দ্রুততম মানব ইসমাইলের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার

অবশেষে নিষেধাজ্ঞা থেকে মুক্তি পেলেন দেশের দ্রুততম মানব মোহাম্মদ ইসমাইল। সোমবার বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে চিঠি দিয়ে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের কথা জানিয়েছে বাংলাদেশ অ্যাথলেটিক ফেডারেশন।
টোকিও অলিম্পিকে অ্যাথলেট বাছাই প্রক্রিয়া নিয়ে ফেডারেশনের তীব্র সমালোচনা করেছিলেন ইসমাইল। এমনকি বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের কাছে লিখিত অভিযোগও দিয়েছিলেন তিনি। অ্যাথলেটিক ফেডারেশনের ভাবমূর্তি নষ্ট করায় ইসমাইলকে ১ বছরের নিষেধাজ্ঞা প্রদান করা হয়।

গত ২০শে অক্টোবর বাংলাদেশ অ্যাথলেটিক ফেডারেশনের সভাপতি বরাবর চিঠি দিয়ে ইসমাইল নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আবেদন করেছিলেন। ভবিষ্যতে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি হবে না বলে অঙ্গীকার করেছিলেন তিনি। তারই প্রেক্ষিতে ফেডারেশন ৬ই ডিসেম্বর ২০২১ থেকে তার নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে।

সর্বশেষ অনুষ্ঠিত টোকিও অলিম্পিকে প্রাথমিকভাবে তিনজনকে বাছাই করে বাংলাদেশ অ্যাথলেটিকস ফেডারেশন। দ্রুততম মানব মোহাম্মদ ইসমাইল ও মানবী শিরিন আক্তারের সঙ্গে ৪০০ মিটার দৌড়ে জহির রায়হান ছিলেন সেই তালিকায়। চূড়ান্ত তালিকায় ইসমাইলকে বাদ দিয়ে জহিরকে মনোনীত করে বিএএফ। বিষয়টি মানতে পারেননি ইসমাইল। গণমাধ্যমে ফেডারেশনের বিপক্ষে নানা কথা বলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘যথাযথ প্রক্রিয়া মেনে অলিম্পিকের বাছাই হয়নি। আমার প্রতি অবিচার করা হয়েছে।’

ইসমাইলকে এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ করার কারণ জানাতে গিয়ে অ্যাথলেটিকস ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আবদুর রকিব বলেছিলেন, ‘ফেডারেশনের সিদ্ধান্ত উপেক্ষপা করে বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনকে একটি চিঠি দিয়েছিল ইসমাইল। বিভিন্ন গণমাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে সে। এতে ফেডারেশনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। তার এমন আচরণের কারণ দর্শাতে বলা হয়েছিল। এরপর ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি তাকে এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়।’

দেশে টানা চারবার দ্রুততম মানব হওয়ার রেকর্ড রয়েছে নৌবাহিনীর মোহাম্মদ ইসমাইলের। এছাড়া ইরানের একটি আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়ার গৌরব রয়েছে তার।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *