ইসলাঈল ইমু : [২] চাঁদপুর মতলবে মেঘনা নদী থেকে অবাধে বালু তোলায় যেকোনো সময় ভেঙ্গে যেতে পারে বেড়িবাঁধ।মেঘনা ধনাগদা সেচ প্রকল্পের নিরাপত্তা হুমকিতে পড়ায় চাঁদপুর-২ (মতলব উত্তর-দক্ষিণ) আসনের সংসদ সদস্য এডভোকেট মো. নুরুল আমিন রুহুল গত বছরের মার্চ মাসে বালু তোলা বন্ধ করতে চিঠি দেন। ওই বছরেই মে মাসে আদালতে মতলবের জনৈক আমিনুল এহসানের করা রিট আবেদন খারিজ করে দিয়ে বালু উত্তোলন বন্ধ করতে নির্দেশনা জারি করেন আদালত।
[৩] পরে আদালতের নির্দেশ অমান্য করে মুক্তার গাজী, আহার চৌধুরী, সোবহান সরকার শুভ, শরীফ কাজীসহ কয়েকজনের নেতৃত্বে একটি সিন্ডিকেট নদী থেকে বালু উত্তোলনের উত্তোলনের চেষ্টা করছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।
[৪] মেঘনা ধনাগোদা সেচ প্রকল্প রক্ষার জন্য এবং মেঘনা নদীতে বালু উত্তোলন বন্ধ রাখার জন্য স্থানীয় এমপির চিঠি পাওয়ার পর ভূমিমন্ত্রালয়, চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার, চাঁদপুরের জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে বালু উত্তোলনে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। মতলব উত্তর উপজেলার মেঘনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশও দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট দপ্তর।
[৫] স্থানীয়রা জানান, প্রভাবশালী একটি মহলের ছত্রছায়ায় নদী থেকে বালু উত্তোলন করার কাজ চলতো। সরকারির ক্যাসিনো বিরোধী অভিযান শুরু হওয়ার পর ওই চক্রটি গা ঢাকা দেয়। পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হওযায় ওই চক্র এলাকায় ফিরে এসেছে। তারা জহিরাবাদ ইউনিয়নের মুক্তার গাজির সঙ্গে হাত মিলিয়ে আবারো নদীতে বালি তোলার অবৈধভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। স্থানীয়রা আরও বলেন, বালু উত্তোলন স্থায়ীভাবে বন্ধ না হলে দেশের বৃহত্তম মেঘনা-ধনাগোদা বেড়িবাঁধ ও সরকারের প্রক্রিয়াধীন অর্থনৈতিক অঞ্চল (ইকোনমিক জোন) নিশ্চিহ্ন হয়ে যেতে পারে।
[৬] চাঁদপুর নদী বন্দর কর্মকর্তা জানান, অবৈধভাবে বালু উত্তোলন কারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য ইতিমধ্যে মন্ত্রণালয় থেকেও নির্দেশ এসেছে । দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।