নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক করতে প্রয়োজন রাজনৈতিক নেতৃত্বের সমঝোতা: সিইসি

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক করতে দেশের রাজনৈতিক নেতৃত্বের মধ্যে সমঝোতা সৃষ্টির আহ্বান জানিয়েছেন নতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেছেন, আমরা অনুনয়-বিনয় করব, আপনারা নিজেদের মধ্যে সমঝোতা সৃষ্টি করেন। চুক্তিবদ্ধ হন যে নির্বাচনটা সুন্দরভাবে পরিচালনা করবেন। ওখানে সহিংসতা থাকবে না। কেউ কাউকে বাধা দেবে না।

গতকাল রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে দায়িত্বগ্রহণ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন নতুন কমিশনার অবসরপ্রাপ্ত জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আলমগীর ও আনিছুর রহমান, অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ রাশেদা সুলতানা এমিলি ও অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহসান হাবীব খান।

সংবাদ সম্মেলনে সিইসি বলেন, রাজনৈতিক নেতৃত্বের যে দায়িত্বটা রয়েছে, সেটা যদি শেয়ার না করেন, তাহলে নির্বাচন কমিশন এককভাবে যে কাজ করবে, সেখানে সীমাবদ্ধতা দেখা দেবে। আমাদের দায়িত্ব আছে, রাজনৈতিক নেতৃত্বের কাছে আবদার করা, বিনয় করা, অনুনয় করা। রাজনৈতিক নেতৃত্বকে আমরা সহযোগিতা করব। রাজনৈতিক নেতৃত্ব যদি রাজনৈতিক নেতৃত্বকে সহায়তা না করে, পলিটিক্যাল লিডারশিপের যদি ন্যূনতম সমঝোতা না থাকে, আমি তো তাদের মুরব্বি হতে পারব না। তারা আমাদের চেয়ে অনেক বেশি জ্ঞানী, অনেক বেশি অভিজ্ঞ।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে বিএনপির নির্বাচনে না যাওয়া প্রসঙ্গেও কথা বলেন কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেন, বিএনপি যদি এমন ঘোষণা দিয়েও থাকে, আমরা কি তাদের চা খাওয়ার আমন্ত্রণ জানাব না? কোনো কথাই শেষ কথা নয়।

সিইসি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর নিজেদের মধ্যে একটা সমঝোতা সৃষ্টির চেষ্টা করতে হবে। আলোচনার মাধ্যমে দূরত্ব কমে। আমরা যদি মুখ ফিরিয়ে থাকি, তাহলে কিন্তু দূরত্ব বাড়তে থাকবে। আলোচনা করতে হবে। কাউকে না কাউকে অহংকার পরিত্যাগ করে আলোচনা করতে হবে। নির্বাচন কমিশনের শক্তি অসীম নয়। এটা সবসময় আপেক্ষিক।

নির্বাচন কমিশনের প্রধান হিসেবে সামর্থ্য, দক্ষতা ও শক্তির সবটুকু দিয়ে সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করে যাবেন বলেও প্রতিশ্রুতি দেন নতুন সিইসি। একই সঙ্গে অন্য সব পক্ষের সহযোগিতাও তিনি চেয়েছেন। কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, মিডিয়া ভালো রোল প্লে করতে পারে। সবাইকে সচেতন করার ক্ষেত্রে মিডিয়া গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। আমাদের প্রত্যাশা থাকবে, পরের প্রজন্মের জন্য সুশাসনের দিকে এগিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে একটা সংসদ উপহার দেয়ার।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *