মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা এমপি বলেছেন, নারী-শিশু নির্যাতনকারী ও ধর্ষকের কোনো রাজনৈতিক, সামাজিক কিংবা পারিবারিক পরিচয় নেই। পরিবার ও সমাজ থেকে ধর্ষণকারীদের বর্জন করতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে চিরতরে বহিষ্কার করতে হবে। সিলেট ও নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের ঘটনায় নির্যাতনকারী ও ধর্ষকদের গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের নামে মামলা হয়েছে। নারী ও শিশু নির্যাতন সম্পূর্ণরূপে রোধ করতে সরকার বদ্ধপরিকর। দ্রুত বিচারের মাধ্যমে এদের শাস্তি নিশ্চিত করা হবে। নারী-শিশু নির্যাতনকারী ও ধর্ষকদের শাস্তি পেতেই হবে। সরকারের পাশাপাশি সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সমাজ থেকে নারী ও শিশু নির্যাতন দূর করা হবে।
ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা গতকাল রাজধানীর বাংলাদেশ শিশু একাডেমি মিলনায়তন থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যম জাতীয় কন্যাশিশু দিবস উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তর ও জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরামের যৌথভাবে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক পারভিন আক্তার।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, কন্যাশিশুর জীবনের শুরু ভালো হলে পরিবার, সমাজ ও দেশ উপকৃত হয়। শিশুদের উন্নয়নের মাধ্যমে সমাজ থেকে বৈষম্য দূর করা যায়। কন্যাশিশুর নিরাপত্তা ও সুরক্ষায় সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি প্রতিরোধ কমিটি করা হয়েছে। ঝরে পড়া রোধ ও উপস্থিতির হার বৃদ্ধির জন্য কন্যা শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি প্রদান করা হচ্ছে। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে মেয়ে শিক্ষার্থীদের হার ছেলেদের তুলনায় বেশি। স্কুল-কলেজগুলোয় স্বাস্থ্যসম্মত ওয়াশ ব্লক নির্মাণ করা হয়েছে। যে কোনো বিপদে তাত্ক্ষণিক সহায়তার জন্য ন্যাশনাল হেলপ লাইন ১০৯ চব্বিশ ঘণ্টা চালু রয়েছে।
জাতিসংঘের উচ্চ পর্যায়ের সম্মেলনে কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ ৫০ শতাংশ করার অঙ্গীকার করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা বলেন আজকের কন্যাশিশুরাই ২০৪১ সালে নারীর ৫০-৫০ কর্মসংস্থান নিশ্চিত করবে। প্রধানমন্ত্রীর এ অঙ্গীকার বিশ্বব্যাপী নারীর সমতা, ক্ষমতায়ন ও অগ্রগতি অর্জনে মুক্তির সনদ হিসেবে বিবেচিত হবে।
আলোচনা সভায় বক্তৃতা করেন জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান চেমন আরা তৈয়ব, অতিরিক্ত সচিব ফরিদা পারভীন, শিশু একাডেমির মহাপরিচালক জ্যোতি লাল কুরী ও জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরামের সম্পাদক নাসিমা আক্তার জলি।