সাজাপ্রাপ্ত পলাতক এক আসামির সঙ্গে শুধু নাম ঠিকানা মিল থাকায় ৯ মাস ধরে জেল খাটছেন দিনমজুর লিটন। গতকাল মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশকেন্দ্র এবং লিটন একটি জাতীয় দৈনিকে ‘শুধু নাম ঠিকানা মিলে জেল খাটছেন দিনমজুর’ শীর্ষক প্রতিবেদন যুক্ত করে এ রিট করা হয়। আইন ও সালিশ কেন্দ্রের পক্ষে শুনানি করবেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এডভোকেট জেড আই খান পান্না, ইয়াদিয়া জামান ও মো. শাহিনুজ্জামান। আইনজীবী মো. শাহিনুজ্জামান জানান, আবেদনে বিবাদী করা হয়েছে স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, কারা মহাপরিদর্শক, ভোলার পুলিশ সুপার, ভোলার জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্টদের। হাইকোর্টের বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে এ রিটের ওপর শুনানি হতে পারে।
পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়, কেবল নামের মিল থাকায় বিনাদোষে ৯ মাস ধরে কারাগারে আছেন ভোলার লালমোহনের এক দিনমজুর। লিটন নামের ওই যুবক বর্তমানে কেরানীগঞ্জ জেলহাজতে রয়েছেন। তার বাড়ি লালমোহন উপজেলার ধলীগৌরনগর ইউনিয়নের চতলা গ্রামে।
প্রতিদিনের মতো গত বছরের ৭ই ডিসেম্বর মেঘনাপাড়ে ব্লকের কাজ শেষে বাড়ি ফিরছিলেন লিটন, এমন সময় মঙ্গল সিকদার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই জসিম উদ্দিন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যান।
কেন গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তা না জানলেও লিটনকে আদালতে সোপর্দ করা হয়। পরে সেখান থেকে তাকে কেরানীগঞ্জ জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। লিটনের ভাই সাইফুল ইসলামের দাবি, তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই। তিনি নিরপরাধ। দিনমজুরের কাজ করে সংসার চালান। ভাইকে মুক্ত করতে ঢাকায় আদালত আর আইনজীবীর পেছনে ছুটতে ছুটতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন সাইফুল। রিকশা চালিয়ে দিনযাপন করা সাইফুলের নিজের আর্থিক অবস্থাও ভালো না। যে কারণে উকিলের খরচ চালাতেও অপারগ তিনি। এতে বিনাদোষে জেল খাটতে হচ্ছে তার নিরপরাধ ভাই লিটনকে। তিনি জানান, মো. লিটন নামে চতলা গ্রামের আরেক যুবক আছেন। যিনি শৈশব থেকে ঢাকায় থাকেন। যার বাবার নামও মৃত নুরুল ইসলাম। চতলা হাইস্কুলের পেছনে ওই লিটনের বাড়ি।