‘নো টাইম টু ডাই’-এর বিক্রয়মূল্য ৬০ কোটি ডলার!

নেটফ্লিক্স, অ্যাপল এবং আরো কয়েকটি স্ট্রিমিং সাইট জেমস বন্ড ছবি নো টাইম টু ডাই কিনে নেয়ার সম্ভাব্যতা যাচাই করে দেখছে। এ বছরের এপ্রিলে ড্যানিয়েল ক্রেগ অভিনীত নতুন বন্ড ফিল্মটির মুক্তির কথা ছিল। এরপর মহামারীর কারণে ছবিটির মুক্তি বেশ কয়েকবার পিছিয়েছে। ছবিটি এখন মুক্তি পাবে ২০২১ সালে।

নো টাইম টু ডাইয়ের নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এমজিএম স্টুডিও এই দেরিতে মুক্তির কারণে ৩-৫ কোটি মার্কিন ডলার এরই মধ্যে হারিয়েছে বলে মনে করেন হলিউড পর্যবেক্ষকরা।

সম্প্রতি হলিউড পাড়ার অন্যতম খবর হচ্ছে এমজিএম কি নো টাইম টু ডাই স্ট্রিমিং সাইটে বিক্রি করে দেবে কিনা। প্যারামাউন্ট ও সনির মতো স্টুডিও তাদের অনেক প্রডাকশন বিক্রি করে কোটি কোটি ডলার নগদ তুলে নিয়েছে। গ্রেহাউন্ড, কামিং টু আমেরিকার মতো ছবি বিক্রি হয়েছে স্ট্রিমিং সাইটে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভ্যারাইটিকে এমজিএমের মুখপাত্র বলেন, ‘আমরা গুজব নিয়ে মন্তব্য করি না। ছবিটি বিক্রির জন্য নয়। বরং সিনেমা হলে ছবি দেখা দর্শকদের সুবিধার জন্যই আমরা ছবির মুক্তি ২০২১ সালের এপ্রিল পর্যন্ত পিছিয়ে দিয়েছি।’

কিন্তু ভ্যারাইটি তার অনুসন্ধান থেকে জানাচ্ছে বিপুল অর্থের বিনিময়ে এমজিএম তাদের সেরা রত্নটি বিক্রির একটা আলোচনা বসেছিল স্ট্রিমিং সাইটগুলোর সঙ্গে। নো টাইম টু ডাইয়ের জন্য এমজিএম দাম হাঁকিয়েছে ৬০ কোটি মার্কিন ডলার। তবে এটা বড় তিনটি স্ট্রিমিং সাইটের জন্যই অনেক বেশি অর্থ হয়ে যাবে। ভেতরের খবর হচ্ছে এমজিএমের পক্ষে এ বিষয়ে আগ্রহী হয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির বেশির ভাগ অংশের মালিক অ্যাংকোরেজ ক্যাপিটাল গ্রুপের চেয়ারম্যান ও সিইও কেভিন উলরিখ।

নো টাইম টু ডাই নির্মাণে খরচ হয়েছে ২৫ কোটি মার্কিন ডলার। এক্ষেত্রে ল্যান্ড রোভার ও ওমেগা ওয়াচের মতো কোম্পানির কাছ থেকে নির্মিতারা প্রোমোশনাল পার্টনারশিপে বেশ অর্থ পেয়েছেন। এ কোম্পানিগুলো চায় ছবি হলেই মুক্তি পাক।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *