্গা এবং স্থানীয় জনগণের উন্নয়নে।

প্রল্পটির শুরু থেকে গত ৫ বছরে ব্যয় হয়েছে মাত্র ৩২২ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। এতে আর্থিক অগ্রগতি দাঁড়িয়েছে ১৩ দশমিক ২৩ শতাংশ এবং বাস্তব অগ্রগতি ১৬ দশমিক ৪৫ শতাংশ। এ কারণে প্রকল্পটি থেকে অর্থ প্রত্যাহার করা হয়েছে। সূত্র জানায়, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগের ৭টি জেলার ৪৩টি উপজেলায় উন্নয়ন সহযোগী বিশ্বব্যাংকের প্রকল্প ‘যত’ বিস্তৃত। আর এ যত থেকেই বিশ্বব্যাংক ৫ কোটি ডলার প্রত্যাহার করে নিয়েছে। তবে প্রতিশ্রুত এই অর্থ কেটে নেওয়ায় প্রকল্পের উদ্দেশ্য এবং সুবিধাভোগীর লক্ষ্যমাত্রা (৬ লাখ) অর্জন ব্যাহত হবে না বলে জানিয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগ।

পরিকল্পনা কমিশন সূত্র জানায়, দেশের মধ্যে দরিদ্র অন্তঃসত্ত্বা এবং মায়েদের সুনির্দিষ্ট সেবাগ্রহণের পরিপ্রেক্ষিতে নগদ অর্থ প্রদান এবং শিশুপুষ্টি ও সচেতনতা বৃদ্ধিসহ স্থানীয় পর্যায়ে সেফটি নেট প্রোগ্রামে সহায়তা বাড়ানোর লক্ষ্যেই প্রকল্পটি হাতে নেওয়া হয়। মূল প্রকল্পটি ২০১৫ সালের এপ্রিল থেকে ২০২০ সালের জুনের মধ্যে বাস্তবায়নের কাজ শুরু করে স্থানীয় সরকার বিভাগ। কিন্তু এই সময়ের মধ্যে বাস্তবায়ন শেষ না হওয়ায় এখন আরও দুই বছর সময় বাড়ানো হচ্ছে। নতুন লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী প্রকল্পটির মেয়াদ ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত বাড়ছে। সেইসঙ্গে প্রকল্পটির মূল ব্যয় ছিল ২ হাজার ৩৭৭ কোটি ৮০ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ৩৭ কোটি ৮০ লাখ টাকা এবং বিশ্বব্যাংকের সহজ শর্তের ঋণ থেকে ২ হাজার ৩৪০ কোটি টাকা থেকে ব্যয় করার কথা ছিল। পরবর্তী সময়ে প্রথম সংশোধনীতে কোনো ব্যয় না বাড়লেও দ্বিতীয় সংশোধনীতে ব্যয় বাড়িয়ে করা হয় ২ হাজার ৪৪১ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। এবার তৃতীয় সংশোধনী প্রস্তাবে ৪৬০ কোটি ৮৫ লাখ টাকা কমিয়ে মোট ব্যয় প্রস্তাব করা হয়েছে ১ হাজার ৯৮০ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। এক্ষেত্রে ব্যয় কমছে ১৮ দশমিক ৮৮ শতাংশ।
জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে দুই দিনের প্রস্তুতি ম্যাচে ফিল্ডিংয়ে আকবর আলীরা ≣ [১] ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকায় ৪৬ লাখ গাড়ি অবিক্রিত [২] অটোমোবাইল শিল্পে ক্ষতি ১’শ বিলিয়ন ডলার [৩] বেকার ১১ লাখ শ্রমিক ≣ [১] প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক প্যাকেজের প্রসংসা করলেও এরজন্য ব্যাংকিং কমিশন ও পাবলিক ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠনের সুপারিশ সিপিডির

সূত্র জানায়, তিনটি কম্পোনেন্টে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে। প্রথম কম্পোনেন্টের আওতায় সুফলভোগীদের মাঝে নগদ অর্থ দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে অন্তঃসত্ত্বা নারীদের চারবার গর্ভকালীন স্বাস্থ্য পরীক্ষার পরিপ্রেক্ষিতে এক হাজার টাকা দেওয়া হয়। শূন্য থেকে ২৪ মাস বয়সী শিশুদের প্রতিমাসে গ্রোথ পরীক্ষার পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিবার নগদ ৭০০ টাকা করে দেওয়া হয়। এরপর ২৫-৬০ মাস বয়সী শিশুদের প্রতি তিন মাস অন্তর গ্রোথ পরীক্ষার পর প্রতিবার দেড় হাজার টাকা করে দেওয়া হয়। এ ছাড়া অন্তঃসত্ত্বা নারী ও মায়েদের জন্য প্রতিমাসে শিশুপুষ্টি ও উন্নত শিক্ষাসংক্রান্ত কর্মশালায় অংশ নেওয়ার জন্য প্রতিবার ৭০০ টাকা করে দেওয়া হচ্ছে।

দ্বিতীয় কম্পোনেন্টের আওতায় সুফলভোগীদের মনিটরিং করতে ইউনিয়ন পরিষদের দক্ষতা উন্নয়ন, মা ও শিশুদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে কমিউনিটি ক্লিনিকের দক্ষতা উন্নয়ন, পোস্টাল ক্যাশ ট্রান্সফারের জন্য ইউনিয়ন পোস্ট অফিসের দক্ষতা বৃদ্ধি এবং বিদ্যমান ইউনিয়ন পরিষদ অফিসে সেফটি নেট সেল প্রতিষ্ঠা করা। এ ছাড়া তৃতীয় কম্পোনেন্টের আওতায় এমআইএস সিস্টেম প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সুফলভোগীদের মনিটরিং, তাদের ২ বছর অন্তর মূল্যায়ন এবং খানা জরিপের ভিত্তিতে প্রভাব মূল্যায়ন করার কথা রয়েছে।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *