নাসিমকে নিয়ে কটুক্তি, শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ডিজিটাল আইনে মামলা

মহসীন কবির : [২] সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিমকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘কটূক্তি করে স্ট্যাটাস’ দেয়ার অভিযোগে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে কর্তৃপক্ষ। অর্থনীতি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের (সেশন ২০১৬-১৭) শিক্ষার্থী মাহির চৌধুরী শনিবার নিজের ফেসবুক ওয়ালে মোহাম্মদ নাসিমকে নিয়ে একটি স্ট্যাটাস দেন। ডিবিসি টিভি ও ডেইলি ষ্টার

[৩] বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তার স্ট্যাটাসটির সমালোচনা করে তার শাস্তি দাবি করেন। তার এই স্ট্যাটাস ‘কুরুচিপূর্ণ’ উল্লেখ করে সোমবার (১৫ জুন) দুপুরে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. ইশফাকুল হোসেন।

[৪] জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি অকিল উদ্দিন বলেন, ইশফাকুল হোসেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে মামলা করেছেন। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলাটি (মামলা নম্বর-৫) নথিভুক্ত করা হয়েছে।

[৫] মাহিরের ফেসবুক স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো- ‘জাতীয় নেতা ক্যাপ্টেন মনসুর আলীর ছেলে তিনি। বাকি জাতীয় নেতাদের উত্তরসূরিদের মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত সমালোচিত তিনি। আওয়ামীলীগ যখন রাস্তায় মাইর খাইতো তখন সব জায়গায় এ লোককে দেখা যাইতো। রাজপথ কাঁপানো নেতাদের মধ্যে তিনি আছেন। আবার ২০০২ দুদক এর মামলা এবং ২০০৮ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ‘পকেট কাঁপানো’ নেতাদের মধ্যেও তিনি আছেন। ২০১৫ এর মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষায়ও তিনি ছিলেন। এই লোক নিয়ে আসলে বলতে গেলে ব্যাঙ হয়ে যেতে হয়। বিএনপির কোন এক নেতা জানি বলছিলো ‘ আল্লাহর মাল আল্লাহ নিছে’ মোহাম্মদ নাসিম ভালো থাকবেন ঐপারে।’

[৬] যদিও পরবর্তীতে এই শিক্ষার্থী এই স্ট্যাটাস নিজ ওয়াল থেকে মুছে ফেলে পাল্টা স্ট্যাটাস দিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন। এ বিষয়ে রেজিস্ট্রার মো. ইশফাকুল হোসেন বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নির্দেশে আমি বাদী হয়ে মামলা করেছি। দেশের এমন মহৎ ব্যক্তিকে নিয়ে কটূক্তি করায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এর ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নিয়েছে।’

[৭] বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক অধ্যাপক ড. রাশেদ তালুকদার বলেন, ‘আমি বিষয়টি জানিনা। প্রথম শুনলাম। রেজিস্ট্রার বিষয়টি ভালো বলতে পারবেন।’ এ বিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক জহির উদ্দিন আহমেদ ও উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের মুঠোফোনে চেষ্টা করেও যোগাযোগ করতে পারেননি ক্যাম্পাসের গণমাধ্যমকর্মীরা।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *