নাজাতের দশক শুরু আজ

পবিত্র মাহে রমজানের ২০ দিন চলে গেল। শেষ হলো রহমত ও মাগফিরাতের দশক। আজ থেকে শুরু নাজাত; যা স্থায়ী হবে ৯ বা ১০ দিন। নাজাত মানে মুক্তি। একটানা ২০ দিন সংযম-সাধনার পর রোজাদার এমন একটি পর্যায়ে পৌঁছে যান, যেখানে রয়েছে পরম প্রাপ্তি।

মানুষের জন্য জাহান্নামের আগুন ও শাস্তি থেকে মুক্তির চেয়ে বড় পাওনা আর কিছু নেই। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘রমজানের প্রথম ১০ দিন রহমতের, দ্বিতীয় ১০ দিন মাগফিরাত লাভের এবং তৃতীয় ১০ দিন জাহান্নাম থেকে নাজাত প্রাপ্তির।’ (মিশকাত)

রমজানের শেষ দশকে সমূহ আমলের মধ্যে বিশেষ দুটি আমলের কথা হাদিসে বর্ণিত হয়েছে-
যেসব চ্যানেলে দেখা যাবে এবারের আইপিএল ≣ [১] গোয়ালন্দে অর্থ সম্পদ হাতিয়ে নিয়ে গৃহবধূকে ঘরছাড়া করলো স্বামী ≣ [১] দেশীয় অস্ত্র ও জিহাদী বইসহ উল্লাপাড়ায় জামায়াত-শিবিরের আট নেতাকর্মী আটক

এক. ২০ রমজান সূর্যাস্তের পর থেকে শুরু হয়ে গেছে ইতিকাফ। রমজানের শেষ দশকে পুরুষদের জন্য মসজিদে ইতিকাফ করার মাঝে রয়েছে বহু ফজিলত। এক কথায় অপরাধী বান্দা নিজের অপরাধ স্বীকার করে রহমানের দরজায় পড়ে আছে। যেন সে এমনটি বুঝাতে চায়— হে আল্লাহ! এক অপরাধী গোলাম বেশুমার অপরাধ করার পর, তা স্বীকার করে তোমার দরজায় পড়ে আছে, যে পর্যন্ত তুমি ক্ষমা না করবে ওই পর্যন্ত এই গোলাম তোমার দরজা ত্যাগ করবে না।

দুই. রমজানের শেষ দশকে লাইলাতুল কদর বা শবেকদর হওয়ার বিশেষ সম্ভাবনা রয়েছে। মহিমান্বিত এই রাত পাওয়া সহজতর হয় রমজানের শেষ দশকে। ২১, ২৩, ২৫, ২৭, ২৯ এই রাতগুলোতে আমরা লাইলাতুল কদর তালাশের উদ্দেশ্যে ঘুমানোর আগে ইবাদাত করা উচিত। কদরের রাতে বান্দা যদি তাওবা করে আল্লাহর দরবারে কান্নাকাটি করে ক্ষমা প্রার্থনা করে ইবাদতে মগ্ন থাকে; হাদিসের ভাষ্যমতে, তার পেছনের সব গোনাহ আল্লাহ মাফ করে দেবেন।

রমজানের শেষ দশকে আল্লাহ তায়ালা অধিক পরিমাণে গুনাহগার বান্দাদেরকে ক্ষমা তথা নাজাত দেন বলেই মূলত এ দশকের নামকরণ ‘নাজাত’ হয়েছে। এ জন্য আমাদেরকে অবশ্যই নাজাত পাবার জন্য আল্লাহর দরবারে ক্ষমা প্রার্থনা করতে হবে; রমজানের শেষ দশকে নাজাতী বান্দার পরিমাণ বেশি থাকে বলেই এ দশকে আমাদেরকে বেশি বেশি আল্লাহর ইবাদত করতে হবে এবং কায়মনো বাক্যে ক্ষমা চাইতে হবে।

এ দশকের মধ্য দিয়েই রমজান আমাদের কাছ থেকে বিদায় নেয়। পরবর্তী এক বছর পূর্বে আর রমজানের দেখা আর আমরা পাইনা। পরবর্তী রমজানে বেঁচে থাকবো কি-না সে নিশ্চয়তাও কারোরই নেই; সব মিলিয়ে রমজানকে বিদায় দেয়ার দিনগুলোতে রমজানের প্রতি এক ধরনের আপ্লুতকর, মর্মস্পর্শী অনুভূতি আমাদের ধর্মবোধে প্রগাঢ় হয়। এ প্রগাঢ় মর্মস্পর্শী অনুভূতির দাবিতেই রমজানকে সর্বোচ্চ একনিষ্ঠতাপূর্ণ ইবাদতের মাধ্যমে বিদায় জানানো উচিত।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *